দ্বিতীয় অধ্যায়: কৃষি উপকরণ
(Agricultural Inputs) – MCQ প্রশ্ন
১. প্রশ্ন: উদ্ভিদতত্ত্ব অনুসারে, উদ্ভিদের নিষিক্ত ও পরিপক্ক ডিম্বককে কী বলে?
(ক) ফল
(খ) ফুল
(গ) বীজ
(ঘ) চারা
সঠিক উত্তর: (গ) বীজ
ব্যাখ্যা: দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদে উল্লেখ আছে, “উদ্ভিদতত্ত্ব অনুসারে, উদ্ভিদের নিষিক্ত ও পরিপক্ক ডিম্বককে বীজ বলে।” (source: 506) একে ফসল বীজ বা প্রকৃত বীজও বলা হয়।
২. প্রশ্ন: কৃষিতত্ত্ব অনুসারে উদ্ভিদের যে কোনো অংশ (যেমন মূল, পাতা, কাণ্ড) যা নতুন উদ্ভিদের জন্ম দিতে পারে, তাকে কী বলে?
(ক) প্রকৃত বীজ
(খ) বংশবিস্তারক উপকরণ
(গ) ফল
(ঘ) ফুল
সঠিক উত্তর: (খ) বংশবিস্তারক উপকরণ
ব্যাখ্যা: দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে, “কৃষিতত্ত্ব অনুসারে উদ্ভিদের যেকোনো অংশ (মূল, পাতা, কাণ্ড, কুঁড়ি, শাখা) যা উপযুক্ত পরিবেশে একই জাতের নতুন উদ্ভিদের জন্ম দিতে পারে, তাকে বংশবিস্তারক উপকরণ বলে।” (source: 509) একে কৃষিতাত্ত্বিক বীজও বলা হয়।
৩. প্রশ্ন: নিচের কোনটি উদ্ভিদতাত্ত্বিক বীজের উদাহরণ?
(ক) আমের কলম
(খ) আলুর কন্দ
(গ) ধান
(ঘ) পাথরকুচি গাছের পাতা
সঠিক উত্তর: (গ) ধান
ব্যাখ্যা: বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ধান, গম, সরিষা ইত্যাদিকে উদ্ভিদতাত্ত্বিক বা প্রকৃত বীজের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। (source: 508)
৪. প্রশ্ন: বীজ উৎপাদনের জন্য নির্বাচিত জমিতে পূর্ববর্তী বছরে একই জাতের বীজের চাষ না হয়ে থাকলে কী সুবিধা হয়?
(ক) মাটির উর্বরতা বাড়ে
(খ) আগাছা কম হয়
(গ) বীজের বিশুদ্ধতা বজায় থাকে, সংমিশ্রণ ঘটে না
(ঘ) সেচ কম লাগে
সঠিক উত্তর: (গ) বীজের বিশুদ্ধতা বজায় থাকে, সংমিশ্রণ ঘটে না
ব্যাখ্যা: বীজ জমি নির্বাচন অংশে বলা হয়েছে, “নির্বাচিত জমিতে পূর্ববর্তী বছরে একই জাতের বীজের চাষ না হয়ে থাকলে আরও ভালো।” (source: 517) এর উদ্দেশ্য হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত শস্য বীজের সাথে যেন অন্য জাতের বীজের সংমিশ্রণ না ঘটে। (source: 519)
৫. প্রশ্ন: বীজ উৎপাদনের জন্য বীজ সংগ্রহের সময় কোন তথ্যটি জেনে নেওয়া আবশ্যক নয়?
(ক) জাতের নাম
(খ) বীজের রঙ
(গ) বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা
(ঘ) বীজ উৎপাদনকারীর নাম ও নম্বর
সঠিক উত্তর: (খ) বীজের রঙ
ব্যাখ্যা: বীজ সংগ্রহের সময় যে তথ্যগুলো জেনে নিতে হয় তার তালিকায় বীজের রঙ উল্লেখ নেই, তবে জাতের নাম, অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা, উৎপাদনকারীর নাম ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ। (source: 521, 522)
৬. প্রশ্ন: হেক্টর প্রতি বীজের হার কীসের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়?
