SSC কৃষি শিক্ষা | | তৃতীয় অধ্যায়: কৃষি ও জলবায়ু MCQ

তৃতীয় অধ্যায়: কৃষি ও জলবায়ু

(Agriculture and Climate) – MCQ প্রশ্ন (১-১৫)


১. প্রশ্ন: সারা বছর ধরে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের সময়কালকে কী বলে?

(ক) ফসলের জীবনকাল

(খ) ফসলের মৌসুম

(গ) ফসলের আবর্তন

(ঘ) ফসলের বৃদ্ধি

সঠিক উত্তর: (খ) ফসলের মৌসুম

ব্যাখ্যা: তৃতীয় অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদে “ফসলের মৌসুম” অংশে বলা হয়েছে, “সারা বছর ধরে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের সময়কালকে ফসলের মৌসুম বলে।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৩)

২. প্রশ্ন: বাংলাদেশে প্রধানত কয়টি মৌসুম বিদ্যমান?

(ক) দুইটি

(খ) তিনটি

(গ) চারটি

(ঘ) ছয়টি

সঠিক উত্তর: (খ) তিনটি

ব্যাখ্যা: “ফসলের মৌসুম” অংশে উল্লেখ আছে, “বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর ভিত্তি করে বছরে প্রধানত তিনটি মৌসুম দেখা যায়।” এই তিনটি মৌসুম হলো রবি মৌসুম, খরিপ-১ মৌসুম এবং খরিপ-২ মৌসুম। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৩)

৩. প্রশ্ন: রবি মৌসুমের সময়কাল কোনটি?

(ক) চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠ (মধ্য মার্চ-মধ্য জুন)

(খ) আষাঢ় থেকে ভাদ্র (মধ্য জুন-মধ্য সেপ্টেম্বর)

(গ) আশ্বিন থেকে ফাল্গুন (মধ্য সেপ্টেম্বর-মধ্য মার্চ)

(ঘ) সারা বছর

সঠিক উত্তর: (গ) আশ্বিন থেকে ফাল্গুন (মধ্য সেপ্টেম্বর-মধ্য মার্চ)

ব্যাখ্যা: রবি মৌসুমের বর্ণনায় উল্লেখ আছে, “আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত (মধ্য সেপ্টেম্বর-মধ্য মার্চ) সময়কে রবি মৌসুম বলে।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৩)

৪. প্রশ্ন: খরিপ-১ মৌসুমের অপর নাম কী?

(ক) বর্ষাকাল

(খ) শীতকাল

(গ) গ্রীষ্মকাল

(ঘ) শরৎকাল

সঠিক উত্তর: (গ) গ্রীষ্মকাল

ব্যাখ্যা: খরিপ-১ মৌসুমের বর্ণনায় বলা হয়েছে, “খরিপ-১ মৌসুমকে গ্রীষ্মকালও বলা হয়।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৩)

৫. প্রশ্ন: খরিপ-২ মৌসুমের সময়কাল কোনটি?

(ক) চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠ

(খ) আষাঢ় থেকে ভাদ্র

(গ) আশ্বিন থেকে ফাল্গুন

(ঘ) ভাদ্র থেকে অগ্রহায়ণ

সঠিক উত্তর: (খ) আষাঢ় থেকে ভাদ্র

ব্যাখ্যা: খরিপ-২ মৌসুমের বর্ণনায় এর সময়কাল “আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত (মধ্য জুন-মধ্য সেপ্টেম্বর)” উল্লেখ করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৩)

৬. প্রশ্ন: রবি মৌসুমের প্রধান বৈশিষ্ট্য কোনটি?

