16 min read
Table of Contents
SSC রসায়ন
ষষ্ঠ অধ্যায়: মৌলের ধারণা ও রাসায়নিক গণনা
প্রশ্ন ১: অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যা কী?
ক) কোনো পদার্থের ভরের পরিমাণ
খ) কোনো পদার্থের আয়তনের পরিমাণ
গ) প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাসের আয়তন
ঘ) ১ মোল পরিমাণ পরমাণু, অণু বা আয়নের সংখ্যা
সঠিক উত্তর: ঘ) ১ মোল পরিমাণ পরমাণু, অণু বা আয়নের সংখ্যা
ব্যাখ্যা: ১ মোল পরিমাণ যেকোনো পদার্থে (পরমাণু, অণু বা আয়ন) 6.022×1023 সংখ্যক কণা থাকে। এই সংখ্যাটিকে অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যা বলা হয়।
প্রশ্ন ২: মোলার ভর কাকে বলে?
ক) কোনো পদার্থের পারমাণবিক ভর
খ) কোনো পদার্থের আণবিক ভর
গ) ১ মোল পরিমাণ পদার্থের ভর গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যা পাওয়া যায়
ঘ) প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে কোনো গ্যাসের ভর
সঠিক উত্তর: গ) ১ মোল পরিমাণ পদার্থের ভর গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যা পাওয়া যায়
ব্যাখ্যা: ১ মোল পরিমাণ কোনো পদার্থের ভরকে গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, তাকে ঐ পদার্থের মোলার ভর বলে।
প্রশ্ন ৩: কার্বনের পারমাণবিক ভর ১২। কার্বনের মোলার ভর কত?
ক) ১২ গ্রাম
খ) ১২ কিলোগ্রাম
গ) 6.022×1023 গ্রাম
ঘ) ২৪ গ্রাম
সঠিক উত্তর: ক) ১২ গ্রাম
ব্যাখ্যা: কার্বনের পারমাণবিক ভর ১২। তাই কার্বনের মোলার ভর হলো ১২ গ্রাম।
প্রশ্ন ৪: পানির (H$_2$O) আণবিক ভর ১৮। পানির মোলার ভর কত?
ক) ৯ গ্রাম
খ) ১৮ গ্রাম
গ) ৩৬ গ্রাম
ঘ) 6.022×1023 গ্রাম
সঠিক উত্তর: খ) ১৮ গ্রাম
ব্যাখ্যা: পানির আণবিক ভর ১৮। তাই পানির মোলার ভর হলো ১৮ গ্রাম।
প্রশ্ন ৫: ১ মোল কার্বন পরমাণুতে কতটি পরমাণু থাকে?
ক) ১২ টি
খ) ১৮ টি
গ) 6.022×1023 টি
ঘ) ২৪ টি
সঠিক উত্তর: গ) 6.022×1023 টি
ব্যাখ্যা: ১ মোল পরিমাণ যেকোনো পদার্থের পরমাণু, অণু বা আয়নে অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যার (6.022×1023) সমান সংখ্যক কণা থাকে।
প্রশ্ন ৬: ১ মোল পানি অণুতে কতটি অণু থাকে?
ক) ১৮ টি
খ) ১২ টি
গ) 6.022×1023 টি
ঘ) ৩৬ টি
সঠিক উত্তর: গ) 6.022×1023 টি
ব্যাখ্যা: ১ মোল পরিমাণ যেকোনো পদার্থের অণুতে অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যার (6.022×1023) সমান সংখ্যক কণা থাকে।
প্রশ্ন ৭: গ্যাসের মোলার আয়তন কাকে বলে?
