SSC ভূগোল ও পরিবেশ
অষ্টম অধ্যায়: মানববসতি
১. মানুষ সংঘবদ্ধভাবে বসবাসের জন্য যে স্থায়ী বা অস্থায়ী আবাসস্থল গড়ে তোলে, তাকে কী বলে?
(ক) নগর
(খ) গ্রাম
(গ) মানববসতি
(ঘ) শহর
সঠিক উত্তর: (গ) মানববসতি
ব্যাখ্যা: মানুষ সংঘবদ্ধভাবে বসবাসের জন্য যে কোনো ধরনের স্থায়ী বা অস্থায়ী আবাসস্থল গড়ে তোলে, তাকে মানববসতি বলে।
২. মানববসতি গড়ে ওঠার প্রধান নিয়ামক কোনটি?
(ক) যোগাযোগ ব্যবস্থা
(খ) ভূপ্রকৃতি ও পানির সহজলভ্যতা
(গ) রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
(ঘ) খনিজ সম্পদ
সঠিক উত্তর: (খ) ভূপ্রকৃতি ও পানির সহজলভ্যতা
ব্যাখ্যা: মানববসতি গড়ে ওঠার পেছনে বিভিন্ন প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কারণ বিদ্যমান। তবে ভূপ্রকৃতি ও পানির সহজলভ্যতা অন্যতম প্রধান নিয়ামক।
৩. সমতল ভূমিতে সাধারণত কোন ধরনের বসতি গড়ে ওঠে?
(ক) বিক্ষিপ্ত বসতি
(খ) রৈখিক বসতি
(গ) গোষ্ঠীবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ বসতি
(ঘ) বিচ্ছিন্ন বসতি
স ट्रिक উত্তর: (গ) গোষ্ঠীবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ বসতি
ব্যাখ্যা: সমতল ভূমিতে কৃষিকাজ সহজসাধ্য এবং জলের উৎস সহজলভ্য হওয়ায় সাধারণত গোষ্ঠীবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ বসতি গড়ে ওঠে।
৪. পানীয় জলের সহজলভ্যতা মানববসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে কীরূপ ভূমিকা রাখে?
(ক) বসতি স্থাপনে বাধা সৃষ্টি করে
(খ) বসতি স্থাপনের একটি অন্যতম প্রধান নিয়ামক
(গ) বসতির ঘনত্ব কমায়
(ঘ) শুধুমাত্র শিল্পাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ
সঠিক উত্তর: (খ) বসতি স্থাপনের একটি অন্যতম প্রধান নিয়ামক
ব্যাখ্যা: জীবনধারণের জন্য পানীয় জলের প্রয়োজন সর্বাধিক। তাই যেখানেই পানীয় জলের উৎস সহজলভ্য, সেখানেই সাধারণত মানুষ বসতি স্থাপন করে।
৫. উর্বর মাটিতে কোন ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাধান্য দেখা যায় এবং সেখানে বসতির ঘনত্ব কেমন হয়?
(ক) শিল্প, কম ঘনত্ব
(খ) কৃষিকাজ, বেশি ঘনত্ব
(গ) বাণিজ্য, মাঝারি ঘনত্ব
(ঘ) পশুপালন, কম ঘনত্ব
সঠিক উত্তর: (খ) কৃষিকাজ, বেশি ঘনত্ব
ব্যাখ্যা: উর্বর মাটিতে কৃষিকাজ ভালো হয় বলে সেসব অঞ্চলে খাদ্যের জোগান বেশি থাকে এবং জীবিকা নির্বাহ সহজ হয়, ফলে সেখানে ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামীণ বসতি গড়ে ওঠে।
৬. প্রতিকূল জলবায়ু অঞ্চলে বসতির ঘনত্ব কেমন হয়?
(ক) খুব বেশি
(খ) মাঝারি
(গ) কম বা বিরল
(ঘ) অপরিবর্তিত
সঠিক উত্তর: (গ) কম বা বিরল
ব্যাখ্যা: চরমভাবাপন্ন বা প্রতিকূল জলবায়ু অঞ্চলে (যেমন মরুভূমি, মেরু অঞ্চল, অতিবৃষ্টি অরণ্য) জীবনযাত্রা কঠিন হওয়ায় বসতির ঘনত্ব কম বা বিরল হয়।
৭. বসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা কী ধরনের প্রভাব ফেলে?
