দুঃখই মানুষকে বৃহৎ করে, আপন বৃহত্ত্ব সম্বন্ধে জাগ্রত
দুঃখই মানুষকে বৃহৎ করে, আপন বৃহত্ত্ব সম্বন্ধে জাগ্রত ও সচেতন করে তোলে। যাতে আমাদের খর্বতা, আমাদের স্বল্পতা, তা অনেক সময় আমাদের আরামের হতে পারে; কিন্তু তা আনন্দের নহে।যা আমরা বীর্যের দ্বারা না পাই, অশ্রুর দ্বারা না পাই, তা আমরা সম্পূর্ণ পাই না যাকে দুঃখের মধ্য দিয়ে কঠিনভাবে লাভ করি, হৃদয় তাকেই নিবিড়ভাবে, সমগ্রভাবে প্রাপ্ত হয়।
মনুষ্যত্ব আমাদের পরম দুঃখের ধন। তা বীর্যের দ্বারাই লভ্য। প্রত্যেহ পদে পদে বাধা অতিক্রম করে যদি তাকে পেতে না হতো, তবে তাকে পেয়েও পেতাম না। যদি তা দুর্লভ না হতো, তবে আমাদের হৃদয় তাকে সর্বতোভাবে গ্রহণ করত না; কিন্তু তা দুঃখের দ্বারা দুর্লভ। কিন্তু দুর্লভ মনুষ্যত্ব অর্জন করার চেষ্টায় আত্মা আপনার সমস্ত শক্তি অনুভব করতে থাকে। সে অনুভূতিতেই তার প্রকৃত আনন্দ।
সারাংশ:
দুঃখের মাধ্যমেই মানুষ মনুষ্যত্ববোধ অর্জন করে। এটি মানুষের চেতনাকে প্রবলভাবে আলোড়িত করে, জীবনবোধকে প্রখর করে। গভীর দুঃখের মধ্য দিয়ে মহৎ যা কিছু অর্জিত হয় তার মধ্যে এক বিশাল আনন্দ থাকে।