ক) ০°C তাপমাত্রায় ও ১ atm চাপে ১ গ্রাম গ্যাসের আয়তন
খ) যেকোনো তাপমাত্রায় ও চাপে ১ মোল গ্যাসের আয়তন
গ) প্রমাণ তাপমাত্রা (০°C) ও চাপ (১ atm) এ ১ মোল যেকোনো গ্যাসের আয়তন
ঘ) কক্ষ তাপমাত্রায় ও চাপে ১ মোল যেকোনো গ্যাসের আয়তন
সঠিক উত্তর: গ) প্রমাণ তাপমাত্রা (০°C) ও চাপ (১ atm) এ ১ মোল যেকোনো গ্যাসের আয়তন
ব্যাখ্যা: প্রমাণ তাপমাত্রা (০°C বা ২৭৩ কেলভিন) ও প্রমাণ চাপ (১ atm বা ১০১৩২৫ Pa) এ ১ মোল যেকোনো গ্যাসের আয়তন হলো ২২.৪ লিটার বা ২২৪০০ মিলিলিটার। এই আয়তনকে গ্যাসের মোলার আয়তন বলে।
প্রশ্ন ৮: প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে ২২.৪ লিটার কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসে কত মোল থাকে?
ক) ১ মোল
খ) ২ মোল
গ) ৪৪ গ্রাম
ঘ) 6.022×1023 টি অণু
সঠিক উত্তর: ক) ১ মোল
ব্যাখ্যা: প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ এ ১ মোল যেকোনো গ্যাসের আয়তন ২২.৪ লিটার। তাই ২২.৪ লিটার কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসে ১ মোল থাকে।
প্রশ্ন ৯: প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে ১ মোল অক্সিজেন গ্যাসের আয়তন কত?
ক) ১৬ লিটার
খ) ৩২ লিটার
গ) ২২.৪ লিটার
ঘ) ২৪.৮ লিটার
সঠিক উত্তর: গ) ২২.৪ লিটার
ব্যাখ্যা: প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ এ ১ মোল যেকোনো গ্যাসের আয়তন ২২.৪ লিটার।
প্রশ্ন ১০: শতকরা সংযুতি কাকে বলে?
ক) কোনো যৌগের মোট ভর
খ) কোনো যৌগের অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের ভরের অনুপাত
গ) ১০০ গ্রাম যৌগের মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট মৌলের যত গ্রাম থাকে
ঘ) কোনো যৌগের আণবিক ভর
সঠিক উত্তর: গ) ১০০ গ্রাম যৌগের মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট মৌলের যত গ্রাম থাকে
ব্যাখ্যা: ১০০ গ্রাম কোনো যৌগের মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট মৌলের যত গ্রাম থাকে, তাকে ঐ মৌলের শতকরা সংযুতি বলে।
প্রশ্ন ১১: H2O (পানি) যৌগে হাইড্রোজেনের শতকরা সংযুতি কত? (H=1, O=16)
ক) ১১.১১%
খ) ৮৮.৮৯%
গ) ১০.১১%
ঘ) ৮৯.৮৯%
সঠিক উত্তর: ক) ১১.১১%
ব্যাখ্যা: পানির আণবিক ভর = 2×1+16=18। পানিতে হাইড্রোজেনের ভর = 2×1=2। হাইড্রোজেনের শতকরা সংযুতি = (182)×100%=11.11%।
প্রশ্ন ১২: H2O (পানি) যৌগে অক্সিজেনের শতকরা সংযুতি কত? (H=1, O=16)
ক) ১১.১১%
খ) ৮৮.৮৯%
গ) ১০.১১%
ঘ) ৮৯.৮৯%
সঠিক উত্তর: খ) ৮৮.৮৯%
ব্যাখ্যা: পানির আণবিক ভর = ১৮। পানিতে অক্সিজেনের ভর = ১৬। অক্সিজেনের শতকরা সংযুতি = (1816)×100%=88.89%।
প্রশ্ন ১৩: স্থূল সংকেত কাকে বলে?
ক) অণুতে বিভিন্ন মৌলের পরমাণুর প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশক সংকেত
খ) অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের পরমাণুর সংখ্যার সরল অনুপাত প্রকাশক সংকেত
গ) যৌগের আণবিক ভর প্রকাশক সংকেত
ঘ) যৌগের মোলার ভর প্রকাশক সংকেত
সঠিক উত্তর: খ) অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের পরমাণুর সংখ্যার সরল অনুপাত প্রকাশক সংকেত
ব্যাখ্যা: যে সংকেতের সাহায্যে অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের পরমাণুসমূহের সংখ্যার সরলতম অনুপাত প্রকাশ করা হয় তাকে স্থূল সংকেত বলে।
প্রশ্ন ১৪: আণবিক সংকেত কাকে বলে?
