SSC হিসাব বিজ্ঞান | | পণ্যের ক্রয় বিক্রয় হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি MCQ | | একাদশ অধ্যায়

SSC হিসাব বিজ্ঞান

একাদশ অধ্যায়: পণ্যের ক্রয় বিক্রয় হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি


১। পণ্য ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত হিসাব সংরক্ষণের প্রধান পদ্ধতি কয়টি?

ক) ১টি

খ) ২টি

গ) ৩টি

ঘ) ৪টি

সঠিক উত্তর: খ) ২টি

ব্যাখ্যা: পণ্য ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত হিসাব সংরক্ষণের প্রধান দুটি পদ্ধতি হলো: কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি (Periodic Inventory System) এবং অবিরাম মজুদ পদ্ধতি (Perpetual Inventory System)।

২। কালান্তিক মজুদ পদ্ধতিতে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয় করা হয় কখন?

ক) প্রতিটি বিক্রয়ের সাথে সাথে

খ) হিসাবকালের শুরুতে

গ) হিসাবকালের শেষে মজুদ গণনা করে

ঘ) ক্রয় করার সময়

সঠিক উত্তর: গ) হিসাবকালের শেষে মজুদ গণনা করে

ব্যাখ্যা: কালান্তিক মজুদ পদ্ধতিতে হিসাবকালের শেষে পণ্যের ফিজিক্যাল গণনা বা স্টক টেকিং করে সমাপনী মজুদ পণ্যের মূল্য নির্ণয় করা হয় এবং এরপর বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয় করা হয়।

৩। অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয় করা হয় কখন?

ক) হিসাবকালের শেষে মজুদ গণনা করে

খ) হিসাবকালের শুরুতে

গ) প্রতিটি বিক্রয়ের সাথে সাথে

ঘ) ক্রয় করার সময়

সঠিক উত্তর: গ) প্রতিটি বিক্রয়ের সাথে সাথে

ব্যাখ্যা: অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে প্রতিটি বিক্রয়ের সাথে সাথে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয় করে লিপিবদ্ধ করা হয়। এই পদ্ধতিতে একটি মজুদ হিসাব সংরক্ষণ করা হয়।

৪। কালান্তিক মজুদ পদ্ধতিতে ক্রয়কৃত পণ্যকে কী হিসেবে গণ্য করা হয়?

ক) সম্পদ

খ) ব্যয়

গ) আয়

ঘ) দায়

সঠিক উত্তর: খ) ব্যয়

ব্যাখ্যা: কালান্তিক মজুদ পদ্ধতিতে পণ্য ক্রয়কে একটি ব্যয় হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়। বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয়ের সময় এই ক্রয়কে সমন্বয় করা হয়।

৫। অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে ক্রয়কৃত পণ্যকে কী হিসেবে গণ্য করা হয়?

ক) ব্যয়

খ) আয়

গ) সম্পদ

ঘ) দায়

সঠিক উত্তর: গ) সম্পদ

ব্যাখ্যা: অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে পণ্য ক্রয়কে সরাসরি মজুদ হিসাব (সম্পদ) হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।

৬। বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয়ের জন্য সমাপনী মজুদের মূল্য জানা আবশ্যক কোন পদ্ধতিতে?

ক) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

খ) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

গ) উভয় পদ্ধতিতেই

ঘ) কোনো পদ্ধতিতেই নয়

সঠিক উত্তর: খ) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: কালান্তিক মজুদ পদ্ধতিতে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয়ের সূত্রেই সমাপনী মজুদের মূল্য প্রয়োজন হয় (প্রারম্ভিক মজুদ + ক্রয় – সমাপনী মজুদ)। অবিরাম পদ্ধতিতে প্রতিটি বিক্রয়ের সাথেই বিক্রীত পণ্যের ব্যয় হিসাব করা হয়।

৭। কোন পদ্ধতিতে প্রতিটি বিক্রয়ের সাথে সাথে মোট লাভ নির্ণয় করা যায়?