(ক) শুধুমাত্র বীজের আকারের উপর
(খ) শুধুমাত্র বপনের সময়ের উপর
(গ) বীজের বিশুদ্ধতা, সজীবতা, অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা, আকার, বপনের সময়, মাটির উর্বরতা শক্তি
(ঘ) শুধুমাত্র মাটির প্রকারভেদের উপর
সঠিক উত্তর: (গ) বীজের বিশুদ্ধতা, সজীবতা, অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা, আকার, বপনের সময়, মাটির উর্বরতা শক্তি
ব্যাখ্যা: দ্বিতীয় অধ্যায়ে বীজের হার নির্ধারণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “বীজের বিশুদ্ধতা, সজীবতা, অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা, আকার, বপনের সময়, মাটির উর্বরতা শক্তি এসব বিবেচনা করে হেক্টর প্রতি বীজের হার নির্ধারণ করা হয়।” (source: 523)
৭. প্রশ্ন: বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ‘রোগিং’ বা বাছাইকরণ কখন করা হয়?
(ক) শুধুমাত্র ফসল কাটার সময়
(খ) ফুল আসার আগে, ফুল আসার সময় এবং পরিপক্ক পর্যায়ে
(গ) শুধুমাত্র বীজ বপনের সময়
(ঘ) শুধুমাত্র চারা গজানোর পর
সঠিক উত্তর: (খ) ফুল আসার আগে, ফুল আসার সময় এবং পরিপক্ক পর্যায়ে
ব্যাখ্যা: রোগিং বা বাছাইকরণ অংশে উল্লেখ আছে, “তিন পর্যায়ে রোগিং বা বাছাই করা হয়। ক। ফুল আসার আগে খ। ফুল আসার সময় গ। পরিপক্ক পর্যায়ে”। (source: 531)
৮. প্রশ্ন: বীজ আলু উৎপাদনের জন্য কোন ধরনের মাটি সর্বোত্তম?
(ক) এঁটেল মাটি
(খ) বেলে মাটি
(গ) সুনিষ্কাশিত বেলে দোআঁশ মাটি
(ঘ) কর্দমাক্ত মাটি
সঠিক উত্তর: (গ) সুনিষ্কাশিত বেলে দোআঁশ মাটি
ব্যাখ্যা: বীজ আলু উৎপাদন পদ্ধতির জমি নির্বাচন অংশে বলা হয়েছে, “বীজ আলুর ভালো ফলন পাওয়ার জন্য সুনিষ্কাশিত বেলে দোআঁশ মাটি সর্বোত্তম।” (source: 543)
৯. প্রশ্ন: বীজ আলু শোধনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে কত গ্রাম বরিক পাউডার মেশাতে হয়?
(ক) ১০ গ্রাম
(খ) ২০ গ্রাম
(গ) ৩০ গ্রাম
(ঘ) ৪০ গ্রাম
সঠিক উত্তর: (গ) ৩০ গ্রাম
ব্যাখ্যা: বীজ শোধন অংশে উল্লেখ আছে, “১ লি. পানিতে ৩০ গ্রাম বরিক পাউডার মিশিয়ে বীজ আলু ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে পরে ছায়ায় শুকাতে হবে”। (source: 547)
১০. প্রশ্ন: আলু কাটার সময় প্রতি কর্তিত অংশে অন্তত কয়টি চোখ অবশ্যই রাখতে হবে?
(ক) ১টি
(খ) ২টি
(গ) ৩টি
(ঘ) ৪টি
সঠিক উত্তর: (খ) ২টি
ব্যাখ্যা: বীজ প্রস্তুতি অংশে বলা হয়েছে, “আলু কেটে লাগালে প্রতি কর্তিত অংশে অন্তত ২টি চোখ অবশ্যই রাখতে হবে।” (source: 549)
১১. প্রশ্ন: আলুর ব্যাকটেরিয়া জনিত ঢলে পড়া রোগ প্রতিরোধের জন্য শেষ চাষের পূর্বে প্রতি শতাংশ জমিতে কত গ্রাম স্টেবল ব্লিচিং পাউডার মাটির সাথে মেশানো উত্তম?
(ক) ৫০ গ্রাম
(খ) ৮০ গ্রাম
(গ) ১০০ গ্রাম
(ঘ) ১২০ গ্রাম
সঠিক উত্তর: (খ) ৮০ গ্রাম
ব্যাখ্যা: মাটিতে ঔষধ প্রয়োগ অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, “…শেষ চাষের পূর্বে প্রতি শতাংশ জমিতে ৮০ গ্রাম স্টেবল ব্লিচিং পাউডার বা ক্লোরোপিক্সিন মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া উত্তম।” (source: 551)
১২. প্রশ্ন: আলু রোপণের কত দিন পর ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করে সেচ দিতে হয়?