ক) অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের পরমাণুসমূহের সংখ্যার সরল অনুপাত প্রকাশক সংকেত
খ) অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের পরমাণুর প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশক সংকেত
গ) যৌগের শতকরা সংযুতি প্রকাশক সংকেত
ঘ) যৌগের যোজ্যতা প্রকাশক সংকেত
সঠিক উত্তর: খ) অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের পরমাণুর প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশক সংকেত
ব্যাখ্যা: যে সংকেতের সাহায্যে অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের পরমাণুর প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করা হয় তাকে আণবিক সংকেত বলে।
প্রশ্ন ১৫: গ্লুকোজের আণবিক সংকেত C6H12O6। এর স্থূল সংকেত কোনটি?
ক) CH2O
খ) C2H4O2
গ) C3H6O3
ঘ) C6H12O6
সঠিক উত্তর: ক) CH2O
ব্যাখ্যা: গ্লুকোজের আণবিক সংকেত C6H12O6-এ কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের পরমাণু সংখ্যার অনুপাত হলো ৬:১২:৬ = ১:২:১। সুতরাং, স্থূল সংকেত হবে CH2O।
প্রশ্ন ১৬: রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে?
ক) রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী পদার্থগুলোর তালিকা
খ) রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বিক্রিয়ক এবং বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন উৎপাদ পদার্থগুলোকে প্রতীক, সংকেত এবং কিছু গাণিতিক চিহ্ন ও সমীকরণের বাম ও ডানপাশে লিখে সংক্ষেপে প্রকাশ করা
গ) শুধুমাত্র বিক্রিয়ক পদার্থগুলোর সংকেত
ঘ) শুধুমাত্র উৎপাদ পদার্থগুলোর সংকেত
সঠিক উত্তর: খ) রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বিক্রিয়ক এবং বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন উৎপাদ পদার্থগুলোকে প্রতীক, সংকেত এবং কিছু গাণিতিক চিহ্ন ও সমীকরণের বাম ও ডানপাশে লিখে সংক্ষেপে প্রকাশ করা
ব্যাখ্যা: রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বিক্রিয়ক এবং বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন উৎপাদ পদার্থগুলোকে প্রতীক, সংকেত এবং কিছু গাণিতিক চিহ্ন ও সমীকরণের বাম ও ডানপাশে লিখে সংক্ষেপে প্রকাশ করাকে রাসায়নিক সমীকরণ বলে।
প্রশ্ন ১৭: রাসায়নিক সমীকরণের তীর চিহ্ন বা সমান চিহ্ন কী নির্দেশ করে?
ক) বিক্রিয়কের অবস্থা
খ) উৎপাদের অবস্থা
গ) বিক্রিয়ার দিক
ঘ) বিক্রিয়ার হার
সঠিক উত্তর: গ) বিক্রিয়ার দিক
ব্যাখ্যা: রাসায়নিক সমীকরণে ব্যবহৃত তীর চিহ্ন (→) বা সমান চিহ্ন (=) বিক্রিয়ার দিক নির্দেশ করে।
প্রশ্ন ১৮: বিক্রিয়ার সময় তাপ উৎপন্ন হলে তাকে কোন ধরনের বিক্রিয়া বলে?
ক) তাপহারী বিক্রিয়া
খ) তাপোৎপাদী বিক্রিয়া
গ) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
ঘ) সংযোজন বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: খ) তাপোৎপাদী বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় তাকে তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ১৯: বিক্রিয়ার সময় তাপ শোষিত হলে তাকে কোন ধরনের বিক্রিয়া বলে?
ক) তাপহারী বিক্রিয়া
খ) তাপোৎপাদী বিক্রিয়া
গ) দহন বিক্রিয়া
ঘ) বিশ্লেষণ বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: ক) তাপহারী বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ শোষিত হয় তাকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ২০: তাপোৎপাদী বিক্রিয়ায় ΔH এর মান কেমন হয়?
