সারাংশ: স্বীকার করি যে, শারীরিক দুর্বলতাবশত নারীজাতি

2 min read

স্বীকার করি যে, শারীরিক দুর্বলতাবশত নারীজাতি অপর জাতির সাহায্যে নির্ভর করে

স্বীকার করি যে, শারীরিক দুর্বলতাবশত নারীজাতি অপর জাতির সাহায্যে নির্ভর করে। তাই বলিয়া পুরুষ প্রভু হইতে পারে না। জগতে দেখিতে পাই প্রত্যেকেই প্রত্যেকের নিকট কোনো-না-কোনো প্রকার সাহায্য প্রার্থনা করে, যেন একে অপরের সাহায্য ব্যতীত চলিতে পারে না। তরুলতা যেমন বৃষ্টির সাহায্যপ্রার্থী মেঘও সেইরূপ তরুর সাহায্য চায়। জলবৃদ্ধির নিমিত্ত নদী বর্ষার সাহায্য পায়, মেঘ আবার নদীর নিকট ঋণী। তবে তরঙ্গিনী কাদম্বিনীর স্বামী, না কাদম্বিনী তরঙ্গিণীর স্বামী? এ স্বাভাবিক নিয়মের কথা ছাড়িয়া কেবল সামাজিক নিয়মে দৃষ্টিপাত করিলেও আমরা তাহাই দেখি- কেহ সূত্রধর, কেহ অন্তুবায় ইত্যাদি। একজন ব্যারিস্টার ডাক্তারের সাহায্যপ্রার্থী, আবার ডাক্তারও ব্যারিস্টারের সাহায্য চাহেন। তবে ডাক্তারকে ব্যারিস্টারের স্বামী বলিব, না ব্যারিস্টার ডাক্তারের স্বামী? যদি ইহাদের কেহ কাহাকে স্বামী বলিয়া স্বীকার না করেন, তবে শ্রীমতীগণ জীবনের চিরসঙ্গী শ্রীমানদিগকে স্বামী ভাবিবেন কেন?

সারাংশ:

পুরুষের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে পুরুষকে নারীর প্রভু হিসেবে বিবেচনা করাটা অযৌক্তিক। সমাজের প্রতিটি মানুষই তো একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। এই বিবেচনায় পুরুষ ও নারী একে অপরের সহযোগী, প্রভু নয়।

0
0
0
0
0

Download Post

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *