Table of Contents
Toggleসবচেয়ে দুর্গম যে মানুষ আপন অন্তরালে
সবচেয়ে দুর্গম যে মানুষ আপন অন্তরালে
তার কোনো পরিমাপ নাই বাহিরের দেশে কালে
সে অন্তরময়।
অন্তর মিলালে পরে তার অন্তরের পরিচয়।
পাইনে সর্বত্র তার প্রবেশের দ্বার,
বাধা হয়ে আছে মোর বেড়াগুলি জীবনযাত্রার।
চাষী ক্ষেত্রে চালাইছে হাল,
তাঁতী বসে তাঁত বোনে, জেলে ফেলে জাল,
বহুদুর প্রসারিত এদের বিচিত্র কর্মভার
তারি পরে ভর দিয়ে চলিতেছে সমস্ত সংসার।
প্রতি ক্ষুদ্র অংশে তার সম্মানের চিরনির্বাসনে
সমাজের উচ্চ মঞ্চে বসেছি সংকীর্ণ বাতায়নে।
মাঝে মাঝে গেছি আমি ও পাড়ার প্রাঙ্গণের ধারে,
ভিতরে প্রবেশ করি সে শক্তি ছিল না একেবারে।
জীবনে জীবন যোগ করা
না হলে কৃত্রিম পণ্যে ব্যর্থ হয় গানের পসরা।
সারমর্ম: মানুষের মনকে বুঝতে হলে থাকতে হয় অনুভূতিশীল হৃদয়। যারা সমাজের উঁচু স্তরে বাস করে তারা সাধারণ মানুষের হৃদয়কে উপলব্ধি করতে পারে না। কিন্তু এই মানুষেরাই সমাজ সভ্যতার নিপুণ কারিগর। এই সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে কবির কাব্যরচনা সার্থকতা লাভ করে।