ক) ধনাত্মক
খ) ঋণাত্মক
গ) শূন্য
ঘ) কখনো ধনাত্মক কখনো ঋণাত্মক
সঠিক উত্তর: খ) ঋণাত্মক
ব্যাখ্যা: তাপোৎপাদী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কের মোট শক্তি উৎপাদের মোট শক্তি অপেক্ষা বেশি থাকে, ফলে শক্তি নির্গত হয় এবং ΔH এর মান ঋণাত্মক হয়।
প্রশ্ন ২১: তাপহারী বিক্রিয়ায় ΔH এর মান কেমন হয়?
ক) ধনাত্মক
খ) ঋণাত্মক
গ) শূন্য
ঘ) কখনো ধনাত্মক কখনো ঋণাত্মক
সঠিক উত্তর: ক) ধনাত্মক
ব্যাখ্যা: তাপহারী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কের মোট শক্তি উৎপাদের মোট শক্তি অপেক্ষা কম থাকে, ফলে শক্তি শোষিত হয় এবং ΔH এর মান ধনাত্মক হয়।
প্রশ্ন ২২: চুনাপাথরকে (CaCO$_3$) তাপ দিলে চুন (CaO) ও কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO$_2$) উৎপন্ন হয়। এটি কোন ধরনের বিক্রিয়া?
ক) সংযোজন বিক্রিয়া
খ) বিয়োজন বিক্রিয়া
গ) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
ঘ) দহন বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: খ) বিয়োজন বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: এই বিক্রিয়ায় একটি যৌগ (চুনাপাথর) ভেঙে একাধিক সরল পদার্থে (চুন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড) পরিণত হয়েছে, তাই এটি বিয়োজন বিক্রিয়া।
প্রশ্ন ২৩: নাইট্রোজেন (N$_2$) ও হাইড্রোজেন (H$_2$) যুক্ত হয়ে অ্যামোনিয়া (NH$_3$) তৈরি করে। এটি কোন ধরনের বিক্রিয়া?
ক) বিয়োজন বিক্রিয়া
খ) সংযোজন বিক্রিয়া
গ) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
ঘ) দহন বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: খ) সংযোজন বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: এই বিক্রিয়ায় একাধিক পদার্থ (নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন) যুক্ত হয়ে একটি নতুন পদার্থ (অ্যামোনিয়া) তৈরি করেছে, তাই এটি সংযোজন বিক্রিয়া।
প্রশ্ন ২৪: জিংক (Zn) সালফিউরিক এসিডের (H$_2$SO$_4$) সাথে বিক্রিয়া করে জিংক সালফেট (ZnSO$_4$) ও হাইড্রোজেন গ্যাস (H$_2$) উৎপন্ন করে। এটি কোন ধরনের বিক্রিয়া?
ক) সংযোজন বিক্রিয়া
খ) বিয়োজন বিক্রিয়া
গ) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
ঘ) দহন বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: গ) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: এই বিক্রিয়ায় জিংক হাইড্রোজেনকে প্রতিস্থাপন করে নিজে সালফেটের সাথে যুক্ত হয়েছে, তাই এটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
প্রশ্ন ২৫: কোনো পদার্থের অক্সিজেনের সাথে দ্রুত বিক্রিয়া করে তাপ ও আলো উৎপন্ন করার প্রক্রিয়াকে কী বলে?
ক) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
খ) সংযোজন বিক্রিয়া
গ) দহন বিক্রিয়া
ঘ) প্রশমন বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: গ) দহন বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: কোনো পদার্থের অক্সিজেনের সাথে দ্রুত বিক্রিয়া করে তাপ ও আলো উৎপন্ন করার প্রক্রিয়াকে দহন বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ২৬: এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হওয়াকে কোন ধরনের বিক্রিয়া বলে?
ক) দহন বিক্রিয়া
খ) জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া
গ) প্রশমন বিক্রিয়া
ঘ) সংশ্লেষণ বিক্রিয়া
সঠিক উত্তর: গ) প্রশমন বিক্রিয়া
ব্যাখ্যা: এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হওয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ২৭: জারণ কাকে বলে?
