SSC কৃষি শিক্ষা
প্রথম অধ্যায়: কৃষি প্রযুক্তি
১. প্রশ্ন: ফসল উৎপাদনের অন্যতম মাধ্যম কোনটি?
(ক) বীজ
(খ) সার
(গ) মাটি
(ঘ) পানি
সঠিক উত্তর: (গ) মাটি
ব্যাখ্যা: বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদে উল্লেখ আছে যে, “মাটি ফসল উৎপাদনের অন্যতম মাধ্যম।” মাটি ফসলকে ধারণ করে এবং পানি ও পুষ্টি সরবরাহ করে।
২. প্রশ্ন: কৃষকের ভাষায় কতটুকু গভীর স্তরকে মাটি বলা হয়?
(ক) ৫-১০ সে.মি.
(খ) ১০-১৫ সে.মি.
(গ) ১৫-১৮ সে.মি.
(ঘ) ২০-২৫ সে.মি.
সঠিক উত্তর: (গ) ১৫-১৮ সে.মি.
ব্যাখ্যা: প্রথম অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ” কৃষকের ভাষায় ভূ-পৃষ্ঠের ১৫-১৮ সে.মি. গভীর স্তরকে মাটি বলা হয়।” এই স্তরটি ফসল উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৩. প্রশ্ন: কোন প্রকার মাটি ধান চাষের জন্য খুব ভালো?
(ক) বেলে মাটি
(খ) দো-আঁশ মাটি
(গ) এঁটেল ও এঁটেল দো-আঁশ মাটি
(ঘ) কংকর ও বেলেমাটি
সঠিক উত্তর: (গ) এঁটেল ও এঁটেল দো-আঁশ মাটি
ব্যাখ্যা: ধান চাষোপযোগী মাটির বৈশিষ্ট্য অংশে বলা হয়েছে, “এঁটেল ও এঁটেল দোআঁশ মাটি ধান চাষের জন্য খুব ভালো।” এই মাটি পানি ধরে রাখতে পারে যা ধান চাষের জন্য অপরিহার্য।
৪. প্রশ্ন: গম চাষের জন্য কোন ধরনের জমি বেশি উপযোগী?
(ক) নিচু জমি
(খ) মাঝারি নিচু জমি
(গ) উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি
(ঘ) জলাবদ্ধ জমি
সঠিক উত্তর: (গ) উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি
ব্যাখ্যা: গম চাষোপযোগী মাটির বৈশিষ্ট্য অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, “উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি গম চাষের জন্য উপযোগী।” গম জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না।
৫. প্রশ্ন: বাংলাদেশের মাটিতে প্রায় সকল প্রকার ফসল কমবেশি জন্মানোর কারণ কী?
(ক) অধিক বৃষ্টিপাত
(খ) নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু
(গ) পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার পলি দ্বারা গঠিত
(ঘ) কৃষকদের দক্ষতা
সঠিক উত্তর: (গ) পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার পলি দ্বারা গঠিত
ব্যাখ্যা: পাঠ্যবই অনুযায়ী, “বাংলাদেশের মাটি পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার পলি দ্বারা সৃষ্টি হওয়ার কারণে সব ধরনের ফসলই কমবেশি জন্মায়।”
৬. প্রশ্ন: মাটির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাংলাদেশকে কয়টি কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে?
(ক) ২০টি
(খ) ২৫টি
(গ) ৩০টি
(ঘ) ৩৫টি
সঠিক উত্তর: (গ) ৩০টি
ব্যাখ্যা: বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে উল্লেখ আছে, “মাটির প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাংলাদেশকে ৩০টি কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে।” (source: 61) এটি মাটির বৈশিষ্ট্যভিত্তিক ফসল নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৭. প্রশ্ন: দো-আঁশ ও পলি দো-আঁশ মাটি অঞ্চলের মাটির pH মাত্রা সাধারণত কত থাকে?
