অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।
<b>ভাব-সম্প্রসারণ: </b>অন্যায়কারী ও অন্যায়ে সাহায্যকারী বা সহ্যকারী উভয়েই সমান দোষী। মানুষের যেমন মানুষ হিসেবে কতকগুলাে অধিকার আছে তেমনি মানুষ হিসেবে তার কতকগুলাে দায়িত্বও রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই অধিকার অর্জিত হয়। অন্যায় না করা ও অন্যায় না সহা, এ দুটিই মনুষ্যত্বের দায়িত্ব।<br>
আমার অধিকার ততক্ষণ, যতক্ষণ অন্যেরও ঠিক সেই অধিকারে আমি হস্তক্ষেপ না করি, করলে তা অন্যায় হবে। অন্যায় কাজের দ্বারা মানুষের ক্ষতি সাধিত হয়। তাই অন্যায়কারী শাস্তির যােগ্য অপরাধী। ক্ষমা মহৎ গুণ হলেও সব ধরনের অন্যায়ের ক্ষেত্রে ক্ষমা প্রদর্শন সমীচীন নয়। কারণ অন্যায়কারীর উপযুক্ত বিচার না হলে সমাজে অন্যায় কাজের প্রভাব বেড়ে গিয়ে সমাজকে অপরাধের আখড়ায় পরিণত করবে।
ফলে সমাজ হয়ে উঠবে অন্যায়, অপরাধের লীলাক্ষেত্র এবং মনুষ্য বসবাসের অনুপযােগী। তাই সর্বজনীন কল্যাণ নিশ্চিত করার স্বার্থে অন্যায়কারীকে সাজা দেয়া উচিত। কোনাে অবস্থাতেই বিনা বিচারে তাকে ক্ষমা করা উচিত নয়। ক্ষমা দুর্বলতার পরিচায়ক, অন্যায়ের শামিল, অনুরূপ ক্ষমা বাঞ্ছনীয় নয়। তাই যে অন্যায় করে এবং যে সহ্য করে উভয়ই ঘৃণাযযাগ্য। প্রতিবাদ, প্রতিরােধের মাধ্যমে অন্যায়কে রুখতে হবে। তবেই সমাজে সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসবে।
অন্যায়কারী ও অন্যায় সহকারী উভয়কে তাই শাস্তি দেয়া প্রয়ােজন। অন্যায়ের প্রতিকার করতে শুধু অন্যায়কারীকে শাস্তি দিলেই হবে না, তাকে প্ররােচনাকারী ও অন্যায় সহকারী সকলকেই একই সাথে শাস্তি দিতে হবে।
<
p style=”color: rgb(0, 0, 0); font-family: balooda, sans-serif; text-align: justify;”>একই বিষয়ে আরও কয়েকটি ভাব-সম্প্রসারন নিম্নে উল্লেখ করা হল। শ্রেণিভেদে সকল ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ তাদের নিজ নিজ পছন্দের ও শ্রেণি উপযোগী ভাব-সম্প্রসারন টি পড়ার সুযোগ পাবেন।
১. অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে (৮ম, ৯ম, ১০ম ও SSC পরিক্ষার্থীদের জন্য)
২. অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে (SSC.V2)
৩. অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে (SSC.V3)
আপনার সংগ্রহে “অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে” বিষয়ক আরও কোন ভাব-সম্প্রসারন থাকলে আমাদের ঠিকানায় পাঠাতে পারেন। আপনার পাঠানো ভাব-সম্প্রসারন টি সাইটে আপলোড করা হবে। লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ admin@proshna.com