সন্ধ্যার আলো লেগেছে নয়নে, স্পন্দিত প্রাণমন
সন্ধ্যার আলো লেগেছে নয়নে, স্পন্দিত প্রাণমন,
চলিতে দীঘির কিনারে কাঁপিছে জানু গিরি তৃণবন।
ঘুমের নিভৃতে নিঃশ্বাস পড়ে, হংস ফিরিছে ঘরে।
শাবকেরা তার ঘিরিয়া চলেছে, ডানা হতে জল ঝরে।
সহসা শুনিনু কর্ণ তুলিয়া হংস কহিছে ডাকি,
‘চক্ষুতে ধরা রেখেছে যে ধরি, আমারি মত সে পাখি,
মরাল সেজন মরণ রহিত রহে সে গগন পরে
পাখা ঝাড়িলে সে বৃষ্টি পড়ে গো, চাহিতে জ্যোৎ ঝরে।’
আগু বাড়ি যাই, শুনিবারে পাই- পদ্ম কহিছে সরে।
‘সৃজন পালন করে যে, আপনি আছে সে বৃন্ত ভরে।
আপনার ছাচে মোরে সে গড়েছে, ‘জগৎ’ যাহারে বলে
সে তো সেই মহাপদ্মের দলে হিমকণা টলটলে।’
সারমর্ম: প্রতিটি সৃষ্টিই নিজস্ব অনুভূতি দ্বারা স্রষ্টাকে কল্পনা করে থাকে। হাঁস ভাবে স্রষ্টাতার মতো পাখি, তিঁনি ঠোট দিয়ে পৃথিবীতে ধরে রাখেন। পদ্ম ভাবে স্রষ্টা তার মতো ফুল, এবং তাঁর পাপড়িতে বিশ্বজগতকে টলটলে হিমকণার মতো আটকে রাখেন। মূলত প্রত্যেকেই নিজস্ব ধারণায় স্রষ্টাকে মূল্যায়ন করে।