(ক) বসতিকে বিক্ষিপ্ত করে
(খ) গোষ্ঠীবদ্ধ বসতি গড়ে তুলতে উৎসাহিত করে
(গ) বসতি স্থাপনে কোনো প্রভাব ফেলে না
(ঘ) শুধুমাত্র নগর বসতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
সঠিক উত্তর: (খ) গোষ্ঠীবদ্ধ বসতি গড়ে তুলতে উৎসাহিত করে
ব্যাখ্যা: প্রাচীনকালে বহিঃশত্রুর আক্রমণ ও বন্যপ্রাণীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষ দলবদ্ধভাবে বসবাস করত, যা গোষ্ঠীবদ্ধ বসতি গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ।
৮. অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধরনের উপর ভিত্তি করে বসতিকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
(ক) দুই ভাগে (গ্রামীণ ও নগর)
(খ) তিন ভাগে
(গ) চার ভাগে
(ঘ) পাঁচ ভাগে
সঠিক উত্তর: (ক) দুই ভাগে (গ্রামীণ ও নগর)
ব্যাখ্যা: অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং বাসস্থানের ধরন ও কার্যাবলীর উপর ভিত্তি করে মানববসতিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়—গ্রামীণ বসতি ও নগর বসতি।
৯. গ্রামীণ বসতির অধিকাংশ মানুষ কোন পেশায় নিয়োজিত থাকে?
(ক) শিল্প ও বাণিজ্য
(খ) কৃষিকাজ, পশুপালন, মৎস্য শিকার
(গ) সরকারি চাকরি
(ঘ) পরিবহন ও যোগাযোগ
সঠিক উত্তর: (খ) কৃষিকাজ, পশুপালন, মৎস্য শিকার
ব্যাখ্যা: গ্রামীণ বসতির অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ, পশুপালন, মৎস্য শিকার, বনজ সম্পদ আহরণ ইত্যাদি প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকে।
১০. নির্মাণ সামগ্রীর সহজলভ্যতা গ্রামীণ বসতির ক্ষেত্রে কীরূপ প্রভাব ফেলে?
(ক) বসতির ধরন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
(খ) বসতির ঘনত্ব কমায়
(গ) শুধুমাত্র নগর বসতির বৈশিষ্ট্য
(ঘ) বসতি স্থাপনে কোনো প্রভাব ফেলে না
সঠিক উত্তর: (ক) বসতির ধরন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
ব্যাখ্যা: গ্রামীণ বসতিতে ঘরবাড়ি তৈরির জন্য স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত নির্মাণ সামগ্রী (যেমন: মাটি, কাঠ, বাঁশ, খড়, গোলপাতা) ব্যবহৃত হয়, যা বসতির ধরনকে প্রভাবিত করে।
১১. বিক্ষিপ্ত বসতি সাধারণত কোন অঞ্চলে দেখা যায়?
(ক) উর্বর সমভূমি অঞ্চলে
(খ) নদী উপত্যকায়
(গ) প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশে বা যেখানে কৃষিজমি বিক্ষিপ্ত
(ঘ) বড় শহরের উপকণ্ঠে
সঠিক উত্তর: (গ) প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশে বা যেখানে কৃষিজমি বিক্ষিপ্ত
ব্যাখ্যা: যেখানে কৃষিজমিগুলো বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকে অথবা প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রতিকূল, সেখানে সাধারণত বিক্ষিপ্ত বসতি গড়ে ওঠে।
১২. নদী বা রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে কোন ধরনের বসতি গড়ে ওঠে?
(ক) গোষ্ঠীবদ্ধ বসতি
(খ) বিক্ষিপ্ত বসতি
(গ) রৈখিক বসতি
(ঘ) পুঞ্জীভূত বসতি
সঠিক উত্তর: (গ) রৈখিক বসতি
ব্যাখ্যা: নদী বা রাস্তার কিনারা ধরে অথবা কোনো বাঁধের পাশে সারিবদ্ধভাবে যে বসতি গড়ে ওঠে, তাকে রৈখিক বসতি বলে।
১৩. নগর বসতির প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
(ক) কৃষিকাজের প্রাধান্য
(খ) অকৃষিজ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের (শিল্প, বাণিজ্য, চাকরি) প্রাধান্য
(গ) জনসংখ্যার কম ঘনত্ব
(ঘ) প্রাকৃতিক পরিবেশের ঘনিষ্ঠতা
স ट्रिक উত্তর: (খ) অকৃষিজ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের (শিল্প, বাণিজ্য, চাকরি) প্রাধান্য
ব্যাখ্যা: নগর বসতির অধিকাংশ মানুষ অকৃষিজ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন—শিল্প, বাণিজ্য, প্রশাসনিক কাজ, পরিবহন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি পেশায় নিয়োজিত থাকে।
১৪. জনসংখ্যার আকারের উপর ভিত্তি করে নগর বসতিকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়?
(ক) দুইটি
(খ) তিনটি (শহর, মহানগর, মেগাসিটি)
(গ) চারটি
(ঘ) পাঁচটি
সঠিক উত্তর: (খ) তিনটি (শহর, মহানগর, মেগাসিটি)
ব্যাখ্যা: জনসংখ্যার আকার ও গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে নগর বসতিকে সাধারণত শহর, মহানগর ও মেগাসিটি—এই তিনটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা হয়।
১৫. যে নগরীর জনসংখ্যা ১০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষের মধ্যে, তাকে কী বলে?
(ক) শহর
(খ) মহানগর
(গ) মেগাসিটি
(ঘ) পৌরসভা
সঠিক উত্তর: (খ) মহানগর
ব্যাখ্যা: সাধারণত যে নগরীর জনসংখ্যা ১০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ বা তার বেশি হয় এবং যেখানে উন্নত প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক, শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক সুযোগ-সুবিধা থাকে, তাকে মহানগর বলে।
১৬. ৫০ লক্ষের অধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট নগরকে কী বলা হয়?
(ক) শহর
(খ) মহানগর
(গ) মেগাসিটি
(ঘ) পৌর কেন্দ্র
সঠিক উত্তর: (গ) মেগাসিটি
ব্যাখ্যা: ৫০ লক্ষ বা তার অধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট অতি বৃহৎ নগরকে মেগাসিটি বলা হয়। যেমন—টোকিও, নিউইয়র্ক, দিল্লি, ঢাকা ইত্যাদি।
১৭. নগরায়ণের প্রধান কারণ কী?
(ক) গ্রামীণ জীবনযাত্রার আকর্ষণ
(খ) কৃষিক্ষেত্রে অধিক লাভ
(গ) কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও উন্নত জীবনযাত্রার সুযোগ
(ঘ) প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ হ্রাস
সঠিক উত্তর: (গ) কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও উন্নত জীবনযাত্রার সুযোগ
ব্যাখ্যা: গ্রাম থেকে শহরে মানুষের স্থানান্তরের প্রধান কারণ হলো শহরে অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ, উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা এবং আধুনিক জীবনযাত্রার আকর্ষণ।
১৮. অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে কোন সমস্যাটি সৃষ্টি হয়?
(ক) মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি
(খ) পরিবেশ দূষণ ও বস্তি সমস্যা
(গ) গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন
(ঘ) কৃষিজমি বৃদ্ধি
সঠিক উত্তর: (খ) পরিবেশ দূষণ ও বস্তি সমস্যা
ব্যাখ্যা: দ্রুত ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে শহরে জনসংখ্যার চাপ বাড়ে, যার ফলে বাসস্থান সংকট, বস্তি সৃষ্টি, পরিবেশ দূষণ (বায়ু, পানি, শব্দ), যানজট, বর্জ্য অব্যবস্থাপনা ইত্যাদি মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়।
১৯. গ্রামীণ বসতিতে ঘরবাড়ির ধরন কেমন হয়?
(ক) বহুতল ভবন
(খ) সাধারণত একতলা বা দোতলা, স্থানীয় উপকরণে নির্মিত
(গ) কংক্রিটের তৈরি বড় অট্টালিকা
(ঘ) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত
সঠিক উত্তর: (খ) সাধারণত একতলা বা দোতলা, স্থানীয় উপকরণে নির্মিত
ব্যাখ্যা: গ্রামীণ বসতিতে ঘরবাড়ি সাধারণত স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত উপকরণ যেমন—মাটি, বাঁশ, কাঠ, খড়, টিন ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয় এবং এগুলো একতলা বা দোতলা হয়ে থাকে।
২০. নগর বসতিতে সামাজিক সম্পর্কের ধরন কেমন?
(ক) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও ব্যক্তিগত
(খ) আনুষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত নয় এমন (impersonal)
(গ) পারিবারিক বন্ধন খুব দৃঢ়
(ঘ) প্রতিবেশীনির্ভর
সঠিক উত্তর: (খ) আনুষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত নয় এমন (impersonal)
ব্যাখ্যা: নগর জীবনে কর্মব্যস্ততা ও জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক সাধারণত আনুষ্ঠানিক এবং ব্যক্তিগত নৈকট্য কম থাকে।
২১. “পৌরপুঞ্জ” (Conurbation) বলতে কী বোঝায়?
(ক) একটি একক বৃহৎ শহর
(খ) একাধিক শহর পাশাপাশি বিস্তৃত হয়ে একটি অবিচ্ছিন্ন পৌর এলাকা গঠন
(গ) গ্রামের সমষ্টি
(ঘ) একটি পরিকল্পিত নতুন শহর
সঠিক উত্তর: (খ) একাধিক শহর পাশাপাশি বিস্তৃত হয়ে একটি অবিচ্ছিন্ন পৌর এলাকা গঠন
ব্যাখ্যা: যখন একাধিক শহর বা নগর পাশাপাশি বিস্তৃত হয়ে একে অপরের সাথে মিশে গিয়ে একটি বৃহৎ ও অবিচ্ছিন্ন পৌর এলাকা গঠন করে, তখন তাকে পৌরপুঞ্জ বা কনআরবেশন বলে।
২২. বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে কোন ধরনের বসতি দেখা যায়?
(ক) গোষ্ঠীবদ্ধ
(খ) রৈখিক
(গ) বিক্ষিপ্ত
(ঘ) পুঞ্জীভূত
সঠিক উত্তর: (গ) বিক্ষিপ্ত
ব্যাখ্যা: পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো পাহাড়ি অঞ্চলে ভূপ্রকৃতিগত কারণে এবং জুম চাষের জন্য মানুষ সাধারণত বিক্ষিপ্তভাবে বসবাস করে।
২৩. উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা বসতি স্থাপনে কীরূপ প্রভাব ফেলে?
(ক) বসতির বিস্তারে বাধা দেয়
(খ) বসতির বিস্তার ও নগরায়ণকে ত্বরান্বিত করে
(গ) গ্রামীণ বসতিকে উৎসাহিত করে
(ঘ) বসতির ঘনত্ব কমায়
সঠিক উত্তর: (খ) বসতির বিস্তার ও নগরায়ণকে ত্বরান্বিত করে
ব্যাখ্যা: উন্নত সড়ক, রেল ও জলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থা পণ্য পরিবহন, মানুষের চলাচল এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটায়, যা বসতির বিস্তার ও নগরায়ণকে ত্বরান্বিত করে।
২৪. কোন ধরনের বসতিতে সামাজিক স্তরবিন্যাস তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়?
(ক) নগর বসতি
(খ) গ্রামীণ বসতি
(গ) মহানগর
(ঘ) মেগাসিটি
সঠিক উত্তর: (খ) গ্রামীণ বসতি
ব্যাখ্যা: গ্রামীণ সমাজে সাধারণত পেশাগত বৈচিত্র্য কম এবং সামাজিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সামাজিক স্তরবিন্যাস নগর বসতির তুলনায় কম জটিল ও প্রকট হয়।
২৫. শিল্প বিপ্লবের পর কোন ধরনের বসতির দ্রুত বিস্তার ঘটে?
(ক) গ্রামীণ বসতি
(খ) বিক্ষিপ্ত বসতি
(গ) নগর বসতি
(ঘ) যাযাবর বসতি
সঠিক উত্তর: (গ) নগর বসতি
ব্যাখ্যা: শিল্প বিপ্লবের ফলে কলকারখানা কেন্দ্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে ওঠে এবং কাজের সন্ধানে বহু মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসতে শুরু করে, যার ফলে নগর বসতির দ্রুত বিস্তার ঘটে।
২৬. প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রাচীনকালে বসতিগুলো কেমন হতো?