(ক) অধিক বৃষ্টিপাত ও উচ্চ তাপমাত্রা

(খ) কম তাপমাত্রা, কম বৃষ্টিপাত ও বায়ুপ্রবাহের অভাব

(গ) ঝড় ও শিলাবৃষ্টি

(ঘ) বন্যা ও জলাবদ্ধতা

সঠিক উত্তর: (খ) কম তাপমাত্রা, কম বৃষ্টিপাত ও বায়ুপ্রবাহের অভাব

ব্যাখ্যা: রবি মৌসুমের বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, “এ সময় তাপমাত্রা কম থাকে, বৃষ্টিপাত কম হয় এবং বায়ুপ্রবাহ প্রায় থাকে না বললেই চলে।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৩)

৭. প্রশ্ন: নিচের কোনটি রবি মৌসুমের ফসল?

(ক) আউশ ধান

(খ) পাট

(গ) গম

(ঘ) আমন ধান

সঠিক উত্তর: (গ) গম

ব্যাখ্যা: রবি মৌসুমের ফসলের তালিকায় গম, আলু, ডাল, তৈলবীজ, পিঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি উল্লেখ আছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৪, রবি মৌসুমের ফসলের সারণি)

৮. প্রশ্ন: খরিপ-১ মৌসুমের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?

(ক) কম তাপমাত্রা ও শুষ্ক বায়ু

(খ) অধিক বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতা

(গ) কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিসহ বৃষ্টিপাত

(ঘ) শীত ও কুয়াশা

সঠিক উত্তর: (গ) কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিসহ বৃষ্টিপাত

ব্যাখ্যা: খরিপ-১ মৌসুমের বৈশিষ্ট্য হিসেবে “মাঝে মাঝে কালবৈশাখী ঝড় হয় এবং শিলাবৃষ্টিসহ বৃষ্টিপাত হয়” উল্লেখ করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৪)

৯. প্রশ্ন: আউশ ধান কোন মৌসুমের ফসল?

(ক) রবি মৌসুম

(খ) খরিপ-১ মৌসুম

(গ) খরিপ-২ মৌসুম

(ঘ) সকল মৌসুমে

সঠিক উত্তর: (খ) খরিপ-১ মৌসুম

ব্যাখ্যা: খরিপ-১ মৌসুমের ফসলের তালিকায় আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, তিল, মুগ ইত্যাদি রয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৪, খরিপ-১ মৌসুমের ফসলের সারণি)

১০. প্রশ্ন: খরিপ-২ মৌসুমের প্রধান বৈশিষ্ট্য কোনটি?

(ক) কম বৃষ্টিপাত

(খ) শুষ্ক আবহাওয়া

(গ) প্রচুর বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতা

(ঘ) তীব্র শীত

সঠিক উত্তর: (গ) প্রচুর বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতা

ব্যাখ্যা: খরিপ-২ মৌসুমের বৈশিষ্ট্য হিসেবে বলা হয়েছে, “এ মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতাও বেশি থাকে।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৫)

১১. প্রশ্ন: রোপা আমন ও বোনা আমন কোন মৌসুমের প্রধান ফসল?

(ক) রবি মৌসুম

(খ) খরিপ-১ মৌসুম

(গ) খরিপ-২ মৌসুম

(ঘ) সারা বছরের ফসল

সঠিক উত্তর: (গ) খরিপ-২ মৌসুম

ব্যাখ্যা: খরিপ-২ মৌসুমের প্রধান ফসল হিসেবে রোপা আমন ও বোনা আমনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৫, খরিপ-২ মৌসুমের ফসলের সারণি)

১২. প্রশ্ন: জলবায়ু কাকে বলে?

(ক) কোনো স্থানের একদিনের আবহাওয়ার অবস্থা

(খ) কোনো স্থানের এক সপ্তাহের গড় আবহাওয়া

(গ) কোনো স্থানের ৩০-৪০ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থা

(ঘ) কোনো স্থানের এক মাসের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ

সঠিক উত্তর: (গ) কোনো স্থানের ৩০-৪০ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থা

ব্যাখ্যা: “দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ – জলবায়ু ও আবহাওয়া” অংশে জলবায়ুর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “জলবায়ু হলো কোনো একটি অঞ্চলের সাধারণত ৩০-৪০ বছরের আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদানের গড় অবস্থা।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৬)

১৩. প্রশ্ন: আবহাওয়ার উপাদান কোনটি?

