SSC রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় MCQ | পদার্থের গঠন বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

SSC রসায়ন

তৃতীয় অধ্যায়: পদার্থের গঠন


প্রশ্ন ১: মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে বা না পারে তবে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাকে কী বলে?

ক) অণু

খ) পরমাণু

গ) আয়ন

ঘ) যৌগ

সঠিক উত্তর: খ) পরমাণু

ব্যাখ্যা: মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে বা না পারে তবে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাকে পরমাণু বলে।

প্রশ্ন ২: মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে তাকে কী বলে?

ক) পরমাণু

খ) অণু

গ) আয়ন

ঘ) মিশ্রণ

সঠিক উত্তর: খ) অণু

ব্যাখ্যা: মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে তাকে অণু বলে।

প্রশ্ন ৩: পরমাণু কী দ্বারা গঠিত?

ক) শুধুমাত্র প্রোটন ও নিউট্রন

খ) শুধুমাত্র ইলেকট্রন ও প্রোটন

গ) ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন

ঘ) শুধুমাত্র ইলেকট্রন

সঠিক উত্তর: গ) ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন

ব্যাখ্যা: পরমাণু প্রধানত ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন নামক মূল কণিকা দ্বারা গঠিত।

প্রশ্ন ৪: পরমাণুর কেন্দ্রে কী থাকে?

ক) ইলেকট্রন

খ) প্রোটন ও নিউট্রন

গ) শুধুমাত্র নিউট্রন

ঘ) শুধুমাত্র প্রোটন

সঠিক উত্তর: খ) প্রোটন ও নিউট্রন

ব্যাখ্যা: পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াস থাকে যা প্রোটন ও নিউট্রন দ্বারা গঠিত।

প্রশ্ন ৫: নিউক্লিয়াসের চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে কোনটি ঘূর্ণায়মান থাকে?

ক) প্রোটন

খ) নিউট্রন

গ) ইলেকট্রন

ঘ) সবগুলো

সঠিক উত্তর: গ) ইলেকট্রন

ব্যাখ্যা: নিউক্লিয়াসের চারদিকে বিভিন্ন নির্দিষ্ট কক্ষপথে ইলেকট্রনগুলো ঘূর্ণায়মান থাকে।

প্রশ্ন ৬: প্রোটনের চার্জ কেমন?

ক) ধনাত্মক

খ) ঋণাত্মক

গ) চার্জ নিরপেক্ষ

ঘ) কখনো ধনাত্মক কখনো ঋণাত্মক

সঠিক উত্তর: ক) ধনাত্মক

ব্যাখ্যা: প্রোটন ধনাত্মক চার্জযুক্ত কণা।

প্রশ্ন ৭: ইলেকট্রনের চার্জ কেমন?

ক) ধনাত্মক

খ) ঋণাত্মক

গ) চার্জ নিরপেক্ষ

ঘ) কখনো ধনাত্মক কখনো ঋণাত্মক

সঠিক উত্তর: খ) ঋণাত্মক

ব্যাখ্যা: ইলেকট্রন ঋণাত্মক চার্জযুক্ত কণা।

প্রশ্ন ৮: নিউট্রনের চার্জ কেমন?

ক) ধনাত্মক

খ) ঋণাত্মক

গ) চার্জ নিরপেক্ষ

ঘ) কখনো ধনাত্মক কখনো ঋণাত্মক

সঠিক উত্তর: গ) চার্জ নিরপেক্ষ

ব্যাখ্যা: নিউট্রন চার্জ নিরপেক্ষ কণা।

প্রশ্ন ৯: পরমাণুর বেশিরভাগ স্থান কেমন?

ক) ধনাত্মক চার্জযুক্ত

খ) ঋণাত্মক চার্জযুক্ত

গ) চার্জ নিরপেক্ষ

ঘ) ফাঁকা

সঠিক উত্তর: ঘ) ফাঁকা

ব্যাখ্যা: পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াস এবং এর বাইরে ইলেকট্রন থাকলেও পরমাণুর বেশিরভাগ স্থানই ফাঁকা।

প্রশ্ন ১০: পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে?

ক) কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত নিউট্রন সংখ্যা

খ) কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন সংখ্যা

গ) কোনো মৌলের পরমাণুতে উপস্থিত ইলেকট্রন সংখ্যা

ঘ) কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার সমষ্টি

সঠিক উত্তর: খ) কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন সংখ্যা

ব্যাখ্যা: কোনো মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন সংখ্যাকে তার পারমাণবিক সংখ্যা বলে।

প্রশ্ন ১১: ভর সংখ্যা কাকে বলে?