ক) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

গ) উভয় পদ্ধতিতেই

ঘ) কোনো পদ্ধতিতেই নয়

সঠিক উত্তর: খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে যেহেতু প্রতিটি বিক্রয়ের সাথে সাথে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয় করা হয়, তাই প্রতিটি বিক্রয়ের পরেই বিক্রয়মূল্য থেকে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় বাদ দিয়ে মোট লাভ নির্ণয় করা সম্ভব হয়। কালান্তিক পদ্ধতিতে মোট লাভ হিসাবকালের শেষে নির্ণয় করা হয়।

৮। কোন পদ্ধতিতে মজুদ পণ্যের হিসাব নিয়মিতভাবে আপডেট করা হয়?

ক) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

গ) উভয় পদ্ধতিতেই

ঘ) কোনো পদ্ধতিতেই নয়

সঠিক উত্তর: খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে প্রতিটি ক্রয়-বিক্রয় লেনদেনের পরই মজুদ হিসাব আপডেট করা হয়, ফলে সর্বদা মজুদের পরিমাণ জানা যায়। কালান্তিক পদ্ধতিতে শুধুমাত্র হিসাবকালের শেষে মজুদের পরিমাণ জানা যায়।

৯। বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয়ের সূত্রে কোনটি অন্তর্ভুক্ত হয়?

ক) বিক্রয় পরিবহন

খ) ক্রয় পরিবহন

গ) বেতন

ঘ) ভাড়া

সঠিক উত্তর: খ) ক্রয় পরিবহন

ব্যাখ্যা: ক্রয় পরিবহন হলো পণ্য ক্রয়ের প্রত্যক্ষ খরচ, যা বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয়ের সময় ক্রয়ের সাথে যোগ করা হয়। বিক্রয় পরিবহন একটি পরিচালন ব্যয়, বেতন ও ভাড়া পরিচালন ব্যয়।

১০। বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয়ের সূত্রে কোনটি বাদ দেওয়া হয়?

ক) প্রারম্ভিক মজুদ

খ) ক্রয়

গ) ক্রয় ফেরত

ঘ) ক্রয় পরিবহন

সঠিক উত্তর: গ) ক্রয় ফেরত

ব্যাখ্যা: ক্রয় ফেরত নিট ক্রয় নির্ণয়ের জন্য মোট ক্রয় থেকে বাদ দেওয়া হয়, এবং নিট ক্রয় বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয়ের অংশ।

১১। নিট ক্রয় নির্ণয়ের সূত্র কোনটি?

ক) মোট ক্রয় + ক্রয় ফেরত + ক্রয় বাট্টা + অলিখিত ক্রয়

খ) মোট ক্রয় – ক্রয় ফেরত – ক্রয় বাট্টা + অলিখিত ক্রয়

গ) মোট ক্রয় – ক্রয় ফেরত – ক্রয় বাট্টা

ঘ) মোট ক্রয় + ক্রয় পরিবহন – ক্রয় ফেরত

সঠিক উত্তর: খ) মোট ক্রয় – ক্রয় ফেরত – ক্রয় বাট্টা + অলিখিত ক্রয়

ব্যাখ্যা: নিট ক্রয় নির্ণয়ের জন্য মোট ক্রয় থেকে ক্রয় ফেরত ও ক্রয় বাট্টা বাদ দেওয়া হয় এবং অলিখিত ক্রয় (যদি থাকে) যোগ করা হয়।

১২। কোন পদ্ধতিতে মজুদ পণ্যের চুরি বা নষ্ট হওয়া সহজে শনাক্ত করা যায়?

ক) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

গ) উভয় পদ্ধতিতেই

ঘ) কোনো পদ্ধতিতেই নয়

সঠিক উত্তর: খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে যেহেতু মজুদের একটি ধারাবাহিক হিসাব রাখা হয়, তাই ফিজিক্যাল গণনার সাথে হিসাবের গরমিল হলে চুরি বা নষ্ট হওয়া সহজে শনাক্ত করা যায়। কালান্তিক পদ্ধতিতে এটি কঠিন।

১৩। ছোট আকারের ব্যবসায়ের জন্য কোন মজুদ পদ্ধতি অধিক উপযোগী?