(ক) মাটির প্রকারভেদ

(খ) সমুদ্রস্রোত

(গ) বায়ুপ্রবাহ

(ঘ) অক্ষাংশ

সঠিক উত্তর: (গ) বায়ুপ্রবাহ

ব্যাখ্যা: আবহাওয়ার উপাদানসমূহের মধ্যে তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৬)

১৪. প্রশ্ন: পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাকে কী বলে?

(ক) বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং

(খ) মৌসুমী বায়ু

(গ) এল নিনো

(ঘ) গ্রীনহাউস

সঠিক উত্তর: (ক) বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং

ব্যাখ্যা: “তৃতীয় পরিচ্ছেদ – জলবায়ু পরিবর্তন ও এর কারণ” অংশে বলা হয়েছে, “পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাকে বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলে।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৭)

১৫. প্রশ্ন: গ্রীনহাউস গ্যাসের মধ্যে প্রধান গ্যাস কোনটি যা বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য বেশি দায়ী?

(ক) অক্সিজেন

(খ) নাইট্রোজেন

(গ) কার্বন ডাই-অক্সাইড

(ঘ) আর্গন

সঠিক উত্তর: (গ) কার্বন ডাই-অক্সাইড

ব্যাখ্যা: গ্রীনহাউস গ্যাসের বর্ণনায় কার্বন ডাই-অক্সাইডকে প্রধান গ্রীনহাউস গ্যাস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যা পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। “গ্রীনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) প্রধান।” (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৮)

তৃতীয় অধ্যায়: কৃষি ও জলবায়ু (Agriculture and Climate) – MCQ প্রশ্ন (১৬-৩০)

 

১৬. প্রশ্ন: কোনটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ?

(ক) আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত

(খ) মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে গ্রীনহাউস গ্যাস বৃদ্ধি

(গ) সৌরশক্তির পরিবর্তন

(ঘ) পৃথিবীর আহ্নিক গতি

সঠিক উত্তর: (খ) মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে গ্রীনহাউস গ্যাস বৃদ্ধি

ব্যাখ্যা: “তৃতীয় পরিচ্ছেদ – জলবায়ু পরিবর্তন ও এর কারণ” অংশে মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেমন জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, বনভূমি ধ্বংস ইত্যাদিকে গ্রীনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৮-৭৯)

১৭. প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা বেড়েছে?

(ক) ভূমিকম্প

(খ) ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা

(গ) সুনামি

(ঘ) ভূমিধস (পাহাড়ি এলাকা ছাড়া)

সঠিক উত্তর: (খ) ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা

ব্যাখ্যা: “চতুর্থ পরিচ্ছেদ – জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব” অংশে উল্লেখ করা হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা ইত্যাদির প্রকোপ ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৮০-৮১)

১৮. প্রশ্ন: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ কী?

(ক) অধিক বৃষ্টিপাত

(খ) নদীর পানি বৃদ্ধি

(গ) বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বরফ গলে যাওয়া

(ঘ) মাটির ক্ষয়

সঠিক উত্তর: (গ) বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বরফ গলে যাওয়া

ব্যাখ্যা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ ও হিমবাহ গলে যাওয়াকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৮১)

১৯. প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি খাতে কী ধরনের প্রভাব পড়ছে?

(ক) সকল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে

(খ) ফসলের নতুন রোগ ও পোকার আক্রমণ কমে যাচ্ছে

(গ) ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ও উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে

(ঘ) সেচের প্রয়োজনীয়তা কমে যাচ্ছে

সঠিক উত্তর: (গ) ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ও উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে

ব্যাখ্যা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, দুর্যোগের প্রকোপ বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং অনেক ফসলের উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৮২-৮৩)

২০. প্রশ্ন: লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের কৃষি জমি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে?