ক) কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন সংখ্যা

খ) কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত নিউট্রন সংখ্যা

গ) কোনো মৌলের পরমাণুতে উপস্থিত ইলেকট্রন সংখ্যা

ঘ) কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার সমষ্টি

সঠিক উত্তর: ঘ) কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার সমষ্টি

ব্যাখ্যা: কোনো পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যার সমষ্টিকে তার ভর সংখ্যা বলে।

প্রশ্ন ১২: আইসোটোপ কাকে বলে?

ক) একই পারমাণবিক সংখ্যা কিন্তু ভিন্ন ভর সংখ্যা বিশিষ্ট পরমাণু

খ) ভিন্ন পারমাণবিক সংখ্যা কিন্তু একই ভর সংখ্যা বিশিষ্ট পরমাণু

গ) একই পারমাণবিক সংখ্যা ও একই ভর সংখ্যা বিশিষ্ট পরমাণু

ঘ) ভিন্ন পারমাণবিক সংখ্যা ও ভিন্ন ভর সংখ্যা বিশিষ্ট পরমাণু

সঠিক উত্তর: ক) একই পারমাণবিক সংখ্যা কিন্তু ভিন্ন ভর সংখ্যা বিশিষ্ট পরমাণু

ব্যাখ্যা: একই পারমাণবিক সংখ্যা কিন্তু ভিন্ন ভর সংখ্যা বিশিষ্ট পরমাণুসমূহকে একে অপরের আইসোটোপ বলে।

প্রশ্ন ১৩: অক্সিজেনের কয়টি আইসোটোপ রয়েছে?

ক) ১টি

খ) ২টি

গ) ৩টি

ঘ) ৪টি

সঠিক উত্তর: গ) ৩টি

ব্যাখ্যা: প্রকৃতিতে অক্সিজেনের ৩টি আইসোটোপ পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ১৪: কার্বনের প্রধান আইসোটোপ কোনটি?

ক) $^{12}$C

খ) $^{13}$C

গ) $^{14}$C

ঘ) সবগুলো

সঠিক উত্তর: ক) $^{12}$C

ব্যাখ্যা: প্রকৃতিতে কার্বনের প্রধান আইসোটোপ হলো $^{12}$C।

প্রশ্ন ১৫: আইসোটোপ কোথায় ব্যবহৃত হয়?

ক) কৃষি ক্ষেত্রে

খ) চিকিৎসা ক্ষেত্রে

গ) পুরাতত্ত্ব গবেষণায়

ঘ) সবগুলো ক্ষেত্রে

সঠিক উত্তর: ঘ) সবগুলো ক্ষেত্রে

ব্যাখ্যা: আইসোটোপ কৃষি ক্ষেত্রে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে, পুরাতত্ত্ব গবেষণা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ১৬: ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার জন্য কোন আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়?

ক) কার্বন-১৪

খ) আয়োডিন-১৩১

গ) কোবাল্ট-৬০

ঘ) ফসফরাস-৩২

সঠিক উত্তর: গ) কোবাল্ট-৬০

ব্যাখ্যা: ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার জন্য কোবাল্ট-৬০ আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ১৭: থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা নির্ণয়ে কোন আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়?

ক) কার্বন-১৪

খ) আয়োডিন-১৩১

গ) কোবাল্ট-৬০

ঘ) ফসফরাস-৩২

সঠিক উত্তর: খ) আয়োডিন-১৩১

ব্যাখ্যা: থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা নির্ণয়ে আয়োডিন-১৩১ আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ১৮: উদ্ভিদ গবেষণায়tracer হিসেবে কোন আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়?

ক) কার্বন-১৪

খ) আয়োডিন-১৩১

গ) কোবাল্ট-৬০

ঘ) ফসফরাস-৩২

সঠিক উত্তর: ঘ) ফসফরাস-৩২

ব্যাখ্যা: উদ্ভিদ খুব সহজে মাটি থেকে ফসফরাস গ্রহণ করতে পারে কিনা তা জানার জন্য ফসফরাস-৩২ আইসোটোপ tracer হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ১৯: তেজস্ক্রিয় কার্বন-১৪ কোথায় ব্যবহৃত হয়?

ক) বিদ্যুৎ উৎপাদনে

খ) পুরোনো জিনিসের বয়স নির্ণয়ে

গ) থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা নির্ণয়ে

ঘ) ক্যান্সার নিরাময়ে

সঠিক উত্তর: খ) পুরোনো জিনিসের বয়স নির্ণয়ে

ব্যাখ্যা: তেজস্ক্রিয় কার্বন-১৪ ব্যবহার করে পুরোনো জিনিসের বয়স নির্ণয় করা যায়।

প্রশ্ন ২০: পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস কাকে বলে?

ক) পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রনের সজ্জা

খ) পরমাণুর বিভিন্ন কক্ষপথে ইলেকট্রনগুলো কিভাবে সাজানো থাকে

গ) পরমাণুর মোট ইলেকট্রন সংখ্যা

ঘ) পরমাণুর ভর সংখ্যা নির্ণয়

সঠিক উত্তর: খ) পরমাণুর বিভিন্ন কক্ষপথে ইলেকট্রনগুলো কিভাবে সাজানো থাকে

ব্যাখ্যা: পরমাণুর বিভিন্ন কক্ষপথে ইলেকট্রনগুলো কিভাবে সাজানো থাকে তাকে ঐ পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস বলে।

প্রশ্ন ২১: প্রথম শক্তিস্তরে (K shell) সর্বোচ্চ কতটি ইলেকট্রন থাকতে পারে?

ক) ১টি

খ) ২টি

গ) ৮টি

ঘ) ১৮টি

সঠিক উত্তর: খ) ২টি

ব্যাখ্যা: প্রথম শক্তিস্তরে (n=1) সর্বোচ্চ 2n2=2(1)2=2টি ইলেকট্রন থাকতে পারে।

প্রশ্ন ২২: দ্বিতীয় শক্তিস্তরে (L shell) সর্বোচ্চ কতটি ইলেকট্রন থাকতে পারে?

ক) ২টি

খ) ৮টি

গ) ১৮টি

ঘ) ৩২টি

সঠিক উত্তর: খ) ৮টি

ব্যাখ্যা: দ্বিতীয় শক্তিস্তরে (n=2) সর্বোচ্চ 2n2=2(2)2=8টি ইলেকট্রন থাকতে পারে।

প্রশ্ন ২৩: তৃতীয় শক্তিস্তরে (M shell) সর্বোচ্চ কতটি ইলেকট্রন থাকতে পারে?

ক) ৮টি

খ) ১৮টি

গ) ৩২টি

ঘ) ৫০টি

সঠিক উত্তর: খ) ১৮টি

ব্যাখ্যা: তৃতীয় শক্তিস্তরে (n=3) সর্বোচ্চ 2n2=2(3)2=18টি ইলেকট্রন থাকতে পারে।

প্রশ্ন ২৪: চতুর্থ শক্তিস্তরে (N shell) সর্বোচ্চ কতটি ইলেকট্রন থাকতে পারে?

ক) ১৮টি

খ) ৩২টি

গ) ৫০টি

ঘ) ৭২টি

সঠিক উত্তর: খ) ৩২টি

ব্যাখ্যা: চতুর্থ শক্তিস্তরে (n=4) সর্বোচ্চ 2n2=2(4)2=32টি ইলেকট্রন থাকতে পারে।

প্রশ্ন ২৫: পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসের ক্ষেত্রে ইলেকট্রন প্রথমে কোন শক্তিস্তরে প্রবেশ করে?

ক) সর্বোচ্চ শক্তিস্তরে

খ) সর্বনিম্ন শক্তিস্তরে

গ) দ্বিতীয় শক্তিস্তরে

ঘ) ইচ্ছামত যেকোনো শক্তিস্তরে

সঠিক উত্তর: খ) সর্বনিম্ন শক্তিস্তরে

ব্যাখ্যা: পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসের ক্ষেত্রে ইলেকট্রন প্রথমে সর্বনিম্ন শক্তিস্তরে প্রবেশ করে।

প্রশ্ন ২৬: সোডিয়াম (Na) এর পারমাণবিক সংখ্যা ১১। এর ইলেকট্রন বিন্যাস কোনটি?

ক) ২, ৮, ১

খ) ৮, ২, ১

গ) ১, ৮, ২

ঘ) ২, ১, ৮

সঠিক উত্তর: ক) ২, ৮, ১

ব্যাখ্যা: সোডিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা ১১ হওয়ায় এর ইলেকট্রন সংখ্যা ১১। প্রথম শক্তিস্তরে ২টি, দ্বিতীয় শক্তিস্তরে ৮টি এবং তৃতীয় শক্তিস্তরে ১টি ইলেকট্রন থাকবে। তাই ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ৮, ১।

প্রশ্ন ২৭: ক্লোরিন (Cl) এর পারমাণবিক সংখ্যা ১৭। এর ইলেকট্রন বিন্যাস কোনটি?