(ক) ৪.০ হতে ৫.০
(খ) ৪.৯ হতে ৬.২
(গ) ৬.৫ হতে ৭.৫
(ঘ) ৭.০ হতে ৮.৫
সঠিক উত্তর: (খ) ৪.৯ হতে ৬.২
ব্যাখ্যা: দো-আঁশ ও পলি দো-আঁশ মাটি অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য বর্ণনায় আছে, দো-আঁশ অঞ্চলের মাটির pH মাত্রা ৫.২ হতে ৬.২ পর্যন্ত এবং পলি দো-আঁশ অঞ্চলের মাটিতে pH মাত্রা ৪.৯ হতে ৬.১ পর্যন্ত। (source: 69) সুতরাং সম্মিলিতভাবে এই রেঞ্জটি প্রযোজ্য।
৮. প্রশ্ন: কাদা মাটি অঞ্চলে প্রধানত কোন ফসল ভালো জন্মে?
(ক) গম
(খ) আলু
(গ) ধান
(ঘ) পাট
সঠিক উত্তর: (গ) ধান
ব্যাখ্যা: কাদা মাটি অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, “কাদা মাটিতে ধানের উৎপাদন ভালো হয়।” (source: 69) এই অঞ্চলের মাটি ধান চাষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
৯. প্রশ্ন: বরেন্দ্র ও মধুপুর অঞ্চলের মাটিতে জৈব পদার্থ ও পটাশজাত খনিজের মাত্রা কেমন থাকে?
(ক) খুব বেশি
(খ) মাঝারি
(গ) নিম্নমাত্রার
(ঘ) অনুপস্থিত
সঠিক উত্তর: (গ) নিম্নমাত্রার
ব্যাখ্যা: বরেন্দ্র ও মধুপুর অঞ্চলের মাটির বিবরণে বলা হয়েছে, “মাটিতে নিম্নমাত্রার জৈব পদার্থ ও পটাশজাত খনিজ পদার্থ রয়েছে।” (source: 72)
১০. প্রশ্ন: উপকূলীয় অঞ্চলের মাটির pH মাত্রা সাধারণত কেমন থাকে?
(ক) অম্লীয় (৫.০-৬.০)
(খ) নিরপেক্ষ (৬.৫-৭.০)
(গ) ক্ষারীয় (৭.০-৮.৫)
(ঘ) খুব অম্লীয় (৪.০-৫.০)
সঠিক উত্তর: (গ) ক্ষারীয় (৭.০-৮.৫)
ব্যাখ্যা: উপকূলীয় অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য সারণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, “এই অঞ্চলের মাটির PH মাত্রা ৭.০-৮.৫।” (source: 75)
১১. প্রশ্ন: বোনা আউশ বা বোনা আমনের ক্ষেত্রে জমি প্রস্তুতির পর কী করা হয়?
(ক) চারা রোপণ করা হয়
(খ) বীজতলায় চারা উৎপাদন করা হয়
(গ) সরাসরি প্রস্তুতকৃত মূল জমিতে বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয়
(ঘ) জমি পতিত রাখা হয়
সঠিক উত্তর: (গ) সরাসরি প্রস্তুতকৃত মূল জমিতে বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয়
ব্যাখ্যা: দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে বলা হয়েছে, “বোনা আউশ বা বোনা আমনের ক্ষেত্রে চারা উৎপাদন না করে সরাসরি প্রস্তুতকৃত মূল জমিতে বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়।” (source: 80)
১২. প্রশ্ন: গম চাষের জন্য মাটি কেমন হওয়া প্রয়োজন?
(ক) কর্দমাক্ত ও ভেজা
(খ) শক্ত ও এঁটেল
(গ) ঝুরঝুরা
(ঘ) সব সময় ভেজা
সঠিক উত্তর: (গ) ঝুরঝুরা
ব্যাখ্যা: গম চাষের জমি প্রস্তুতি অংশে উল্লেখ আছে, “গমের মাটি ঝুরঝুরা করে প্রস্তুত করা প্রয়োজন।” (source: 86) ঝুরঝুরা মাটি গমের অঙ্কুরোদগমের জন্য উপযোগী।
১৩. প্রশ্ন: বাংলাদেশে সাধারণত কোন ডালজাতীয় শস্যের জন্য জমিতে দুই-একটি চাষ দেওয়া হয়?