(ক) উত্তরাঞ্চল

(খ) পূর্বাঞ্চল

(গ) উপকূলীয় অঞ্চল

(ঘ) পাহাড়ি অঞ্চল

সঠিক উত্তর: (গ) উপকূলীয় অঞ্চল

ব্যাখ্যা: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও লবণাক্ত পানি প্রবেশের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি জমি লবণাক্ততার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৮১, ৮৩)

২১. প্রশ্ন: খরা প্রবণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য কোন ধরনের ফসল চাষ করা যেতে পারে?

(ক) অধিক পানি চাহিদাসম্পন্ন ফসল

(খ) খরা সহনশীল ফসল

(গ) লবণাক্ততা সহনশীল ফসল

(ঘ) শীতকালীন শাকসবজি

সঠিক উত্তর: (খ) খরা সহনশীল ফসল

ব্যাখ্যা: “পঞ্চম পরিচ্ছেদ – জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিযোজন কৌশল” অংশে খরা প্রবণ এলাকায় খরা সহনশীল জাতের ফসল (যেমন কাউন, জোয়ার, বাজরা) চাষের কথা বলা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৮৬)

২২. প্রশ্ন: বন্যা প্রবণ এলাকায় বন্যার সময় ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কোন ধরনের ধানের জাত নির্বাচন করা উচিত?

(ক) খাটো জাতের ধান

(খ) স্বল্প জীবনকালের ধান

(গ) নাবি জাতের ধান বা জলসহিষ্ণু ধান

(ঘ) সুগন্ধি চালের ধান

সঠিক উত্তর: (গ) নাবি জাতের ধান বা জলসহিষ্ণু ধান

ব্যাখ্যা: বন্যা মোকাবিলায় অভিযোজন কৌশলের মধ্যে নাবি জাতের ধান চাষ অথবা জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের জাত ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৮৭)

২৩. প্রশ্ন: ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ কোন এলাকার জন্য একটি উপযোগী অভিযোজন কৌশল?

(ক) খরা প্রবণ এলাকা

(খ) পাহাড়ি এলাকা

(গ) জলাবদ্ধ ও বন্যা কবলিত এলাকা

(ঘ) লবণাক্ত এলাকা

সঠিক উত্তর: (গ) জলাবদ্ধ ও বন্যা কবলিত এলাকা

ব্যাখ্যা: জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে জলাবদ্ধ ও বন্যা কবলিত এলাকায় ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ একটি কার্যকর অভিযোজন কৌশল। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৮৮)

২৪. প্রশ্ন: উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় কোন ধরনের মাছ চাষ করা যেতে পারে?

(ক) মিঠা পানির কার্প জাতীয় মাছ

(খ) লবণাক্ততা সহিষ্ণু মাছ যেমন ভেটকি, বাগদা চিংড়ি

(গ) পাঙ্গাশ মাছ

(ঘ) কৈ মাছ

সঠিক উত্তর: (খ) লবণাক্ততা সহিষ্ণু মাছ যেমন ভেটকি, বাগদা চিংড়ি

ব্যাখ্যা: লবণাক্ত এলাকায় অভিযোজন কৌশল হিসেবে লবণাক্ততা সহনশীল মাছ যেমন ভেটকি, পারশে, বাগদা চিংড়ি, গলদা চিংড়ি চাষের কথা বলা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৮৯)

২৫. প্রশ্ন: ‘শূন্য চাষ’ পদ্ধতি কী?

(ক) জমিতে কোনো প্রকার চাষ না দিয়ে ফসল উৎপাদন

(খ) জমিতে গভীরভাবে চাষ দেওয়া

(গ) শুধুমাত্র একবার চাষ দিয়ে ফসল উৎপাদন

(ঘ) রাসায়নিক সার ছাড়া চাষাবাদ

সঠিক উত্তর: (ক) জমিতে কোনো প্রকার চাষ না দিয়ে ফসল উৎপাদন

ব্যাখ্যা: অভিযোজন কৌশলের অংশ হিসেবে “শূন্য চাষ” পদ্ধতির কথা উল্লেখ আছে, যেখানে পূর্ববর্তী ফসলের অবশিষ্টাংশের উপর সরাসরি পরবর্তী ফসলের বীজ বপন করা হয়, এতে মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষিত হয়। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৮৭)

২৬. প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় কৃষি ক্ষেত্রে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ?

