জীববিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় MCQ
রেচন প্রক্রিয়া
MCQ নং ১: রেচন কাকে বলে?
(ক) খাদ্য গ্রহণ ও পরিপাক করার প্রক্রিয়া
(খ) দেহের অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর পদার্থ অপসারণের প্রক্রিয়া
(গ) দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত সঞ্চালনের প্রক্রিয়া
(ঘ) দেহের অভ্যন্তরে অক্সিজেন গ্রহণের প্রক্রিয়া
সঠিক উত্তর: (খ) দেহের অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর পদার্থ অপসারণের প্রক্রিয়া
ব্যাখ্যা: রেচন হলো জীবদেহের বিপাক ক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন হওয়া অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর পদার্থ (যেমন: ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড, ক্রিয়েটিনিন) দেহ থেকে নিষ্কাশনের প্রক্রিয়া।
MCQ নং ২: রেচনের প্রধান উদ্দেশ্য কী?
(ক) শক্তি উৎপাদন করা
(খ) দেহ গঠন করা
(গ) দেহের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা
(ঘ) রোগ প্রতিরোধ করা
সঠিক উত্তর: (গ) দেহের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা
ব্যাখ্যা: রেচনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেহের অভ্যন্তরের জল, লবণ এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থের সঠিক মাত্রা বজায় রাখা এবং ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে দেহের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা (হোমিওস্ট্যাসিস)।
MCQ নং ৩: উদ্ভিদের প্রধান রেচন অঙ্গ কোনটি?
(ক) পাতা
(খ) কাণ্ড
(গ) মূল
(ঘ) ফুল
সঠিক উত্তর: (ক) পাতা
ব্যাখ্যা: উদ্ভিদের প্রধান রেচন অঙ্গ হলো পাতা। অনেক উদ্ভিদ তাদের অপ্রয়োজনীয় পদার্থ পাতার মাধ্যমে ত্যাগ করে (যেমন: পত্রমোচন)। এছাড়াও, কিছু উদ্ভিদ কাণ্ড ও অন্যান্য অংশে আঠা, রজন ইত্যাদি জমা করে রাখে।
MCQ নং ৪: পত্রমোচন কোন উদ্ভিদের রেচন প্রক্রিয়া?
(ক) চিরসবুজ উদ্ভিদ
(খ) শীতপ্রধান অঞ্চলের পর্ণমোচী উদ্ভিদ
(গ) মরুভূমির উদ্ভিদ
(ঘ) জলজ উদ্ভিদ
সঠিক উত্তর: (খ) শীতপ্রধান অঞ্চলের পর্ণমোচী উদ্ভিদ
ব্যাখ্যা: শীতপ্রধান অঞ্চলের পর্ণমোচী উদ্ভিদ শীতকালে তাদের পাতা ঝরিয়ে দেয়। এর মাধ্যমে তারা শীতের প্রকোপ এবং পাতার মাধ্যমে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প নির্গমন রোধ করে এবং একই সাথে রেচন পদার্থ ত্যাগ করে।
MCQ নং ৫: উদ্ভিদের রেচন পদার্থ কোনটি?
(ক) অক্সিজেন
(খ) কার্বন ডাই অক্সাইড
(গ) আঠা ও রজন
(ঘ) গ্লুকোজ
সঠিক উত্তর: (গ) আঠা ও রজন
ব্যাখ্যা: উদ্ভিদের রেচন পদার্থের মধ্যে অন্যতম হলো আঠা (যেমন: আমের আঠা) এবং রজন (যেমন: পাইন গাছের রজন), যা তারা বিভিন্ন অংশে জমা করে রাখে। অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসীয় উপজাত দ্রব্য হলেও এগুলো প্রধান রেচন পদার্থ নয়। গ্লুকোজ হলো খাদ্য।
MCQ নং ৬: প্রাণীদের প্রধান রেচন অঙ্গ কোনটি?
(ক) ত্বক
(খ) ফুসফুস
(গ) বৃক্ক
(ঘ) যকৃৎ
সঠিক উত্তর: (গ) বৃক্ক
ব্যাখ্যা: মেরুদণ্ডী প্রাণীদের প্রধান রেচন অঙ্গ হলো বৃক্ক বা কিডনি। এটি রক্ত থেকে নাইট্রোজেনযুক্ত বর্জ্য পদার্থ (যেমন: ইউরিয়া) ছেঁকে নিয়ে মূত্র তৈরি করে এবং দেহের জল ও লবণের ভারসাম্য রক্ষা করে।
MCQ নং ৭: ত্বক কোন ধরনের রেচন পদার্থ ত্যাগ করে?