ক) ২, ৮, ৭

খ) ৮, ৭, ২

গ) ৭, ৮, ২

ঘ) ২, ৭, ৮

সঠিক উত্তর: ক) ২, ৮, ৭

ব্যাখ্যা: ক্লোরিনের পারমাণবিক সংখ্যা ১৭ হওয়ায় এর ইলেকট্রন সংখ্যা ১৭। প্রথম শক্তিস্তরে ২টি, দ্বিতীয় শক্তিস্তরে ৮টি এবং তৃতীয় শক্তিস্তরে ৭টি ইলেকট্রন থাকবে। তাই ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ৮, ৭।

প্রশ্ন ২৮: নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের সর্বশেষ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা কতটি (হিলিয়াম ব্যতীত)?

ক) ১টি

খ) ২টি

গ) ৮টি

ঘ) ১৮টি

সঠিক উত্তর: গ) ৮টি

ব্যাখ্যা: হিলিয়াম ব্যতীত অন্যান্য নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের (যেমন: নিয়ন, আর্গন) সর্বশেষ শক্তিস্তরে ৮টি ইলেকট্রন থাকে।

প্রশ্ন ২৯: পরমাণুসমূহ রাসায়নিক বন্ধন গঠন করে কেন?

ক) নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জনের জন্য

খ) স্থিতিশীলতা লাভের জন্য

গ) শক্তি নির্গমনের জন্য

ঘ) অণু গঠনের জন্য

সঠিক উত্তর: খ) স্থিতিশীলতা লাভের জন্য

ব্যাখ্যা: পরমাণুসমূহ তাদের সর্বশেষ শক্তিস্তরে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মতো ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে স্থিতিশীলতা লাভের জন্য রাসায়নিক বন্ধন গঠন করে।

প্রশ্ন ৩০: যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে?

ক) পরমাণুর প্রথম শক্তিস্তরের ইলেকট্রন সংখ্যা

খ) পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন সংখ্যা

গ) পরমাণুর মোট প্রোটন সংখ্যা

ঘ) পরমাণুর মোট নিউট্রন সংখ্যা

সঠিক উত্তর: খ) পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন সংখ্যা

ব্যাখ্যা: কোনো পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে যে কয়টি ইলেকট্রন থাকে সে সংখ্যাকে ঐ মৌলের যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে।

প্রশ্ন ৩১: কোনটির যোজ্যতা ইলেকট্রন সংখ্যা ২?

ক) সোডিয়াম (Na)

খ) ম্যাগনেসিয়াম (Mg)

গ) ক্লোরিন (Cl)

ঘ) অক্সিজেন (O)

সঠিক উত্তর: খ) ম্যাগনেসিয়াম (Mg)

ব্যাখ্যা: ম্যাগনেসিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা ১২। এর ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ৮, ২। সর্বশেষ শক্তিস্তরে ২টি ইলেকট্রন থাকায় এর যোজ্যতা ইলেকট্রন সংখ্যা ২।

প্রশ্ন ৩২: কোনটির যোজ্যতা ইলেকট্রন সংখ্যা ৭?

ক) সোডিয়াম (Na)

খ) ম্যাগনেসিয়াম (Mg)

গ) ক্লোরিন (Cl)

ঘ) অক্সিজেন (O)

সঠিক উত্তর: গ) ক্লোরিন (Cl)

ব্যাখ্যা: ক্লোরিনের পারমাণবিক সংখ্যা ১৭। এর ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ৮, ৭। সর্বশেষ শক্তিস্তরে ৭টি ইলেকট্রন থাকায় এর যোজ্যতা ইলেকট্রন সংখ্যা ৭।

প্রশ্ন ৩৩: কোন মৌলের পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন গ্রহণ বা ত্যাগ করার মাধ্যমে যৌগ গঠনের প্রবণতা থাকে?

ক) নিষ্ক্রিয় গ্যাস

খ) ধাতু

গ) অধাতু

ঘ) ধাতু ও অধাতু উভয়ই

সঠিক উত্তর: ঘ) ধাতু ও অধাতু উভয়ই

ব্যাখ্যা: ধাতুসমূহ ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়ন এবং অধাতুসমূহ ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়ন গঠন করে যৌগ গঠনের প্রবণতা দেখায়।

প্রশ্ন ৩৪: সোডিয়াম পরমাণু কয়টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Na$^+$ আয়নে পরিণত হয়?