ক) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

খ) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

গ) উভয় পদ্ধতিই সমান উপযোগী

ঘ) কোনটিই নয়

সঠিক উত্তর: খ) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: ছোট আকারের ব্যবসায়ের জন্য কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি অপেক্ষাকৃত সহজ ও কম ব্যয়বহুল। অবিরাম পদ্ধতি তুলনামূলকভাবে জটিল ও ব্যয়বহুল।

১৪। আধুনিক কম্পিউটারাইজড হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থায় কোন মজুদ পদ্ধতি ব্যবহার করা অধিক সুবিধাজনক?

ক) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

গ) উভয় পদ্ধতিই সমান সুবিধাজনক

ঘ) কোনটিই নয়

সঠিক উত্তর: খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: আধুনিক কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে প্রতিটি লেনদেনের সাথে সাথে মজুদের হিসাব আপডেট করা সহজ, তাই অবিরাম মজুদ পদ্ধতি ব্যবহার করা অধিক সুবিধাজনক।

১৫। কালান্তিক মজুদ পদ্ধতিতে মজুদ পণ্যের মূল্যায়ন করা হয় কখন?

ক) প্রতিটি ক্রয়ের সময়

খ) প্রতিটি বিক্রয়ের সময়

গ) হিসাবকালের শুরুতে

ঘ) হিসাবকালের শেষে

সঠিক উত্তর: ঘ) হিসাবকালের শেষে

ব্যাখ্যা: কালান্তিক মজুদ পদ্ধতিতে হিসাবকালের শেষে ফিজিক্যাল গণনার মাধ্যমে সমাপনী মজুদের মূল্য নির্ণয় করা হয়।

১৬। মোট লাভ নির্ণয়ের জন্য বিষদ আয় বিবরণীর কোন অংশের প্রয়োজন হয়?

ক) শুধুমাত্র বিক্রয়

খ) শুধুমাত্র বিক্রীত পণ্যের ব্যয়

গ) বিক্রয় ও বিক্রীত পণ্যের ব্যয়

ঘ) পরিচালন ব্যয়

সঠিক উত্তর: গ) বিক্রয় ও বিক্রীত পণ্যের ব্যয়

ব্যাখ্যা: মোট লাভ নির্ণয় করা হয় নিট বিক্রয় থেকে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় বাদ দিয়ে, তাই এই দুটি উপাদানের প্রয়োজন হয়।

১৭। বিক্রীত পণ্যের ব্যয়ের সাথে প্রত্যক্ষ খরচগুলো কী করা হয়?

ক) যোগ করা হয়

খ) বাদ দেওয়া হয়

গ) গুণ করা হয়

ঘ) ভাগ করা হয়

সঠিক উত্তর: ক) যোগ করা হয়

ব্যাখ্যা: বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয়ের সময় ক্রয়কৃত পণ্যের সাথে সম্পর্কিত প্রত্যক্ষ খরচগুলো (যেমন ক্রয় পরিবহন, মজুরি) যোগ করা হয়।

১৮। কালান্তিক মজুদ পদ্ধতিতে সমাপনী মজুদ পণ্যের মূল্য নির্ণয় করা হয় কীভাবে?

ক) হিসাবের বই দেখে

খ) পূর্ব নির্ধারিত মূল্যে

গ) ফিজিক্যাল গণনা করে

ঘ) বিক্রীত পণ্যের ব্যয় থেকে বাদ দিয়ে

সঠিক উত্তর: গ) ফিজিক্যাল গণনা করে

ব্যাখ্যা: কালান্তিক মজুদ পদ্ধতিতে হিসাবকালের শেষে দোকানে বা গুদামে যে পণ্য হাতে থাকে, তা গণনা করে তার মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

১৯। অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে সমাপনী মজুদ পণ্যের মূল্য নির্ণয় করা হয় কীভাবে?

ক) ফিজিক্যাল গণনা করে

খ) হিসাবের বই অনুযায়ী জের দেখে

গ) অনুমানের ভিত্তিতে

ঘ) পূর্ব নির্ধারিত হারে

সঠিক উত্তর: খ) হিসাবের বই অনুযায়ী জের দেখে

ব্যাখ্যা: অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে মজুদ হিসাবের একটি ধারাবাহিক রেকর্ড রাখা হয়, তাই হিসাবকালের শেষে মজুদ হিসাবের জের দেখেই সমাপনী মজুদ পণ্যের মূল্য জানা যায়। যদিও ফিজিক্যাল গণনা করে হিসাবের সাথে মেলানো হয়, হিসাবের জেরই মূল ভিত্তি।

২০। কোন পদ্ধতিতে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় সরাসরি একটি হিসাবের মাধ্যমে জানা যায়?