(ক) মুগ ডাল
(খ) মসুর ডাল
(গ) খেসারি ডাল
(ঘ) অড়হর ডাল
সঠিক উত্তর: (খ) মসুর ডাল
ব্যাখ্যা: ডালজাতীয় শস্যের জমি প্রস্তুতিতে বলা হয়েছে, “তবে মসুর ডালের জন্য জমিতে দুই-একটি চাষ দেওয়া হয়।” (source: 92)
১৪. প্রশ্ন: আলু চাষের জন্য জমি সাধারণত কতবার চাষ ও মই দেওয়া হয়?
(ক) ১-২ বার
(খ) ৩-৪ বার
(গ) ৫-৬ বার
(ঘ) ৭-৮ বার
সঠিক উত্তর: (গ) ৫-৬ বার
ব্যাখ্যা: আলু চাষের জমি প্রস্তুতি অংশে বলা হয়েছে, “আলুর জমি ৫-৬ বার চাষ ও বার কয়েক মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করে জমি প্রস্তুত করা হয়।” (source: 96)
১৫. প্রশ্ন: খনার বচন অনুযায়ী, মুলা চাষের জন্য কয়টি চাষ দিতে হবে?
(ক) চারটি
(খ) আটটি
(গ) বারোটি
(ঘ) ষোলটি
সঠিক উত্তর: (ঘ) ষোলটি
ব্যাখ্যা: জমি প্রস্তুতির গুরুত্ব অংশে খনার বচনে উল্লেখ আছে, “ষোল চাষে মুলা”। (source: 105)
১৬. প্রশ্ন: ভূমি কর্ষণের প্রধান উদ্দেশ্য কী?
(ক) মাটিকে শক্ত করা
(খ) আগাছা জন্মানো
(গ) মাটি বীজের অঙ্কুরোদগম অবস্থায় আনয়ন
(ঘ) মাটির রস কমানো
সঠিক উত্তর: (গ) মাটি বীজের অঙ্কুরোদগম অবস্থায় আনয়ন
ব্যাখ্যা: ভূমি কর্ষণের উদ্দেশ্য অংশে প্রথম উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, “মাটি বীজের অঙ্কুরোদগম অবস্থায় আনয়ন।” (source: 109)
১৭. প্রশ্ন: ভারী মাটিতে (যেমন কাদামাটি) ফসল উৎপাদন উপযোগী করতে সাধারণত কতবার চাষের প্রয়োজন হয়?
(ক) ১-২ বার
(খ) ৩-৪ বার
(গ) ৫-৬ বার
(ঘ) ৭-৮ বার
সঠিক উত্তর: (গ) ৫-৬ বার
ব্যাখ্যা: পাঠ্যবই অনুযায়ী, “কিন্তু কাদামাটির মতো ভারী মাটিতে ৫/৬ বার চাষের প্রয়োজন পড়ে।” (source: 113)
১৮. প্রশ্ন: জমিতে সবুজ সার হিসেবে কোন গাছ ফুল আসার আগে চাষ দিয়ে মাটির সাথে মেশানো হয়?
(ক) পাট
(খ) ধৈঞ্চা
(গ) গম
(ঘ) সরিষা
সঠিক উত্তর: (খ) ধৈঞ্চা
ব্যাখ্যা: পাঠ্যবইয়ের তথ্য অনুযায়ী, “অনেক সময় ধৈঞ্চার চাষ করেও সবুজ সার হিসাবে ফুল আসার আগে চাষ দিয়ে মাটির সাথে মেশানো হয়।” (source: 119)
১৯. প্রশ্ন: ভূমি কর্ষণের ফলে মাটির নিচের কোন পোকাগুলো উন্মুক্ত হয় এবং পাখিরা খেয়ে ফেলে?
(ক) মশা, মাছি
(খ) উই, উরচুঙ্গা, পিপীলিকা
(গ) প্রজাপতি, ফড়িং
(ঘ) কেঁচো, শামুক
সঠিক উত্তর: (খ) উই, উরচুঙ্গা, পিপীলিকা
ব্যাখ্যা: পাঠ্যবইতে উল্লেখ আছে, “ভূমি কর্ষণের সময় এসব পোকা, পুত্তলি ও ডিম উন্মুক্ত হয় এবং পাখিরা এগুলো খেয়ে নিধন করে। … মাটির নিচের পোকাগুলোর মধ্যে উই, উরচুঙ্গা ও পিপীলিকা প্রধান।” (source: 121, 122)
২০. প্রশ্ন: ভূমি কর্ষণ কীভাবে মাটির পানি ধারণক্ষমতা বাড়ায়?
