বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশু প্রতিকার চেয়ে প্রতিবেদন

তোমার এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশু প্রতিকার চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র রচনা করো

অথবা,

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ ও এর প্রতিকার সম্বন্ধে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রচনা কর।


সি. বো. ২০১৫, চ. বো. ২০১৫, ব. বো. ২০১৫, সি. বো. ১৭, ঢা. বো. ১৯, রা বো ২০১৫



প্রতিবেদনের শিরােনাম: বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণ ও এর প্রতিকার
ঠিকানাঃ ১২, পল্লবী, ঢাকা।
প্রস্তুতির সময় ও তারিখঃ রাত ৯:০০; তাং ১২.০৫.২০১৯


বিদ্যুৎ বিভ্রটের কারণ ও প্রতিকার


বর্তমান সভ্যতা সর্বতােভাবে বিদ্যুৎ নির্ভর হলেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকট অত্যন্ত প্রকট। এ তীব্র বিদ্যুৎ ঘাটতি এদেশের জনজীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। প্রাত্যহিক জীবনযাপন থেকে শুরু করে শিল্পায়ন, কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রেই মানুষ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দিনে ও রাতে একাধিকবার দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, বিদ্যুৎ সংযােগ যে আছে মাঝে মাঝে সেকথা ভুলে যেতে হয়।


অনুসন্ধানে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের নিম্নলিখিত কারণগুলাে ধরা পড়েছে।

  • দেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রয়ােজন প্রায় ৯০০০ মেগাওয়াট, কিন্তু গড়ে উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র ৬০০০ মেগাওয়াট।
  • বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ার আনুপাতিক হারে যােগান বাড়েনি গত পঁচিশ বছরে।
  • আমলাতান্ত্রিক ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলাের কোনাে সংস্কার হয় নি।
  • বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি সারাদেশে সমভাবে বণ্টন করলে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট কিছুটা হলেও কম হতাে।
  • জলবিদ্যুৎ ও তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচামালের যােগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
  • নতুন উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে অর্থ, প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির অভাব।
  • সরকারের পরনির্ভরশীল মনােভাব।
  • অবৈধ সংযােগ, সিস্টেম লস ও কৃচ্ছ্রতার অভাব।
  • রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও প্রশাসনিক জটিলতা। বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি করে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পরিমাণ কমিয়ে আনা একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের প্রতিকারকল্পে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলাে গ্রহণ করলে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পরিমাণ পর্যায়ক্রমে কমে আসবে-

  • প্রয়ােজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন ও পুরনাে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সংস্কার করা।
  • অবৈধ সংযােগ বিচ্ছিন্ন করা ও কৃচ্ছ্রতা সাধনের মাধ্যমে অপচয় রােধ করা।
  • উৎপাদিত বিদ্যুৎ সুষমভাবে বণ্টনের ব্যবস্থা করা। সেচ পাম্পগুলাে দিনের বেলায় বন্ধ রেখে রাতের বেলা চালানাে।
  • মার্কেট ও বিপনিবিতান গুলােতে আলােকসজ্জা কমিয়ে আনা।
  • সৌর বিদ্যুৎখাতে সরকারি ভর্তুকি বাড়িয় দিয়ে এর ব্যবহার জনপ্রিয় করা।
  • বিদ্যাৎ সাশ্রয়ী ‘এনার্জি সেভিংস বাল্ব’ কম মুল্যে সাধারণ জনগণের মাঝে সরবরাহ করা।
  • রাতের বেলা দোকানপাট ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা।
  • বায়ােগ্যাসের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারি বাবস্থা গ্রহণ করা।


উপর্যুক্ত ব্যবস্থাগুলাে গ্রহণ করলে বিদ্যু-বিভ্রাট অনেক অংশে কমে আসবে। গ্রাহকদের ভােগান্তি কমবে। কৃষিজ ও শিল্পজ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশ এগিয়ে যাবে আলােকিত ও সমূদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে।


প্রতিবেদক

আরও কয়েকটি প্রতিবেদন রচনাঃ

Views: 95 Views
❤️ 0
👎 0
😢 0
😡 0

Leave a Reply

Scroll to Top