হ্যালো শিক্ষার্থী বন্ধু! আজ আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো, তা হলো- চরিত্র অনুচ্ছেদ। আজকের আলোচ্য অনুচ্ছেদটি গুরুত্বপূর্ণ বলছি এই কারনে যে – চরিত্র অনুচ্ছেদ যেমন পরিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ব্যক্তি জিবনে চরিত্র গঠন বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্র জীবনই চরিত্র গঠনের আদর্শ সময়।
একাডেমিক প্রশ্ন
বাংলা ২য় পত্র
চরিত্র : অনুচ্ছেদ
চরিত্র অমূল্য সম্পদ। সচ্চরিত্রের অধিকারি মানুষই প্রকৃত মানুষ বলে বিবেচিত হয়। তাইতো মনিষীরা বলে গেছেন দুর্জন বিদ্যান হলেও পরিত্যাজ্য। অসৎ চরিত্রের ব্যক্তি যতই বিদ্যান বা সম্পদশালী হোক না কেন, সমজে সে সর্বদা ঘৃনিত বলেই বিবেচিত হয়। অসৎ চরিত্রের মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথে তার সকল সত্ত্বার মৃত্যু ঘটে, তাকে আর কেউ মনে রাখে না। যদিও বা কে স্বরন করে তা হয় ঘৃনার, অপমানের। পক্ষান্তরে, একজন সৎ ও উত্তম চরিত্রের ব্যক্তিকে তার সৎ কর্মের জন্য মানুষ শত সহস্র বছর শ্রদ্ধাভরে স্বরন করে। অসৎ চরিত্রের ব্যক্তির সহচর্যও সমান ভাবে ক্ষতিকর। কথায় বলে- সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস আর অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।
একজন অসৎ ব্যক্তির অপকর্মের ফলে তার আত্মীয়-পরিজনদেরও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়। অসৎ চরিত্রে ব্যক্তি যেমন নিজে ব্যক্তি জীবনে প্রতি পদে পদে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তেমনি সে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্যও ক্ষতিকর। তার দ্বারা কারও কোন উপকার সাধন হয় না। তাই প্রতি প্রতিটি মানুষের উচিত উত্তম চরিত্র গঠন করা। সব শেষে কবির ভাষায় বলতে হয়- এমন জীবন তুমি করিবে গঠন/মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন।
অনুচ্ছেদ : চরিত্র (Class 9,10)
চরিত্র মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ গুণ। চারিত্রিক গুণই মানুষকে সত্যিকারের মানুষ করে তােলে, বাঁচিয়ে রাখে, অমর করে রাখে। মানবজীবনের বিকাশ ও উন্নতির জন্য ভালাে চরিত্রের অধিকারী হওয়া দরকার। চরিত্রহীন লােক নানা রকম অন্যায় ও অসত্যের পূজারি। চরিত্রবান ব্যক্তি সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী। মানুষের মহিমা অমল চরিত্রের আলােকেই দ্যুতি পায়। টাকা-পয়সা, ধন-দৌলতের বিনাশ আছে কিন্তু সচ্চরিত্রের বিনাশ নেই।
গাড়ি-বাড়ি, ধন-সম্পত্তি, শিক্ষাগত যােগ্যতা সবকিছুই মূল্যহীন হয়ে পড়ে যদি সে লােক চরিত্রহীন হয়। পক্ষান্তরে চরিত্রবলে বলীয়ান মানুষ সবার শ্রদ্ধা আদায় করতে পারে। কারণ চরিত্রবান মানুষ মানুষকে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে বিচরণ করতে সাহায্য করে। একজন সচ্চরিত্রবান লােকের সংস্পর্শে এলে মানুষ সত্য, সুন্দর, আদর্শ পথের সন্ধান পায়। পক্ষান্তরে দুশ্চরিত্র ব্যক্তি সমাজ ও জাতির জন্য অকল্যাণকর।
তারা মানুষে মানুষে বিভেদ, কাটাকাটি, হিংসা-দ্বেষ, লােভ-লালসার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশকে কলুষিত করে। চরিত্র মানুষের ব্যক্তিত্ব ও মনুষ্যত্বের পরিচয় বহন করে। যেসব গুণ মানুষকে মহত্ত্বের পরিচয় দান করে, সেগুলাে মানুষকে মহত্ত্বের গৌরবতিলক পরিয়ে দেয়, তাদের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে চরিত্র। চরিত্রবলেই মানুষ জগতের বুকে অবিনশ্বর কীর্তি স্থাপন করতে সক্ষম হয়। চরিত্রগুণেই মানুষ ও পশুর মধ্যে পার্থক্য নির্ণীত হয়। তাই প্রতিটি মানুষেরই চারিত্রিক দৃঢ়তা থাকা প্রয়ােজন।
When mony is lost nothing is lost
When health is lost something is lost
When character is lost everything is lost