(ক) কার্বন ডাই অক্সাইড
(খ) ঘাম ও লবণ
(গ) ইউরিয়া
(ঘ) পিত্তরস
সঠিক উত্তর: (খ) ঘাম ও লবণ
ব্যাখ্যা: ত্বক ঘাম গ্রন্থির মাধ্যমে ঘাম নিঃসরণ করে, যার মধ্যে জল, লবণ এবং সামান্য পরিমাণে ইউরিয়া থাকে। এর মাধ্যমে দেহ থেকে কিছু বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত জল ও লবণ বেরিয়ে যায়।
MCQ নং ৮: ফুসফুস কোন ধরনের রেচন পদার্থ ত্যাগ করে?
(ক) ইউরিয়া
(খ) ইউরিক অ্যাসিড
(গ) কার্বন ডাই অক্সাইড ও জলীয় বাষ্প
(ঘ) অ্যামোনিয়া
সঠিক উত্তর: (গ) কার্বন ডাই অক্সাইড ও জলীয় বাষ্প
ব্যাখ্যা: ফুসফুস শ্বসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ত থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং কিছু পরিমাণে জলীয় বাষ্প ত্যাগ করে। এটিও এক প্রকার রেচন প্রক্রিয়া।
MCQ নং ৯: বৃক্কের কার্যকরী একক কোনটি?
(ক) ইউরেটার
(খ) ইউরেথ্রা
(গ) নেফ্রন
(ঘ) গ্লোমেরুলাস
সঠিক উত্তর: (গ) নেফ্রন
ব্যাখ্যা: নেফ্রন হলো বৃক্কের গঠন ও কার্যকারী একক। প্রতিটি বৃক্কে লক্ষ লক্ষ নেফ্রন থাকে যা রক্ত পরিস্রাবণ করে মূত্র তৈরি করে।
MCQ নং ১০: মূত্রনালী (Ureter) কোথা থেকে কোথায় বিস্তৃত?
(ক) বৃক্ক থেকে মূত্রাশয় পর্যন্ত
(খ) মূত্রাশয় থেকে দেহের বাইরে পর্যন্ত
(গ) যকৃৎ থেকে বৃক্ক পর্যন্ত
(ঘ) ফুসফুস থেকে দেহের বাইরে পর্যন্ত
সঠিক উত্তর: (ক) বৃক্ক থেকে মূত্রাশয় পর্যন্ত
ব্যাখ্যা: মূত্রনালী হলো দুটি সরু নল যা প্রতিটি বৃক্ক থেকে উৎপন্ন হয়ে মূত্রাশয়ে গিয়ে মেশে। এর মাধ্যমে বৃক্কে তৈরি হওয়া মূত্র মূত্রাশয়ে জমা হয়।
অধ্যায়: ৮ – রেচন প্রক্রিয়া (অতিরিক্ত MCQ)
MCQ নং ১১: বৃক্কের কোন অংশে রক্ত পরিশ্রুত হয়?
(ক) রেনাল পেলভিস
(খ) ইউরেটার
(গ) নেফ্রন
(ঘ) ক্যাপসুল
সঠিক উত্তর: (গ) নেফ্রন
ব্যাখ্যা: নেফ্রনের গ্লোমেরুলাস নামক অংশে রক্ত কৈশিক জালিকা দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় পরিশ্রুত হয়। এই পরিশ্রুত তরল পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে পরিবর্তিত হয়ে মূত্রে পরিণত হয়।
MCQ নং ১২: গ্লোমেরুলাস কোথায় অবস্থিত?
(ক) বৃক্কের মেডুলা অঞ্চলে
(খ) বৃক্কের কর্টেক্স অঞ্চলে
(গ) ইউরেটারের প্রাচীরে
(ঘ) মূত্রাশয়ের অভ্যন্তরে
সঠিক উত্তর: (খ) বৃক্কের কর্টেক্স অঞ্চলে
ব্যাখ্যা: গ্লোমেরুলাস হলো কৈশিক জালিকার একটি গুচ্ছ যা প্রতিটি নেফ্রনের বোম্যান্স ক্যাপসুলের মধ্যে অবস্থিত এবং এটি বৃক্কের বহিঃস্থ অঞ্চল বা কর্টেক্সে পাওয়া যায়।
MCQ নং ১৩: বোম্যান্স ক্যাপসুল কিসের অংশ?