ক) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

গ) উভয় পদ্ধতিতেই

ঘ) কোনো পদ্ধতিতেই নয়

সঠিক উত্তর: খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে প্রতিটি বিক্রয়ের সাথে সাথে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় ‘বিক্রীত পণ্যের ব্যয়’ নামক একটি ডেবিট ব্যালেন্সের হিসাবে লিপিবদ্ধ করা হয়, ফলে এর জের থেকেই সরাসরি বিক্রীত পণ্যের ব্যয় জানা যায়।

২১। নিট বিক্রয় নির্ণয়ের সূত্র কোনটি?

ক) মোট বিক্রয় + বিক্রয় ফেরত + বিক্রয় বাট্টা

খ) মোট বিক্রয় – বিক্রয় ফেরত – বিক্রয় বাট্টা + অলিখিত বিক্রয়

গ) মোট বিক্রয় – বিক্রয় ফেরত – বিক্রয় বাট্টা

ঘ) মোট বিক্রয় + অলিখিত বিক্রয় – বিক্রয় ফেরত

সঠিক উত্তর: গ) মোট বিক্রয় – বিক্রয় ফেরত – বিক্রয় বাট্টা

ব্যাখ্যা: নিট বিক্রয় নির্ণয়ের জন্য মোট বিক্রয় থেকে বিক্রয় ফেরত ও বিক্রয় বাট্টা বাদ দেওয়া হয়।

২২। কোন পদ্ধতিতে প্রারম্ভিক ও সমাপনী মজুদের পার্থক্য নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ?

ক) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

খ) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

গ) উভয় পদ্ধতিতেই

ঘ) কোনো পদ্ধতিতেই নয়

সঠিক উত্তর: খ) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: কালান্তিক মজুদ পদ্ধতিতে প্রারম্ভিক ও সমাপনী মজুদের মূল্য বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয়ের জন্য অপরিহার্য।

২৩। পণ্য নষ্ট বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে তা কোন পদ্ধতিতে সহজে জানা যায়?

ক) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

গ) উভয় পদ্ধতিতেই সমান সহজে

ঘ) কোনো পদ্ধতিতেই সহজে জানা যায় না

সঠিক উত্তর: খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে যেহেতু মজুদের ধারাবাহিক রেকর্ড থাকে, তাই মজুদ পণ্যের কোনো অস্বাভাবিক হ্রাস (যেমন নষ্ট হওয়া বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া) সহজে শনাক্ত করা যায়।

২৪। কোন পদ্ধতিতে বিনিয়োগকৃত অর্থের উপর মুনাফা অর্জনের ক্ষমতা পরিমাপ করা সহজ হয়?

ক) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

গ) উভয় পদ্ধতিতেই সমান

ঘ) কোনটিই নয়

সঠিক উত্তর: খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে প্রতিটি বিক্রয়ের সাথে লাভ নির্ণয় করা সম্ভব হওয়ায় এবং মজুদের ধারাবাহিক রেকর্ড থাকায় পণ্যের লাভজনকতা বিশ্লেষণ ও বিনিয়োগের উপর মুনাফা অর্জনের ক্ষমতা পরিমাপ করা অধিক সহজ হয়।

২৫। পণ্য ক্রয় বা বিক্রয়ের সাথে জড়িত আনুষঙ্গিক খরচগুলো বিক্রীত পণ্যের ব্যয়ের সাথে সমন্বয় করা হয় কোন পদ্ধতিতে?

ক) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

গ) উভয় পদ্ধতিতেই

ঘ) কোনো পদ্ধতিতেই নয়

সঠিক উত্তর: গ) উভয় পদ্ধতিতেই

ব্যাখ্যা: ক্রয় পরিবহন, আমদানি শুল্ক, মজুরি ইত্যাদি প্রত্যক্ষ খরচগুলো উভয় পদ্ধতিতে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয়ের সময় সংশ্লিষ্ট হিসাবে যোগ করা হয়।

২৬। কোন পদ্ধতি অনুযায়ী মজুদ পণ্যের কার্ড বা লেজার রাখা হয়?

