প্রাচীনযুগে জ্ঞানার্জন আজিকার মতো এত সস্তা ছিল না
প্রাচীনযুগে জ্ঞানার্জন আজিকার মতো এত সস্তা ছিল না। জ্ঞান ছিল সাধনার সামগ্রী। সে সাধনায় ছাত্রমাত্রকেই শ্রম স্বীকার করিয়া উহা সঞ্চয় করিতে হইত। শুক্তির মতো সে জ্ঞান ধীরে ধীরে জমাট বাঁধিয়া মুক্তাতে পরিণত হইত। মুক্তার কদর মানুষ করিত, জ্ঞানীর কদরও তাহারা করিত। ফলে প্রবাদবাক্য রচিত হইয়াছিল-বিদ্বান সর্বত্র পুজ্যতে’।
যুগের হাওয়ায় সে জ্ঞান তপস্যার পাদপীঠ হইতে বাজারে আসিয়া আস্তানা গড়িয়াছে। লোকে পয়সার বদৌলতে তাহা আহরণ করিয়া কৃতবিদ্যা হইতেছে। কিন্তু ইহার ফলে বিদ্যার অধঃপ্রভা বিলুপ্ত হইয়াছে, যাহা কিছু দৃষ্ট হইতেছে তাহা বাহ্যিক চাকচিক্য মাত্র।
সারাংশ:
প্রাচীনকালে জ্ঞানার্জন অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ছিল বলেই জ্ঞান এবং জ্ঞানী উভয়েরই সম্মান ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিদ্যা অনেকাংশে হয়ে উঠেছে বাণিজ্যিক। আর এর ফলে বিদ্যা তার প্রকৃত সত্য হারিয়ে বাহ্যিক আড়ম্বরে পরিণত হয়েছে।
আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সারাংশঃ
- নিন্দা না থাকিলে পৃথিবীতে জীবনের গৌরব কী
- ধনীর যথার্থ পরীক্ষা দানে, যাহার প্রাণ আছে
- দুঃখ মানুষকে আত্মসচেতন ও সংগ্রামী করে
- দেখো আমি চোর বটে