(ক) ১০-১৫ দিন পর
(খ) ২০-২৫ দিন পর
(গ) ৩০-৩৫ দিন পর
(ঘ) ৪০-৪৫ দিন পর
সঠিক উত্তর: (গ) ৩০-৩৫ দিন পর
ব্যাখ্যা: সার প্রয়োগ অংশে বলা হয়েছে, “বাকি ইউরিয়া রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর গাছের গোড়ায় মাটি তুলে দেওয়ার সময় প্রয়োগ করে সেচ দিতে হবে।” (source: 556) এবং সেচ ব্যবস্থাপনা অংশেও, “রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করে সেচ দিতে হবে…” (source: 564)
১৩. প্রশ্ন: মাটির উপরের গাছের সম্পূর্ণ অংশকে উপড়ে ফেলাকে কী বলে?
(ক) রোগিং
(খ) নিড়ানি
(গ) হাম পুলিং
(ঘ) মালচিং
সঠিক উত্তর: (গ) হাম পুলিং
ব্যাখ্যা: ফসল সংগ্রহ এবং পরিচর্যা অংশে ‘হাম পুলিং’ এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “মাটির উপরের গাছের সম্পূর্ণ অংশকে উপড়ে ফেলাকে হাম পুলিং বলে।” (source: 582)
১৪. প্রশ্ন: বংশবিস্তারক উপকরণ ব্যবহার করে বংশবিস্তার করা হলে মাতৃগাছের গুণাগুণ কেমন থাকে?
(ক) পরিবর্তিত হয়
(খ) বজায় থাকে
(গ) নষ্ট হয়ে যায়
(ঘ) অনিয়মিত হয়
সঠিক উত্তর: (খ) বজায় থাকে
ব্যাখ্যা: বংশবিস্তারক উপকরণের গুরুত্ব অংশে বলা হয়েছে, “…মাতৃগুণাগুণ বজায় থাকে।” (source: 597)
১৫. প্রশ্ন: পুকুর কী?
(ক) একটি বড় নদী
(খ) একটি বহমান জলাশয়
(গ) ছোট ও অগভীর বদ্ধ জলাশয় যেখানে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে মাছ চাষ করা যায়
(ঘ) সমুদ্রের অংশ
সঠিক উত্তর: (গ) ছোট ও অগভীর বদ্ধ জলাশয় যেখানে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে মাছ চাষ করা যায়
ব্যাখ্যা: দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ, মাছের পুকুর অংশে বলা হয়েছে, “পুকুর হচ্ছে ছোট ও অগভীর বদ্ধ জলাশয়, যেখানে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে মাছ চাষ করা যায় এবং প্রয়োজনে এটিকে সহজেই সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে ফেলা যায়।”
দ্বিতীয় অধ্যায়: কৃষি উপকরণ (Agricultural Inputs) – MCQ প্রশ্ন
১৬. প্রশ্ন: একটি আদর্শ মাছ চাষের পুকুরের পানির গভীরতা কত হওয়া সুবিধাজনক?
(ক) ০.২৫-০.৫০ মিটার
(খ) ০.৫০-০.৭৫ মিটার
(গ) ০.৭৫-২ মিটার
(ঘ) ২-৩ মিটার
সঠিক উত্তর: (গ) ০.৭৫-২ মিটার
ব্যাখ্যা: আদর্শ পুকুরের বৈশিষ্ট্য অংশে বলা হয়েছে, “পুকুরের পানির গভীরতা ০.৭৫-২ মিটার সুবিধাজনক।” (source: 607)
১৭. প্রশ্ন: পুকুরের পাড় কী হারে ঢালু হলে সবচেয়ে ভালো?
(ক) ১:১ হারে
(খ) ১:২ হারে
(গ) ২:১ হারে
(ঘ) ১:৩ হারে
সঠিক উত্তর: (খ) ১:২ হারে
ব্যাখ্যা: আদর্শ পুকুরের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, “পুকুরের পাড়গুলো ১:২ হারে ঢালু হলে সবচেয়ে ভালো।” (source: 612) এর অর্থ হলো, পুকুরের তলা থেকে পাড় যতটুকু উঁচু, পাড় ঢালু হয়ে পুকুরের তলার দিকে দ্বিগুণ দূরত্বে মিশবে।
১৮. প্রশ্ন: মাছ চাষের জন্য পুকুরের পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমপক্ষে কত থাকা প্রয়োজন?
