সারমর্ম: পাখিটা মরিল। কোন কালে যে, কেউ তা ঠাহর করিতে পারে নাই

proshna featured

2 min read

Advertisements

পাখিটা মরিল। কোন কালে যে, কেউ তা ঠাহর করিতে পারে নাই

পাখিটা মরিল। কোন কালে যে, কেউ তা ঠাহর করিতে পারে নাই।
নিন্দুক লক্ষ্মীছাড়া রটাইল, ‘পাখি মরিয়াছে।’
ভাগিনাকে ঢাকিয়া রাজা বলিলেন, ‘ভাগিনা, এ কি কথা শুনি।’
ভাগিনা বলিল, ‘মহারাজ, পাখিটার শিক্ষা পুরো হইয়াছে।’
রাজা শুধাইলেন, ‘ও কি আর লাফায়?’
ভাগিনা বলির, ‘আরে রাম।’
আর কি উড়ে?’‘না’।
‘আর কি গান গায়?’ না?’
‘দানা না পাইলে আর কি চেচাঁয়?’ ‘না’।
রাজা বলিলেন ‘একবার পাখিটাকে আন দেখি।’
পাখি আসিল। সঙ্গে কোতোয়াল আসিল, পাইক আসিল, ঘোড়সওয়ার আসিল। রাজা পাখিটাকে টিপিলেন। সে ‘হাঁ’ করিল না, ‘হুঁ’ করিল না। কেবল তার পেটের মধ্যে পুঁথির শুকনো পাতা খস্ খস্ গজ্ গজ্ করিতে লাগিল।

সারমর্ম: জগতের নিয়ম এই যে, প্রতিটি প্রাণীই নিজস্ব সিদ্ধান্ত ও গন্ডির বাহিরে যেতে চায় না। জোর করে কারো উপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, প্রাণচাঞ্চল্যের অবসান ঘটে। প্রকৃতপক্ষে হৃদয়ের আনন্দের সঙ্গে সিদ্ধান্তের যোগসূত্র না ঘটলে জীবনে ব্যর্থতা ও মৃত্যু আসবে।

সারমর্ম ২:

এখানে অন্ধ অনুকরণ ও যান্ত্রিক শিক্ষার অসারতা তুলে ধরা হয়েছে। প্রকৃত শিক্ষা হলো বুদ্ধি ও অনুভূতির বিকাশ, কিন্তু কেবল মুখস্থবিদ্যা মানুষের সৃজনশীলতাকে নষ্ট করে। গল্পের পাখিটি শেখার নামে কেবল বই গিলেছে, কিন্তু তার স্বাভাবিক প্রাণশক্তি ও স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই সঠিক শিক্ষার জন্য স্বাধীন চিন্তা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।

সারমর্ম ৩:

 পাখির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, কেবল মুখস্থ শিক্ষায় কিছু আসে না; প্রকৃত শিক্ষা হচ্ছে স্বাধীন চিন্তা ও অভিজ্ঞতা।

 

0
0
0
0
0

Download Post

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *