ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা – সারমর্ম

ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা


বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ন্যায় দন্ড’ কবিতার অংশ বিশেষ থেকে আজকের আলোচ্য সারমর্ম – ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা। এই সারমর্ম টি ষষ্ঠ থেক দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ; কেননা, এই কবিতাটির একটি অংশ যেমন আমরা সারমর্ম হিসাবে পড়ি তেমনি একটি অংশ ভাবসম্প্রসারন হিসাবেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে/তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে‘ চরন দূটি ভাবসম্প্রসারন হিসাবে সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিকট গুরুত্ব পায়। এই পোষ্টে আমরা গুরুত্বপূর্ণ দুটি ‘সারাংশ ও ভাবসম্প্রসারন’ নিয়ে আলোচনা করবো।

ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা,
হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা
তােমার আদেশে; যেন রসনায় মম
সত্য বাক্য ঝলি’ উঠে খর খড়গ সম
তােমার ইঙ্গিতে। যেন রাখি তব মান
তােমারি বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।

সারমর্ম:

অন্যায় করা ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া সমান কথা। কাজেই অন্যায়কারী ও অন্যায়কে প্রশ্রয়দানকারী উভয়েই সম অপরাধে অপরাধী। তাই ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কঠোর ও কঠিন হওয়া উচিত এবং অন্যায়কারী ও প্রশ্রয়দানকারী উভয়েরই শাস্তি হওয়া উচিত।

কিছু কথাঃ

ন্যায় দণ্ড কবিতাটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঞ্চয়িতা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। সঞ্চয়িতার ৪৪১ নং পাতায় ন্যায় দন্ড কবিতাটি মুদ্রিত হয়েছে। নৈবেদ্য গ্রন্থেও কবিতাটির উল্লেখ আছে তবে সেখানে কোন নাম নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য ন্যায় দন্ড কবিতাটির আবৃতি ও আলোচনা নিচে যুক্ত করা হলোঃ

একাডেমিক প্রশ্ন
পাঠঃ কাজী বাটা
Views: 129 Views
❤️ 1
👎 0
😢 0
😡 0

Leave a Reply

Scroll to Top