(ক) ২ মিলি গ্রাম/লিটার
(খ) ৩ মিলি গ্রাম/লিটার
(গ) ৫ মিলি গ্রাম/লিটার
(ঘ) ১০ মিলি গ্রাম/লিটার
সঠিক উত্তর: (গ) ৫ মিলি গ্রাম/লিটার
ব্যাখ্যা: পুকুরের পানির রাসায়নিক গুণাগুণ অংশে উল্লেখ আছে, “মাছ চাষের জন্য পুকুরের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমপক্ষে ৫ মিলি গ্রাম/লিটার (৫ পিপিএম) থাকা প্রয়োজন।” (source: 630)
১৯. প্রশ্ন: মাছ চাষের জন্য পুকুরের পানির pH মান কত এর মধ্যে হলে ভালো হয়?
(ক) ৪.৫ হতে ৬.০
(খ) ৬.৫ হতে ৮.৫
(গ) ৯.০ হতে ১০.০
(ঘ) ১০.৫ হতে ১১.৫
সঠিক উত্তর: (খ) ৬.৫ হতে ৮.৫
ব্যাখ্যা: pH সম্পর্কিত অংশে বলা হয়েছে, “মাছ চাষের জন্য পুকুরের পানির PH ৬.৫ হতে ৮.৫ এর মধ্যে হলে ভালো হয়।” (source: 635)
২০. প্রশ্ন: যে পুকুরে রেণু পোনা ছেড়ে ধানী পোনা পর্যন্ত বড় করা হয় তাকে কী বলে?
(ক) মজুদ পুকুর
(খ) লালন পুকুর
(গ) আঁতুড় বা নার্সারি পুকুর
(ঘ) স্থায়ী পুকুর
সঠিক উত্তর: (গ) আঁতুড় বা নার্সারি পুকুর
ব্যাখ্যা: পুকুরের প্রকারভেদ অংশে আঁতুড় বা নার্সারি পুকুরের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “যে পুকুরে রেণু পোনা ছেড়ে ধানী পোনা পর্যন্ত বড় করা হয় তাকে আঁতুড় বা নার্সারি পুকুর বলে।” (source: 651)
২১. প্রশ্ন: ডিম ফোটার পর মাছের পোনার পেটের নিচে যে থলি থাকে, সেই অবস্থায় পোনা কোথা থেকে খাদ্য গ্রহণ করে?
(ক) বাইরের প্রাকৃতিক খাদ্য থেকে
(খ) সম্পূরক খাদ্য থেকে
(গ) কুসুম থলি থেকে
(ঘ) জলজ কীট থেকে
সঠিক উত্তর: (গ) কুসুম থলি থেকে
ব্যাখ্যা: মাছের পোনার বিভিন্ন পর্যায় বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, ডিম পোনার পেটের নিচে একটি থলি থাকে এবং “থলি থাকা অবস্থায় (২-৩দিন) এরা বাইরে থেকে কোনো খাদ্য গ্রহণ করে না।” (source: 649) এই থলিটিই কুসুম থলি যা থেকে পোনা পুষ্টি পায়।
২২. প্রশ্ন: লালন পুকুরে সাধারণত কোন আকারের পোনা ছাড়া হয়?
(ক) ডিম পোনা
(খ) রেণু পোনা
(গ) ধানী পোনা
(ঘ) বড় মাছ
সঠিক উত্তর: (গ) ধানী পোনা
ব্যাখ্যা: লালন পুকুরের বিবরণে বলা হয়েছে, “যে পুকুরে ধানী পোনা ছেড়ে চারা বা আঙুলে পোনা পর্যন্ত বড় করা হয় তাকে লালন পুকুর বলে।” (source: 653)
২৩. প্রশ্ন: পুকুরের কোন স্তরে ফাইটোপ্লাংকটন বেশি থাকে?
(ক) নিচের স্তরে
(খ) মধ্যস্তরে
(গ) উপরের স্তরে
(ঘ) সকল স্তরে সমানভাবে
সঠিক উত্তর: (গ) উপরের স্তরে
ব্যাখ্যা: পুকুরের বিভিন্ন স্তর অংশে উপরের স্তরের বর্ণনায় আছে, “পুকুরের উপরের স্তরে ফাইটোপ্লাংকটন বেশি থাকে, যা মাছের খাদ্য।” (source: 665)
২৪. প্রশ্ন: রুই মাছ সাধারণত পুকুরের কোন স্তরে বিচরণ করে ও খাদ্য গ্রহণ করে?