ক) ইলেকট্রন গ্রহণ
খ) ইলেকট্রন বর্জন
গ) প্রোটন গ্রহণ
ঘ) নিউট্রন বর্জন
সঠিক উত্তর: খ) ইলেকট্রন বর্জন
ব্যাখ্যা: কোনো পরমাণু বা আয়ন কর্তৃক ইলেকট্রন বর্জন করার প্রক্রিয়াকে জারণ বলে।
প্রশ্ন ২৮: বিজারণ কাকে বলে?
ক) ইলেকট্রন গ্রহণ
খ) ইলেকট্রন বর্জন
গ) প্রোটন গ্রহণ
ঘ) নিউট্রন বর্জন
সঠিক উত্তর: ক) ইলেকট্রন গ্রহণ
ব্যাখ্যা: কোনো পরমাণু বা আয়ন কর্তৃক ইলেকট্রন গ্রহণ করার প্রক্রিয়াকে বিজারণ বলে।
প্রশ্ন ২৯: জারক পদার্থ কোনটি?
ক) যে পদার্থ ইলেকট্রন দান করে
খ) যে পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে
গ) যে পদার্থ জারিত হয়
ঘ) যে পদার্থ বিজারিত হয়
সঠিক উত্তর: খ) যে পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে
ব্যাখ্যা: যে পদার্থ অন্য পদার্থকে জারিত করে নিজে বিজারিত হয়, অর্থাৎ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তাকে জারক পদার্থ বলে।
প্রশ্ন ৩০: বিজারক পদার্থ কোনটি?
ক) যে পদার্থ ইলেকট্রন দান করে
খ) যে পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে
গ) যে পদার্থ বিজারিত হয়
ঘ) যে পদার্থ জারিত হয়
সঠিক উত্তর: ক) যে পদার্থ ইলেকট্রন দান করে
ব্যাখ্যা: যে পদার্থ অন্য পদার্থকে বিজারিত করে নিজে জারিত হয়, অর্থাৎ ইলেকট্রন দান করে, তাকে বিজারক পদার্থ বলে।
প্রশ্ন ৩১: 5 মোল পানির ভর কত? (H=1, O=16)
ক) ৯ গ্রাম
খ) ১৮ গ্রাম
গ) ৪৫ গ্রাম
ঘ) ৯০ গ্রাম
সঠিক উত্তর: ঘ) ৯০ গ্রাম
ব্যাখ্যা: পানির আণবিক ভর ১৮। ১ মোল পানির ভর ১৮ গ্রাম। সুতরাং ৫ মোল পানির ভর = 5×18=90 গ্রাম।
প্রশ্ন ৩২: ৩২ গ্রাম অক্সিজেন গ্যাসে কত মোল থাকে? (O=16)
ক) ০.৫ মোল
খ) ১ মোল
গ) ২ মোল
ঘ) ১৬ মোল
সঠিক উত্তর: খ) ১ মোল
ব্যাখ্যা: অক্সিজেন গ্যাসের আণবিক ভর O2=2×16=32। ৩২ গ্রাম অক্সিজেন গ্যাস মানে ১ মোল অক্সিজেন গ্যাস।
প্রশ্ন ৩৩: প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে 11.2 লিটার কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসে কত মোল থাকে?
ক) ০.৫ মোল
খ) ১ মোল
গ) ২ মোল
ঘ) ২২.৪ মোল
সঠিক উত্তর: ক) ০.৫ মোল
ব্যাখ্যা: প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ এ ১ মোল যেকোনো গ্যাসের আয়তন ২২.৪ লিটার। সুতরাং ১১.২ লিটার কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস = 22.411.2=0.5 মোল।
প্রশ্ন ৩৪: 180 গ্রাম গ্লুকোজে (C6H12O6) কত মোল থাকে? (C=12, H=1, O=16)
ক) ০.৫ মোল
খ) ১ মোল
গ) ২ মোল
ঘ) ১৮০ মোল
সঠিক উত্তর: খ) ১ মোল
ব্যাখ্যা: গ্লুকোজের আণবিক ভর = (6×12)+(12×1)+(6×16)=72+12+96=180। গ্লুকোজের মোলার ভর ১৮০ গ্রাম। সুতরাং ১৮০ গ্রাম গ্লুকোজ মানে ১ মোল গ্লুকোজ।
প্রশ্ন ৩৫: 1 মোল সোডিয়াম আয়নে (Na$^+$) কতটি আয়ন থাকে?