(ক) মাটিকে শক্ত করে
(খ) মাটির উপর স্তর তৈরি করে
(গ) কর্ষিত জমিতে সার বা সেচের পানি আটকা পড়ে যা পরে মাটি শুষে নেয়
(ঘ) মাটির ছিদ্র বন্ধ করে
সঠিক উত্তর: (গ) কর্ষিত জমিতে সার বা সেচের পানি আটকা পড়ে যা পরে মাটি শুষে নেয়
ব্যাখ্যা: বইটিতে বলা হয়েছে, “কর্ষিত জমিতে সার বা সেচের পানি আটকা পড়ে যা পরে মাটি শুষে নেয়। অর্থাৎ কর্ষিত জমির মাটির পানি ধারণক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পায়।” (source: 124, 125)
২১. প্রশ্ন: বিভিন্ন কারণে জমির মাটির উপরিভাগ হতে মাটির কণা চলে যাওয়াকে কী বলে?
(ক) ভূমি গঠন
(খ) ভূমিক্ষয়
(গ) ভূমি কর্ষণ
(ঘ) ভূমি পুনরুদ্ধার
সঠিক উত্তর: (খ) ভূমিক্ষয়
ব্যাখ্যা: তৃতীয় পরিচ্ছেদের শুরুতে ভূমিক্ষয়ের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “বিভিন্ন কারণে জমির মাটির উপরিভাগ হতে মাটির কণা চলে যাওয়াকে ভূমিক্ষয় বলে।” (source: 149)
২২. প্রশ্ন: ভূমিক্ষয়ের প্রধান কারণ কোনটি?
(ক) অধিক সার প্রয়োগ
(খ) পরিমিত সেচ
(গ) বৃষ্টিপাত ও বায়ুপ্রবাহ
(ঘ) সঠিক ফসল নির্বাচন
সঠিক উত্তর: (গ) বৃষ্টিপাত ও বায়ুপ্রবাহ
ব্যাখ্যা: ভূমিক্ষয়ের কারণ হিসেবে বৃষ্টিপাত, ঘূর্ণিবাত্যা, নদীর স্রোত ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে বৃষ্টিপাত ও বায়ুপ্রবাহ অন্যতম প্রাকৃতিক কারণ। (source: 151, 163)
২৩. প্রশ্ন: প্রাকৃতিক ভূমিক্ষয়কে প্রধানত কয় শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়?
(ক) দুই
(খ) তিন
(গ) চার
(ঘ) পাঁচ
সঠিক উত্তর: (ক) দুই
ব্যাখ্যা: “প্রাকৃতিক ভূমিক্ষয়ের শ্রেণিবিভাগ” অংশে বলা হয়েছে, “ভূমিক্ষয়কে প্রধানত দুই শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যথা: ক. বৃষ্টিপাতজনিত ভূমিক্ষয় এবং খ. বায়ুপ্রবাহজনিত ভূমিক্ষয়।” (source: 167)
২৪. প্রশ্ন: আস্তরণ ভূমিক্ষয়ের দ্বিতীয় ধাপ কোনটি?
(ক) নালা বা গালি ভূমিক্ষয়
(খ) নদী ভাঙন
(গ) রিল ভূমিক্ষয়
(ঘ) বায়ুপ্রবাহজনিত ভূমিক্ষয়
সঠিক উত্তর: (গ) রিল ভূমিক্ষয়
ব্যাখ্যা: পাঠ্যবই অনুযায়ী, “রিল ভূমিক্ষয় আস্তরণ ভূমিক্ষয়েরই দ্বিতীয় ধাপ।” (source: 173)
২৫. প্রশ্ন: কোন ধরনের ভূমিক্ষয়ে জমি থেকে পাতলা আবরণের মতো উর্বর মাটি কেটে চলে যায়?