(ক) ইউরেটার
(খ) নেফ্রন
(গ) রেনাল পেলভিস
(ঘ) মূত্রাশয়
সঠিক উত্তর: (খ) নেফ্রন
ব্যাখ্যা: বোম্যান্স ক্যাপসুল হলো একটি পেয়ালার আকৃতির গঠন যা প্রতিটি নেফ্রনের গোড়ার দিকে গ্লোমেরুলাসকে বেষ্টন করে থাকে এবং রক্ত পরিস্রাবণের প্রথম ধাপ এখানেই ঘটে।
MCQ নং ১৪: মূত্রের প্রধান উপাদান কোনটি?
(ক) অ্যামোনিয়া
(খ) ইউরিক অ্যাসিড
(গ) ইউরিয়া ও জল
(ঘ) ক্রিয়েটিনিন
সঠিক উত্তর: (গ) ইউরিয়া ও জল
ব্যাখ্যা: মানব মূত্রের প্রধান উপাদান হলো জল এবং ইউরিয়া। এছাড়াও সামান্য পরিমাণে লবণ, ইউরিক অ্যাসিড, ক্রিয়েটিনিন এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থও থাকে।
MCQ নং ১৫: বৃক্কে পাথর হওয়ার কারণ কী?
(ক) অতিরিক্ত জল পান করা
(খ) কম পরিমাণে জল পান করা এবং কিছু খনিজ লবণের কেলাস জমা হওয়া
(গ) অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করা
(ঘ) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া
সঠিক উত্তর: (খ) কম পরিমাণে জল পান করা এবং কিছু খনিজ লবণের কেলাস জমা হওয়া
ব্যাখ্যা: যখন শরীরে জলের অভাব হয় এবং মূত্রে কিছু খনিজ লবণ (যেমন: ক্যালসিয়াম অক্সালেট) অতিরিক্ত পরিমাণে থাকে, তখন এগুলো কেলাসিত হয়ে বৃক্কে পাথর তৈরি করতে পারে।
MCQ নং ১৬: ডায়ালাইসিস কোন রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয়?
(ক) হৃদরোগী
(খ) যকৃৎ রোগী
(গ) বৃক্ক বিকল রোগী
(ঘ) ফুসফুস রোগী
সঠিক উত্তর: (গ) বৃক্ক বিকল রোগী
ব্যাখ্যা: যখন কোনো ব্যক্তির বৃক্ক সম্পূর্ণরূপে কার্যকারিতা হারায় (বৃক্ক বিকল), তখন ডায়ালাইসিস নামক কৃত্রিম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করা হয়।
MCQ নং ১৭: উদ্ভিদের রেচন পদার্থ ত্যাগ করার পদ্ধতি কোনটি?
(ক) ব্যাপন
(খ) প্রস্বেদন
(গ) পত্রমোচন ও আঠা নিঃসরণ
(ঘ) উপরের সবগুলো
সঠিক উত্তর: (ঘ) উপরের সবগুলো
ব্যাখ্যা: উদ্ভিদ বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে রেচন পদার্থ ত্যাগ করে। গ্যাসীয় বর্জ্য (যেমন: অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড) ব্যাপন ও প্রস্বেদনের মাধ্যমে, কঠিন ও তরল বর্জ্য (যেমন: আঠা, রজন, ট্যানিন) পত্রমোচন এবং অন্যান্য নিঃসরণের মাধ্যমে ত্যাগ করে।
MCQ নং ১৮: অ্যামোনিয়া ইউরিয়াতে রূপান্তরিত হয় কোথায়?