ক) ২৩ টি
খ) ১১ টি
গ) 6.022×1023 টি
ঘ) 12.044×1023 টি
সঠিক উত্তর: গ) 6.022×1023 টি
ব্যাখ্যা: ১ মোল পরিমাণ যেকোনো পদার্থের আয়ন অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যার (6.022×1023) সমান সংখ্যক আয়ন ধারণ করে।
প্রশ্ন ৩৬: অণুর সংখ্যা নির্ণয়ের সূত্র কোনটি? (এখানে, m = পদার্থের ভর, M = মোলার ভর, N = অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যা)
ক) অণুর সংখ্যা = m×M×N
খ) অণুর সংখ্যা = Mm×N
গ) অণুর সংখ্যা = mM×N
ঘ) অণুর সংখ্যা = m×MN
সঠিক উত্তর: খ) অণুর সংখ্যা = Mm×N
ব্যাখ্যা: পদার্থের মোল সংখ্যা = মোলার ভরপদার্থের ভর=Mm। অণুর সংখ্যা = মোল সংখ্যা × অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যা = Mm×N।
প্রশ্ন ৩৭: 9 গ্রাম পানিতে কতটি অণু থাকে? (H=1, O=16, N = 6.022×1023)
ক) 3.011×1023 টি
খ) 6.022×1023 টি
গ) 1.000×1023 টি
ঘ) 18.00×1023 টি
সঠিক উত্তর: ক) 3.011×1023 টি
ব্যাখ্যা: পানির মোলার ভর ১৮ গ্রাম। ৯ গ্রাম পানি মানে 189=0.5 মোল। অণুর সংখ্যা = 0.5×6.022×1023=3.011×1023 টি।
প্রশ্ন ৩৮: 12 গ্রাম কার্বনে কতটি পরমাণু থাকে? (C=12, N = 6.022×1023)
ক) 6.022×1023 টি
খ) 12.044×1023 টি
গ) ১ টি
ঘ) ১২ টি
সঠিক উত্তর: ক) 6.022×1023 টি
ব্যাখ্যা: কার্বনের মোলার ভর ১২ গ্রাম। ১২ গ্রাম কার্বন মানে ১ মোল। ১ মোল কার্বন পরমাণুতে 6.022×1023 টি পরমাণু থাকে।
প্রশ্ন ৩৯: প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে 44.8 লিটার অ্যামোনিয়া গ্যাসে কতটি অণু থাকে? (N = 6.022×1023)
ক) 6.022×1023 টি
খ) 12.044×1023 টি
গ) 3.011×1023 টি
ঘ) 2.000×1023 টি
সঠিক উত্তর: খ) 12.044×1023 টি
ব্যাখ্যা: প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ এ ২২.৪ লিটার অ্যামোনিয়া গ্যাস মানে ১ মোল। ৪৪.৮ লিটার অ্যামোনিয়া গ্যাস মানে 22.444.8=2 মোল। ২ মোল অ্যামোনিয়া গ্যাসে অণুর সংখ্যা = 2×6.022×1023=12.044×1023 টি।
প্রশ্ন ৪০: কোনো যৌগের স্থূল সংকেত এবং আণবিক সংকেতের মধ্যে সম্পর্ক কী?
ক) আণবিক সংকেত = স্থূল সংকেত
খ) আণবিক সংকেত = (স্থূল সংকেত)n যেখানে n = স্থূল সংকেতের ভরআণবিক ভর
গ) স্থূল সংকেত = আণবিক সংকেত ×n
ঘ) আণবিক সংকেত ও স্থূল সংকেতের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই
সঠিক উত্তর: খ) আণবিক সংকেত = (স্থূল সংকেত)n যেখানে n = স্থূল সংকেতের ভরআণবিক ভর
ব্যাখ্যা: কোনো যৌগের আণবিক সংকেত হলো স্থূল সংকেতের একটি সরল গুণিতক। গুণিতকটি হলো আণবিক ভরকে স্থূল সংকেতের ভর দিয়ে ভাগ করলে যে পূর্ণ সংখ্যা পাওয়া যায়।
