বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।
ভাব-সম্প্রসারণ: মানবসভ্যতার ইতিহাস বলে, আদিকাল থেকে আজকের যে সভ্যতা তাতে নারী-পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। নারী-পুরুষের সম্মিলিত কর্মপ্রচেষ্টায় সভ্যতা সূচিত হয়েছে। সভ্যতা বিনির্মাণে কারাে অবদানই কম নয়। নারী এবং পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সৃষ্টি হয়েছে সমাজব্যবস্থা। সুতরাং সমাজে নারী এবং পুরুষের অবদান সমভাবে বিদ্যমান। এ পৃথিবীতে নর এবং নারী একে অপরের পরিপূরক সত্তা।
আদম এবং হাওয়ার অবদানেই এ জগতে মানুষের আবাদ হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে নারীরাও পুরুষের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। নারীরা পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনে তাদের উপর আরােপিত দায়িত্ব পালন করছেন। তাই নারীদের কর্মস্থল শুধু রান্নাঘরে সীমাবদ্ধ নয় বরং পরিব্যাপ্ত সমাজের সকল অঙ্গনে। কথায় আছে“ যে শকটের এক চক্র বড় এবং এক চক্র ছােট হয় সে শকট অধিক দূর অগ্রসর হতে পারে না; সে কেবল একই স্থানে ঘুরতে থাকবে। ” অর্থাৎ, যেখানে পুরুষ জাতিকে প্রাধান্য এবং নারীজাতিকে অবহেলা করা হবে সেখানে জাতির কোনাে উন্নতি বা পরিবর্তন হবে না। তাইতাে কবি বলেছেন,
“ কোন কালে একা হয়নি কো জয়ী
পুরুষের তরবারি
শক্তি দিয়েছে প্রেরণা দিয়েছে
বিজয় লক্ষ্মী নারী। ”
(নারী- কাজী নজরুল ইসলাম)
ইসলাম ধর্ম সমাজে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে এবং শিক্ষার অধিকারসহ সকল অধিকার দান করেছে—“ প্রত্যেক নর-নারীর বিদ্যা অর্জন করা ফরজ। ” অন্ধকার যুগে নারীদের কোনাে মর্যাদা দেওয়া হতাে না। সে যুগে নারীরা দাসী ছিল এবং ন্যায্য অধিকার হতে তাদের বঞিত করে রাখত, যা সময়ের বিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন হয়। এখন সারাবিশ্বে পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও কঠিন কর্তব্য পালন করতে হয়। সর্বক্ষেত্রে তারা দক্ষতার ছাপ রাখছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মায়ের কাছে সন্তান যে শিক্ষা লাভ করে তাই পরবর্তী জীবনে তার চরিত্র গঠনে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
সেজন্য মায়ের নিকট হতে শেখা উপযুক্ত শিক্ষার গুরুত্ব ও অবদান অপরিসীম। এছাড়া সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি ও উন্নতির ক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকার কোনাে বিকল্প নেই। কথায় আছে,“ সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। ” নারী ও পুরুষের সম্মিলিত কর্মপ্রচেষ্টায় সৃষ্ট এ সমাজের উন্নতি এবং প্রগতির জন্য নারীরা সমান অংশীদার। তাই যাবতীয় উন্নয়নমূলক কার্যে নারীদের সম্পৃক্ত করা প্রয়ােজন।
একই বিষয়ে আরও কয়েকটি ভাব-সম্প্রসারন নিম্নে উল্লেখ করা হল। শ্রেণিভেদে সকল ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ তাদের নিজ নিজ পছন্দের ও শ্রেণি উপযোগী ভাব-সম্প্রসারন টি পড়ার সুযোগ পাবেন।
১. বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর (৮ম, ৯ম, ১০ম ও SSC পরিক্ষার্থীদের জন্য)
২. বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর (SSC.V2)
৩. বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর (৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ উপযোগী)
আপনার সংগ্রহে “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর” বিষয়ক আরও কোন ভাব-সম্প্রসারন থাকলে আমাদের ঠিকানায় পাঠাতে পারেন। আপনার পাঠানো ভাব-সম্প্রসারন টি সাইটে আপলোড করা হবে। লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ admin@proshna.com