(ক) বৃক্কে
(খ) যকৃতে
(গ) ফুসফুসে
(ঘ) প্লীহায়
সঠিক উত্তর: (খ) যকৃতে
ব্যাখ্যা: অ্যামোনিয়া একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর নাইট্রোজেনযুক্ত বর্জ্য পদার্থ যা প্রোটিন বিপাকের ফলে উৎপন্ন হয়। যকৃতে এটি কম ক্ষতিকর ইউরিয়াতে রূপান্তরিত হয় এবং পরবর্তীতে বৃক্কের মাধ্যমে দেহ থেকে নির্গত হয়।
MCQ নং ১৯: ইউরিক অ্যাসিড কোন প্রাণীদের প্রধান রেচন পদার্থ?
(ক) মানুষ
(খ) পাখি ও সরীসৃপ
(গ) মাছ
(ঘ) উভচর
সঠিক উত্তর: (খ) পাখি ও সরীসৃপ
ব্যাখ্যা: পাখি ও সরীসৃপদের প্রধান রেচন পদার্থ হলো ইউরিক অ্যাসিড। এটি জলে অদ্রবণীয় হওয়ায় তারা খুব অল্প জলের সাথে এটি ত্যাগ করতে পারে, যা তাদের জল সংরক্ষণে সাহায্য করে।
MCQ নং ২০: বৃক্ক প্রতি মিনিটে কত পরিমাণ রক্ত পরিস্রাবণ করে?
(ক) প্রায় ৫০ মিলিলিটার
(খ) প্রায় ১০০ মিলিলিটার
(গ) প্রায় ১২৫ মিলিলিটার
(ঘ) প্রায় ৫০০ মিলিলিটার
সঠিক উত্তর: (গ) প্রায় ১২৫ মিলিলিটার
ব্যাখ্যা: স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষের প্রতিটি বৃক্ক প্রতি মিনিটে প্রায় ১২৫ মিলিলিটার রক্ত পরিস্রাবণ করে। এই পরিস্রুত তরল থেকে প্রয়োজনীয় পদার্থ পুনরায় শোষিত হওয়ার পর প্রায় ১ মিলিলিটার মূত্র তৈরি হয়।
অধ্যায়: ৮ – রেচন প্রক্রিয়া (আরও ১০টি MCQ)
MCQ নং ২১: মূত্রাশয় কী?
(ক) বৃক্কে রক্ত সরবরাহকারী নালী
(খ) বৃক্ক থেকে মূত্র বহনকারী নালী
(গ) মূত্র জমা রাখার অঙ্গ
(ঘ) রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ
সঠিক উত্তর: (গ) মূত্র জমা রাখার অঙ্গ
ব্যাখ্যা: মূত্রাশয় হলো একটি থলির মতো অঙ্গ, যেখানে বৃক্ক থেকে আসা মূত্র সাময়িকভাবে জমা থাকে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী মূত্রনালীর মাধ্যমে দেহ থেকে নির্গত হয়।
MCQ নং ২২: মূত্রনালী (Urethra) কোথা থেকে কোথায় বিস্তৃত?
(ক) বৃক্ক থেকে মূত্রাশয় পর্যন্ত
(খ) মূত্রাশয় থেকে দেহের বাইরে পর্যন্ত
(গ) যকৃৎ থেকে বৃক্ক পর্যন্ত
(ঘ) ফুসফুস থেকে দেহের বাইরে পর্যন্ত
সঠিক উত্তর: (খ) মূত্রাশয় থেকে দেহের বাইরে পর্যন্ত
ব্যাখ্যা: মূত্রনালী হলো সেই নল যা মূত্রাশয় থেকে মূত্রকে দেহের বাইরে নিষ্কাশনের জন্য বহন করে।
MCQ নং ২৩: বৃক্কের মেডুলা অঞ্চলের আকৃতি কেমন?
(ক) গোলাকার
(খ) পিরামিড আকৃতির
(গ) নলাকার
(ঘ) অনিয়মিত আকৃতির
সঠিক উত্তর: (খ) পিরামিড আকৃতির
ব্যাখ্যা: বৃক্কের ভেতরের অংশ বা মেডুলা কিছু ত্রিকোণাকার বা পিরামিড আকৃতির খণ্ড নিয়ে গঠিত, যাদের রেনাল পিরামিড বলা হয়।
MCQ নং ২৪: বৃক্কের পেলভিস অঞ্চলের কাজ কী?