ক) ১টি

খ) ২টি

গ) ৩টি

ঘ) ৪টি

সঠিক উত্তর: ক) ১টি

ব্যাখ্যা: সোডিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ৮, ১। স্থিতিশীলতা লাভের জন্য সোডিয়াম পরমাণু সর্বশেষ শক্তিস্তরের ১টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Na$^+$ আয়নে পরিণত হয়।

প্রশ্ন ৩৫: ক্লোরিন পরমাণু কয়টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে Cl$^-$ আয়নে পরিণত হয়?

ক) ১টি

খ) ২টি

গ) ৩টি

ঘ) ৪টি

সঠিক উত্তর: ক) ১টি

ব্যাখ্যা: ক্লোরিনের ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ৮, ৭। স্থিতিশীলতা লাভের জন্য ক্লোরিন পরমাণু ১টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে Cl$^-$ আয়নে পরিণত হয়।

প্রশ্ন ৩৬: রাসায়নিক বন্ধন কী?

ক) পরমাণুসমূহের মধ্যে আকর্ষণ শক্তি

খ) অণু গঠনের জন্য পরমাণুসমূহের মধ্যে সংযোগ

গ) ইলেকট্রন গ্রহণ বা ত্যাগের প্রক্রিয়া

ঘ) ইলেকট্রন শেয়ার করার প্রক্রিয়া

সঠিক উত্তর: খ) অণু গঠনের জন্য পরমাণুসমূহের মধ্যে সংযোগ

ব্যাখ্যা: অণু গঠনের জন্য পরমাণুসমূহ একে অপরের সাথে যে শক্তি দ্বারা যুক্ত থাকে তাকে রাসায়নিক বন্ধন বলে।

প্রশ্ন ৩৭: আয়নিক বন্ধন কীভাবে গঠিত হয়?

ক) ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে

খ) ইলেকট্রন গ্রহণ ও ত্যাগের মাধ্যমে

গ) ইলেকট্রনের সমভাবে বন্টনের মাধ্যমে

ঘ) প্রোটন ও নিউট্রন শেয়ারের মাধ্যমে

সঠিক উত্তর: খ) ইলেকট্রন গ্রহণ ও ত্যাগের মাধ্যমে

ব্যাখ্যা: ধাতুসমূহ ইলেকট্রন ত্যাগ করে ক্যাটায়ন এবং অধাতুসমূহ ইলেকট্রন গ্রহণ করে অ্যানায়ন গঠন করে এবং এই বিপরীত চার্জযুক্ত আয়নসমূহের মধ্যে আকর্ষণ শক্তির ফলে আয়নিক বন্ধন গঠিত হয়।

প্রশ্ন ৩৮: সমযোজী বন্ধন কীভাবে গঠিত হয়?

ক) ইলেকট্রন গ্রহণ ও ত্যাগের মাধ্যমে

খ) ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে

গ) প্রোটন শেয়ারের মাধ্যমে

ঘ) নিউট্রন শেয়ারের মাধ্যমে

সঠিক উত্তর: খ) ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে

ব্যাখ্যা: দুটি অধাতব পরমাণু তাদের সর্বশেষ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন শেয়ার করার মাধ্যমে যে বন্ধন গঠন করে তাকে সমযোজী বন্ধন বলে।

প্রশ্ন ৩৯: NaCl (সোডিয়াম ক্লোরাইড) যৌগে কোন ধরনের বন্ধন বিদ্যমান?

ক) সমযোজী বন্ধন

খ) আয়নিক বন্ধন

গ) ধাতব বন্ধন

ঘ) হাইড্রোজেন বন্ধন

সঠিক উত্তর: খ) আয়নিক বন্ধন

ব্যাখ্যা: সোডিয়াম (ধাতু) ইলেকট্রন ত্যাগ করে Na$^+$ আয়ন এবং ক্লোরিন (অধাতু) ইলেকট্রন গ্রহণ করে Cl$^-$ আয়ন গঠন করে। এই বিপরীত আয়নদ্বয়ের মধ্যে আকর্ষণ শক্তির ফলে NaCl এ আয়নিক বন্ধন গঠিত হয়।

প্রশ্ন ৪০: পানি (H$_2$O) অণুতে কোন ধরনের বন্ধন বিদ্যমান?

ক) আয়নিক বন্ধন

খ) সমযোজী বন্ধন

গ) ধাতব বন্ধন

ঘ) হাইড্রোজেন বন্ধন

সঠিক উত্তর: খ) সমযোজী বন্ধন

ব্যাখ্যা: পানি অণুতে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন (উভয়ই অধাতু) পরমাণু ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযোজী বন্ধন গঠন করে।

Leave a Reply

Scroll to Top