সারাংশ: গ্রিসের প্রসিদ্ধ দার্শনিক পন্ডিত আরস্তুল বলিয়াছেন যে

গ্রিসের প্রসিদ্ধ দার্শনিক পন্ডিত আরস্তুল বলিয়াছেন যে

গ্রিসের প্রসিদ্ধ দার্শনিক পন্ডিত আরস্তুল বলিয়াছেন যে, মানব স্বভাবত আসঙ্গলিপ্সু। মানবসৃষ্টির উপাদানগুলির মধ্যে প্রেম একটি উপাদান ছিল, ইহা সুনিশ্চিত। খোদাতাআলা মানবকে তাহার আকৃতির অনুরূপ সৃষ্টি করিয়া তাহার দেহের মধ্যে আত্মা প্রবেশ করাইয়া দিয়া মানবকে অনুগৃহীত করিয়াছেন। কারণবশত মানব যখন অবিনশ্বর জগৎ হইতে নশ্বর জগতে পদার্পণ করে, তখন সে-ই খোদাতাআলার প্রতিনিধিত্ব-প্রাপ্ত হয়। এই পৃথিবী খোদাতাআলার আশ্চর্যজনক সৃষ্টি-কৌশলে পরিপূর্ণ।

যদিও মানবাত্মা চতুর্ভুজরূপে প্রাচীরের মধ্যে আবদ্ধ হইল, তথাপি তাহার গমনাগমনের দ্বার উন্মুক্ত রহিয়াছে ; তাহার উন্নতিমার্গে আরোহণার্থ একদিকে সোপানশ্রেণী সংলগ্ন রহিয়াছে। যদি সে উদ্যমসহকারে চেষ্টা করে, তাহা হইলে খোদাতাআলার অনুগ্রহে উক্ত সোপানশ্রেণী অতিক্রমপূর্বক উন্নতিমার্গে আরোহণ করিতে সক্ষম হয়।

আবার অন্যদিকে তাহার জন্যে অবনতির দ্বার অবরুদ্ধ রহিয়াছে ; যদি তাহার কু-প্রবৃত্তি প্রবল হয়, তাহা হইলে অজ্ঞানতারূপ লৌহনির্মিত হস্ত উক্ত দ্বার উন্মুক্ত করিয়া দেয়, তখন সেই অপরিণামদর্শী মানবাত্মা অবনতির গভীরতম গর্ভে নিপতিত হয়। একদিকে বিবেক ঐশ্বরিক জ্ঞান শিক্ষা দিয়া আত্মাকে জ্যোতির্ময় করিয়া তুলিতেছে, অন্যদিকে কু-প্রবৃত্তি অসৎ পথে চালিত করিয়া তাহাকে ধ্বংস করিতেছে।

সারাংশ:

খোদা মানুষকে সৃষ্টি করে তার মধ্যে আত্মাকে প্রবিষ্ট করে নিজের প্রতিনিধিরূপে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। মানুষের মধ্যে কুপ্রবৃত্তি, সুপ্রবৃত্তি দুটোই আছে। সুপ্রবৃত্তি তাকে উন্নতির পথে ধাবিত করে আর কুপ্রবৃত্তি তাকে অবনতির অতল গভীরে নিক্ষেপ করে। তাই তাকে সব সময় সুপ্রবৃত্তির পথেই চলতে হবে।

❤️ 0
👎 0
😢 0
😡 0

Leave a Reply

Scroll to Top