(ক) রক্ত পরিস্রাবণ করা
(খ) মূত্র তৈরি করা
(গ) মূত্র সংগ্রহ করা
(ঘ) হরমোন নিঃসরণ করা
সঠিক উত্তর: (গ) মূত্র সংগ্রহ করা
ব্যাখ্যা: রেনাল পেলভিস হলো বৃক্কের কেন্দ্রীয় অংশ, যেখানে নেফ্রন থেকে তৈরি হওয়া মূত্র জমা হয় এবং পরবর্তীতে ইউরেটারের মাধ্যমে মূত্রাশয়ে যায়।
MCQ নং ২৫: উদ্ভিদের তরুক্ষীর (Latex) কী?
(ক) এক প্রকার খাদ্য সঞ্চিত পদার্থ
(খ) এক প্রকার রেচন পদার্থ
(গ) এক প্রকার হরমোন
(ঘ) এক প্রকার রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান
সঠিক উত্তর: (খ) এক প্রকার রেচন পদার্থ
ব্যাখ্যা: তরুক্ষীর হলো কিছু উদ্ভিদের (যেমন: রাবার গাছ) কান্ড বা পাতা থেকে নির্গত হওয়া সাদা বা ঈষৎ হলুদ রঙের আঠালো তরল, যা এক প্রকার রেচন পদার্থ হিসেবে বিবেচিত হয়।
MCQ নং ২৬: উদ্ভিদের ট্যানিন কোথায় জমা থাকে?
(ক) পাতায়
(খ) বাকলে
(গ) ফলে
(ঘ) উপরের সবগুলো
সঠিক উত্তর: (ঘ) উপরের সবগুলো
ব্যাখ্যা: ট্যানিন হলো উদ্ভিদের এক প্রকার রেচন পদার্থ যা পাতা, বাকল ও ফল সহ বিভিন্ন অংশে জমা থাকতে পারে এবং এটি গাছের জন্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে।
MCQ নং ২৭: মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা যায় এমন একটি রেচন অঙ্গ কোনটি?
(ক) যকৃৎ
(খ) ফুসফুস
(গ) বৃক্ক
(ঘ) ত্বক
সঠিক উত্তর: (গ) বৃক্ক
ব্যাখ্যা: বৃক্ক বিকল হলে অন্য সুস্থ ব্যক্তির বৃক্ক প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। এটি একটি জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা পদ্ধতি।
MCQ নং ২৮: অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে মানবদেহে কোন রেচন পদার্থের উৎপাদন বাড়ে?
(ক) কার্বন ডাই অক্সাইড
(খ) জল
(গ) ইউরিয়া
(ঘ) লবণ
সঠিক উত্তর: (গ) ইউরিয়া
ব্যাখ্যা: প্রোটিন বিপাকের ফলে অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়, যা যকৃতে ইউরিয়াতে রূপান্তরিত হয়। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে বেশি পরিমাণে অ্যামোনিয়া তৈরি হয় এবং ফলস্বরূপ ইউরিয়ার উৎপাদনও বাড়ে।
MCQ নং ২৯: উদ্ভিদের শ্বাসকার্যের সময় নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড কি তাদের রেচন পদার্থ?
(ক) হ্যাঁ, কারণ এটি অপ্রয়োজনীয়
(খ) না, কারণ এটি সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়
(গ) হ্যাঁ, কারণ এটি বিপাকের উপজাত
(ঘ) কোনোটিই নয়
সঠিক উত্তর: (গ) হ্যাঁ, কারণ এটি বিপাকের উপজাত
ব্যাখ্যা: উদ্ভিদের শ্বাসকার্যের সময় নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড তাদের বিপাক প্রক্রিয়ার উপজাত এবং এটি তাদের জন্য অপ্রয়োজনীয়। তাই এটি এক প্রকার রেচন পদার্থ হিসেবে গণ্য করা যায়, যদিও দিনের বেলায় এটি সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহৃত হতে পারে।
MCQ নং ৩০: রেচনতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য কোনটি জরুরি?
(ক) অতিরিক্ত ব্যায়াম করা
(খ) প্রচুর পরিমাণে জল পান করা
(গ) আমিষ সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া
(ঘ) ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা
সঠিক উত্তর: (খ) প্রচুর পরিমাণে জল পান করা
ব্যাখ্যা: পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা বৃক্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। এটি মূত্র তৈরি এবং বর্জ্য পদার্থ দেহ থেকে নিষ্কাশনে সাহায্য করে এবং বৃক্কে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়।