(ক) উপরের স্তরে
(খ) মধ্যস্তরে
(গ) নিচের স্তরে
(ঘ) সকল স্তরে
সঠিক উত্তর: (খ) মধ্যস্তরে
ব্যাখ্যা: পুকুরের মধ্যস্তরের বর্ণনায় উল্লেখ আছে, “রুই মাছ এই স্তরে থাকে ও খাদ্য গ্রহণ করে।” (source: 667) (পাঠ্যবইতে “ব্রুই মাছ” উল্লেখ থাকলেও এটি সম্ভবত রুই মাছকেই নির্দেশ করছে এবং সাধারণত রুই মাছ মধ্যস্তরের মাছ হিসেবে পরিচিত)।
২৫. প্রশ্ন: মৃগেল, কালবাউশ, কার্পিও মাছ পুকুরের কোন স্তরে বাস করে ও খাদ্য গ্রহণ করে?
(ক) উপরের স্তরে
(খ) মধ্যস্তরে
(গ) নিচের স্তরে
(ঘ) শুধুমাত্র পাড়ে
সঠিক উত্তর: (গ) নিচের স্তরে
ব্যাখ্যা: পুকুরের নিচের স্তরের বর্ণনায় বলা হয়েছে, “মৃগেল, কালবাউশ, কার্পিও বা কমন কার্প … এই স্তরে বাস করে ও খাদ্য গ্রহণ করে।” (source: 669)
২৬. প্রশ্ন: হাঁস-মুরগির বাসস্থানকে কী বলে?
(ক) গোয়াল ঘর
(খ) আস্তাবল
(গ) পোলট্রি হাউজ বা মুরগির ঘর
(ঘ) খামার
সঠিক উত্তর: (গ) পোলট্রি হাউজ বা মুরগির ঘর
ব্যাখ্যা: তৃতীয় পরিচ্ছেদের শুরুতে বলা হয়েছে, “হাঁস-মুরগির বাসস্থানকে পোলট্রি হাউজ বা মুরগির ঘর বলে।” (source: 687)
২৭. প্রশ্ন: পাখির ঘর তৈরির জন্য স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়?
(ক) নিচু ও জলাবদ্ধ এলাকা
(খ) লোকালয় থেকে দূরে নির্জন এলাকা
(গ) উঁচু, শুষ্ক ও বন্যা মুক্ত এলাকা
(ঘ) ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা
সঠিক উত্তর: (গ) উঁচু, শুষ্ক ও বন্যা মুক্ত এলাকা
ব্যাখ্যা: পাখির ঘর তৈরির জন্য স্থান নির্বাচন অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, “স্থানটি উঁচু, শুষ্ক, বন্যামুক্ত এবং সহজে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন হওয়া উচিত।” (source: 690)
২৮. প্রশ্ন: মুরগির ঘরের আশেপাশে কোন ধরনের গাছ লাগানো উচিত নয়?
(ক) ফল গাছ
(খ) ফুলের গাছ
(গ) বড় ছায়াপ্রদানকারী গাছ
(ঘ) ঔষধী গাছ
সঠিক উত্তর: (গ) বড় ছায়াপ্রদানকারী গাছ
ব্যাখ্যা: স্থান নির্বাচন অংশে বলা আছে, “ঘরের আশেপাশে কোনো বড় গাছপালা থাকা উচিত নয়।” (source: 690) কারণ এতে আলো-বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এবং রোগজীবাণুর ঝুঁকি বাড়ে।
২৯. প্রশ্ন: বাচ্চা মুরগির (ব্রুডার হাউজ) ঘরের তাপমাত্রা প্রথম সপ্তাহে কত হওয়া উচিত?
(ক) ২৫° সে.
(খ) ৩০° সে.
(গ) ৩৫° সে.
(ঘ) ৪০° সে.
সঠিক উত্তর: (গ) ৩৫° সে.
ব্যাখ্যা: ব্রুডার ঘরের তাপমাত্রা সম্পর্কে বলা হয়েছে, “প্রথম সপ্তাহে ব্রুডার ঘরের তাপমাত্রা ৩৫° সে. (৯৫° ফা.) হওয়া উচিত। এরপর প্রতি সপ্তাহে ২.৮° সে. (৫° ফা.) করে তাপমাত্রা কমাতে হবে।” (source: 702)
৩০. প্রশ্ন: ডিমপাড়া মুরগির জন্য দৈনিক কত ঘন্টা আলো প্রয়োজন?
(ক) ৮-১০ ঘন্টা
(খ) ১০-১২ ঘন্টা
(গ) ১৪-১৬ ঘন্টা
(ঘ) ১৮-২০ ঘন্টা
সঠিক উত্তর: (গ) ১৪-১৬ ঘন্টা
ব্যাখ্যা: আলোকদান কর্মসূচিতে উল্লেখ আছে, “ডিমপাড়া মুরগির জন্য দৈনিক ১৪-১৬ ঘন্টা আলোর প্রয়োজন।”