(ক) শুধুমাত্র অধিক ফলনশীল জাত ব্যবহার

(খ) শুধুমাত্র রাসায়নিক সারের ব্যবহার বৃদ্ধি

(গ) অভিযোজনমূলক কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ

(ঘ) কৃষিজমি হ্রাস করা

সঠিক উত্তর: (গ) অভিযোজনমূলক কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ

ব্যাখ্যা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে কৃষিকে টিকিয়ে রাখার জন্য খাপ খাওয়ানোর উপযোগী নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। (সাধারণ ধারণা এবং অভিযোজন কৌশল পরিচ্ছেদ অনুসারে, PDF পৃষ্ঠা ৮৫-৯০)

২৭. প্রশ্ন: আগাম বন্যা থেকে ফসল রক্ষার একটি উপায় কী?

(ক) দেরিতে ফসল রোপণ

(খ) আগাম জাতের বা স্বল্প জীবনকালের ফসল চাষ

(গ) বন্যা প্রতিরোধী বাঁধ নির্মাণ না করা

(ঘ) জমিতে পানি ধরে রাখা

সঠিক উত্তর: (খ) আগাম জাতের বা স্বল্প জীবনকালের ফসল চাষ

ব্যাখ্যা: বন্যা প্রবণ এলাকায় অভিযোজন কৌশলের মধ্যে আগাম জাতের ফসল চাষ করে বন্যার আগেই ফসল ঘরে তোলার কথা বলা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৮৭)

২৮. প্রশ্ন: গ্রীনহাউস প্রভাব কী?

(ক) গাছে সবুজ পাতা তৈরির প্রক্রিয়া

(খ) কিছু গ্যাসের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমে যাওয়া

(গ) কিছু গ্যাসের কারণে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়া

(ঘ) মরুভূমিতে সবুজায়ন প্রকল্প

সঠিক উত্তর: (গ) কিছু গ্যাসের কারণে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়া

ব্যাখ্যা: “তৃতীয় পরিচ্ছেদ – জলবায়ু পরিবর্তন ও এর কারণ” অংশে গ্রীনহাউস প্রভাব ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যেখানে কিছু গ্যাস (গ্রীনহাউস গ্যাস) পৃথিবীর তাপ শোষণ করে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত রাখে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৭৭-৭৮)

২৯. প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের মৎস্য খাতে কোন ধরনের ঝুঁকি বাড়ছে?

(ক) মাছের নতুন জাত উদ্ভাবন

(খ) মাছের উৎপাদন খরচ কমে যাওয়া

(গ) মাছের প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট হওয়া ও জীববৈচিত্র্য হ্রাস

(ঘ) মাছের রপ্তানি বৃদ্ধি

সঠিক উত্তর: (গ) মাছের প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট হওয়া ও জীববৈচিত্র্য হ্রাস

ব্যাখ্যা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, বন্যা ইত্যাদি কারণে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং অনেক মিঠা পানির মাছের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৮৪)

৩০. প্রশ্ন: বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে কোন মৌসুমে সেচের কাজে লাগানো যেতে পারে?

(ক) বর্ষা মৌসুমে

(খ) শুষ্ক মৌসুমে বা রবি মৌসুমে

(গ) শরৎকালে

(ঘ) বসন্তকালে

সঠিক উত্তর: (খ) শুষ্ক মৌসুমে বা রবি মৌসুমে

ব্যাখ্যা: খরা মোকাবিলায় ও সেচ ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে শুষ্ক মৌসুমে সেচের কাজে ব্যবহার একটি কার্যকর অভিযোজন কৌশল। (তথ্যসূত্র: PDF পৃষ্ঠা ৮৬, “পানি সংরক্ষণ” অংশ)

Leave a Reply

Scroll to Top