ক) কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

গ) শুধুমাত্র ছোট ব্যবসায়ের জন্য

ঘ) শুধুমাত্র বড় ব্যবসায়ের জন্য

সঠিক উত্তর: খ) অবিরাম মজুদ পদ্ধতি

ব্যাখ্যা: অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে প্রতিটি পণ্যের জন্য একটি করে মজুদ কার্ড বা লেজার রাখা হয় যেখানে পণ্য প্রবেশ (ক্রয়) ও পণ্য বের হওয়ার (বিক্রয়) রেকর্ড রাখা হয়।

২৭। যদি মোট লাভ ১,০০,০০০ টাকা এবং পরিচালন ব্যয় ৮০,০০০ টাকা হয়, তবে পরিচালন মুনাফা কত?

ক) ১,৮০,০০০ টাকা

খ) ২০,০০০ টাকা

গ) ৮০,০০০ টাকা

ঘ) ১,০০,০০০ টাকা

সঠিক উত্তর: খ) ২০,০০০ টাকা

ব্যাখ্যা: পরিচালন মুনাফা = মোট লাভ – পরিচালন ব্যয় = ১,০০,০০০ – ৮০,০০০ = ২০,০০০ টাকা।

২৮। যদি নিট বিক্রয় ৫,০০,০০০ টাকা এবং মোট লাভ ১,৫০,০০০ টাকা হয়, তবে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় কত?

ক) ৬,৫০,০০০ টাকা

খ) ৩,৫০,০০০ টাকা

গ) ১,৫০,০০০ টাকা

ঘ) ৫,০০,০০০ টাকা

সঠিক উত্তর: খ) ৩,৫০,০০০ টাকা

ব্যাখ্যা: নিট বিক্রয় – বিক্রীত পণ্যের ব্যয় = মোট লাভ। সুতরাং, বিক্রীত পণ্যের ব্যয় = নিট বিক্রয় – মোট লাভ = ৫,০০,০০০ – ১,৫০,০০০ = ৩,৫০,০০০ টাকা।

২৯। যদি প্রারম্ভিক মজুদ ৫০,০০০ টাকা, ক্রয় ৩,০০,০০০ টাকা, ক্রয় পরিবহন ১০,০০০ টাকা এবং সমাপনী মজুদ ৬০,০০০ টাকা হয় (কালান্তিক পদ্ধতি), তবে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় কত?

ক) ৪,২০,০০০ টাকা

খ) ৩,০০,০০০ টাকা

গ) ২,০০,০০০ টাকা

ঘ) ৩,০০,০০০ টাকা

সঠিক উত্তর: ঘ) ৩,০০,০০০ টাকা

ব্যাখ্যা: বিক্রীত পণ্যের ব্যয় = প্রারম্ভিক মজুদ + ক্রয় + ক্রয় পরিবহন – সমাপনী মজুদ = ৫০,০০০ + ৩,০০,০০০ + ১০,০০০ – ৬০,০০০ = ৩,০০,০০০ টাকা।

৩০। যদি একটি পণ্যের ক্রয়মূল্য ৫০০ টাকা এবং বিক্রয়মূল্য ৭০০ টাকা হয়, এবং অবিরাম পদ্ধতিতে প্রতিটি বিক্রয়ের সাথে সাথে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয় করা হয়, তবে একটি পণ্য বিক্রয়ে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় কত?

ক) ৭০০ টাকা

খ) ৫০০ টাকা

গ) ২০০ টাকা

ঘ) ১,২০০ টাকা

সঠিক উত্তর: খ) ৫০০ টাকা

ব্যাখ্যা: অবিরাম মজুদ পদ্ধতিতে প্রতিটি বিক্রয়ের সাথে সাথে বিক্রয়কৃত পণ্যের ক্রয়মূল্যকেই বিক্রীত পণ্যের ব্যয় হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।

Leave a Reply

Scroll to Top