(ক) রিল ভূমিক্ষয়
(খ) নালা বা গালি ভূমিক্ষয়
(গ) আস্তরণ ভূমিক্ষয়
(ঘ) নদী ভাঙন
সঠিক উত্তর: (গ) আস্তরণ ভূমিক্ষয়
ব্যাখ্যা: বইয়ের তথ্যমতে, “যখন বৃষ্টির পানি বা সেচের পানি উঁচু স্থান থেকে ঢাল বেয়ে জমির উপর দিয়ে নিচের দিকে প্রবাহিত হয় তখন জমির উপরিভাগের নরম ও উর্বর মাটির কণা কেটে পাতলা আবরণের বা আস্তরণের মতো চলে যায়। একেই বলা হয় আস্তরণ ভূমিক্ষয়।” (source: 170)
২৬. প্রশ্ন: বীজ সংরক্ষণের প্রক্রিয়া কখন শুরু হয়?
(ক) বীজ বপনের সময়
(খ) চারা গজানোর পর
(গ) ফসল কাটার পর
(ঘ) বীজ উৎপাদন থেকে
সঠিক উত্তর: (ঘ) বীজ উৎপাদন থেকে
ব্যাখ্যা: চতুর্থ পরিচ্ছেদের শুরুতে বলা হয়েছে, “বীজ উৎপাদন থেকেই বীজ সংরক্ষণের শুরু।” (source: 239)
২৭. প্রশ্ন: বীজকে পরবর্তী মৌসুমে ব্যবহারের জন্য বীজের আর্দ্রতাকে সাধারণত কত শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা আবশ্যক?
(ক) ৮%
(খ) ১০%
(গ) ১২%
(ঘ) ১৫%
সঠিক উত্তর: (গ) ১২%
ব্যাখ্যা: পাঠ্যবই অনুসারে, “তাই বীজকে পরবর্তী মৌসুমে ব্যবহারের নিমিত্তে বীজের আর্দ্রতাকে ১২% বা তার নিচে নামিয়ে আনা আবশ্যক।” (source: 249)
২৮. প্রশ্ন: বীজ শুকানোর সময় কীসের উপর নির্ভর করে না?
(ক) বীজের আর্দ্রতার মাত্রা
(খ) বাতাসের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার মাত্রা
(গ) বীজের রঙ
(ঘ) বাতাসের গতি
সঠিক উত্তর: (গ) বীজের রঙ
ব্যাখ্যা: বইতে উল্লেখ আছে, “বীজ শুকানোর সময় নির্ভর করে (১) বীজের আর্দ্রতার মাত্রা (২) বাতাসের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার মাত্রা (৩) বাতাসের গতি এবং (৪) বীজের পরিমাণের উপর।” (source: 253) বীজের রঙ এখানে উল্লেখিত নয়।
২৯. প্রশ্ন: বীজের অঙ্কুরোদগম পরীক্ষা কী?
(ক) বীজের আর্দ্রতা মাপা
(খ) নমুনা বীজের শতকরা কতটি বীজ গজায় তা বের করা
(গ) বীজের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করা
(ঘ) বীজের জীবনীশক্তি পরীক্ষা করা
সঠিক উত্তর: (খ) নমুনা বীজের শতকরা কতটি বীজ গজায় তা বের করা
ব্যাখ্যা: বইতে বলা হয়েছে, “নমুনা বীজের শতকরা কতটি বীজ গজায় তা বের করাই বীজের অঙ্কুরোদগম পরীক্ষা।” (source: 264)
৩০. প্রশ্ন: ধান, গম, ভুট্টা বীজের জন্য সাধারণত কোন ধরনের পাত্র বা বস্তা সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়?
(ক) কাঁচের বোতল
(খ) প্লাস্টিকের কনটেইনার
(গ) ধানগোলা, ডোল, মাটির পাত্র, চটের বস্তা, পলিব্যাগ
(ঘ) টিনের কৌটা
সঠিক উত্তর: (গ) ধানগোলা, ডোল, মাটির পাত্র, চটের বস্তা, পলিব্যাগ
ব্যাখ্যা: বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, “যেমন দানাজাতীয় শস্য- ধান, গম, ভুট্টা, বীজের জন্য ধানগোলা, ডোল মাটির পাত্র, চটের বস্তা, পলিব্যাগ ও বেড ব্যবহার করা হয়।”