যক্ষ্মা রোগ প্রধানত দুই প্রকার। যথাঃ
১. ফুসফুসের যক্ষ্মা
২. ফুসফুস ব্বহির্ভুত যক্ষ্মা
.১. ফুসফুসের যক্ষ্মা কেবল মাত্র ফুসফুসে হয়ে থাকে। এই যক্ষায় সাধারনত দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কাশি থাকে। সন্ধ্যার দিকে জ্বর আসে এবং রাতে ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যায়, ওজন কমতে থাকে, খাবারে রুচি থাকে না, কাশির সাথে রক্ত আসতে পারে। সাধারণত কফ পরীক্ষা ও বুকের এক্সরে করার মাধ্যমে এই রোগ নির্নয় করা যায়।
ফুসফুসের যক্ষ্মা আবার দুই প্রকার
ক) কফে জিবানু যুক্ত যক্ষ্মাঃ কফ পরীক্ষা করে সরাসরি জিবানুর উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই ধরনের যক্ষ্মা বাতাসের মাধ্যমে এক জন থেকে অন্য জনে ছড়াতে পারে।
খ) কফে জিবানু মুক্ত যক্ষ্মাঃ এই যক্ষ্মার ক্ষেত্রে কফ পরিক্ষা করে কোন জিবানু পাওয়া যায় না কিন্তু বুকের এক্সরে করে চিকিৎসক এই যক্ষ্মা নির্নয় করে থাকেন। এই যক্ষ্মা ছোঁয়াচে নয়।
২. ফুসফুস বহির্ভুত যক্ষ্মাঃ এই যক্ষ্মা ফুসফুসের বাইরে যে কোন অঙ্গে হতে পারে। যেমন, গ্রন্থি, চামড়া, ফুসফুস ও ব্রেনের পর্দা, চোখ ইত্যাদি।