(ক) উন্মুক্ত ও অরক্ষিত
(খ) উঁচু স্থানে বা পরিখা দ্বারা বেষ্টিত
(গ) নদীর তীরে ছড়ানো ছিটানো
(ঘ) বাণিজ্য পথের ধারে বিক্ষিপ্ত
স ट्रिक উত্তর: (খ) উঁচু স্থানে বা পরিখা দ্বারা বেষ্টিত
ব্যাখ্যা: প্রাচীন ও মধ্যযুগে আত্মরক্ষার প্রয়োজনে মানুষ প্রায়শই উঁচু স্থানে, পাহাড়ের উপরে অথবা নদী বা পরিখা দ্বারা বেষ্টিত স্থানে দুর্গ নির্মাণ করে সংঘবদ্ধভাবে বসবাস করত।
২৭. ‘Census Town’ বা ‘শুমারি শহর’ বলতে কী বোঝায়?
(ক) যে শহরের জনসংখ্যা দশ লক্ষের বেশি
(খ) যে গ্রামীণ এলাকায় নগরসুলভ কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় এবং নির্দিষ্ট জনসংখ্যা ও অকৃষি পেশার মানদণ্ড পূরণ করে
(গ) ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন প্রাচীন শহর
(ঘ) শুধুমাত্র শিল্পকারখানা কেন্দ্রিক শহর
সঠিক উত্তর: (খ) যে গ্রামীণ এলাকায় নগরসুলভ কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় এবং নির্দিষ্ট জনসংখ্যা ও অকৃষি পেশার মানদণ্ড পূরণ করে
ব্যাখ্যা: অনেক সময় কিছু গ্রামীণ এলাকা প্রশাসনিকভাবে শহর হিসেবে ঘোষিত না হলেও জনসংখ্যা, ঘনত্ব এবং অকৃষি পেশায় নিয়োজিত জনসংখ্যার অনুপাতের দিক থেকে শহরের বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। আদমশুমারিতে এই ধরনের এলাকাকে ‘শুমারি শহর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
২৮. বসতির কার্যাবলীর ভিন্নতা দেখা যায় কোন ক্ষেত্রে?
(ক) শুধুমাত্র গ্রামীণ বসতিতে
(খ) শুধুমাত্র নগর বসতিতে
(গ) গ্রামীণ ও নগর উভয় বসতিতে
(ঘ) কোনো বসতিতেই নয়
সঠিক উত্তর: (গ) গ্রামীণ ও নগর উভয় বসতিতে
ব্যাখ্যা: গ্রামীণ বসতি মূলত কৃষিভিত্তিক হলেও সেখানে অন্যান্য কার্যাবলী থাকে। অন্যদিকে নগর বসতিতে অকৃষি কার্যাবলীর প্রাধান্য থাকলেও সেগুলোর মধ্যেও ব্যাপক বৈচিত্র্য (যেমন: প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য) দেখা যায়।
২৯. রাস্তা বা নদীর সঙ্গমস্থলে কোন ধরনের বসতি গড়ে ওঠে?
(ক) গোলাকার বসতি
(খ) তারকাকৃতি বসতি
(গ) শুষ্ক বিন্দু বসতি
(ঘ) আর্দ্র বিন্দু বসতি
সঠিক উত্তর: (খ) তারকাকৃতি বসতি
ব্যাখ্যা: একাধিক রাস্তা বা নদীর সঙ্গমস্থলে বিভিন্ন দিক থেকে প্রসারিত হয়ে যে বসতি গড়ে ওঠে, তা তারকাকৃতি ধারণ করতে পারে।
৩০. বন্যাপ্রবণ নিম্নভূমিতে মানুষ সাধারণত কোথায় বসতি স্থাপন করে?
(ক) নদীর ঠিক তীরে
(খ) প্লাবনভূমির মাঝে
(গ) উঁচু বাঁধ বা কৃত্রিমভাবে উঁচু করা স্থানে (শুষ্ক বিন্দু বসতি)
(ঘ) বিলের মধ্যে
সঠিক উত্তর: (গ) উঁচু বাঁধ বা কৃত্রিমভাবে উঁচু করা স্থানে (শুষ্ক বিন্দু বসতি)
ব্যাখ্যা: বন্যাপ্রবণ নিম্নভূমি অঞ্চলে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষ সাধারণত নদীর পাড়ে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট উঁচু স্থান, উঁচু বাঁধ অথবা কৃত্রিমভাবে উঁচু করা স্থানে (ভিটা) বসতি স্থাপন করে, যাকে শুষ্ক বিন্দু বসতি বলে।
