কহিল মনের খেদে মাঠ সমতল – সারমর্ম

‘কহিল মনের খেদে মাঠ সমতল’ পক্তিটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কণিকা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত উচ্চের প্রয়োজন কবিতা আমাদের আজকের আলোচ্য। ১৯৪৮ সালে রচিত কবিতাটি কবির কনিকা কাব্যের ২২ নম্বরে স্থান পেয়েছে। জগতের ভারসাম্য রক্ষায় উচু-নিচুর, ধনী-গরীবের বা আলো-আধারের যে নিবিড় সম্পর্ক তা’ই এ কবিতার প্রতিপাদ্য। চলো, কবিতার সারমর্ম দেখে নেওয়া যাক…


উচ্চের প্রয়োজন কবিতার সারমর্ম

কহিল মনের খেদে মাঠ সমতল

কহিল মনের খেদে মাঠ সমতল
মাঠ ভরা দেই আমি কত শস্য ফল;
পর্বত দাঁড়ায়ে রহে কি জানি কি কাজ
পাষাণের সিংহাসনে তিনি মহারাজ।
বিধাতার অবিচার কেন উঁচু-নিচু
সে কথা আমি নাহি বুঝিতে পারি কিছু।
গিরি কহে সব হলে সমতল পারা,
নামিত কি ঝরনার সুমধুর ধারা?

সারমর্ম:

সমতল মাঠ অনেক শস্য ও ফল দেয় মানুষকে। আর উঁচু পাহাড়-পর্বত শুধু দাঁড়ায়ে থাকে মহারাজের মতাে— এ সবই পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার জন্য। সমস্ত ভূমি সমতল হলে সুমধুর ঝরনাধারা বয়ে যেতে পারত না অর্থাৎ, পৃথিবী তার ভারসাম্য হারাত।


কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা বা কবিতাংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সারমর্ম ও ভাবসম্প্রসারন নিচে লিপিবদ্ধ করা হলোঃ

❤️ 1
👎 0
😢 1
😡 0

Leave a Reply

Scroll to Top